কক্সবাজারে যৌথবাহিনীর বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে হোতাসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে সদর উপজেলার পিএমখালীর মাইজপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিন দুপুর আড়াইটার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ১০ পদাতিক ডিভিশনের ২ পদাতিক ব্রিগেডের ৯ ইস্ট বেঙ্গলের কর্মকর্তারা।
তারা জানান, ১০ পদাতিক ডিভিশনের ২ পদাতিক ব্রিগেডের ৯ ইস্ট বেঙ্গলের সদস্যদের নেতৃত্বে ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালি ইউনিয়নে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য দুটি বাড়ি ঘেরাও করে। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা পরিচালিত এ অভিযানে কেউ পালাতে পারেনি। বাড়ি দুটি তল্লাশি করে দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাওয়া যায়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- কক্সবাজার সদরের পিএমখালী ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকার মৃত কবির আহমদের ছেলে আবদুল মালেক (৪৭), তার ভাই কলিম উল্লাহ (৩৫), একই এলাকার মৃত ফোরকান আহমদের ছেলে খোরশেদ আলম (৩৭), মো. শফিউল্লাহর ছেলে হাসান শরীফ লাদেন (২০), মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ শাহিন (২৩), মাহাবুল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ মিজান (২০), মাহমুদুল হকের ছেলে আব্দুল হাই (২৪) ও তার ভাই আবদুল আজিজ (২৫)।
৯ ইস্ট বেঙ্গলের কর্মকর্তারা জানান, শুক্রবার ভোর রাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওশের ইবনে হালিমের নেতৃত্বে কক্সবাজার সদরের পিএমখালী ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে (র্যাব, সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং বিজিবি) যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকায় সন্ত্রাসী দলের হোতা মালেকসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৩টি ওয়ানশুটার গান, ২টি এলজি পিস্তল, ৪৮ রাউন্ড কার্তুজ, ৩টি ম্যাগাজিন, ৫টি দামা, ২টি কিরিচ, একটি চাইনিজ কুড়াল এবং একটি চেইন উদ্ধার করা হয়।
তারা আরও জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারের পিএমখালীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। এ ছাড়া তারা দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখাতো এবং এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করত। বিভিন্ন অপরাধ ও আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে তারা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে এসব অবৈধ অস্ত্র-গোলাবারুদ কেনেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মুহিববুল্লাহ মুহিব/সালমান/