ঢাকা ১৯ আশ্বিন ১৪৩১, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪

রাজশাহীতে নার্সিং শিক্ষার্থীদের ‘প্রতীকী বিষপান’ কর্মসূচিতে অসুস্থ ১৫

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১৪ পিএম
রাজশাহীতে নার্সিং শিক্ষার্থীদের ‘প্রতীকী বিষপান’ কর্মসূচিতে অসুস্থ ১৫
হাসপাতালে অসুস্থ শিক্ষার্থীরা। ছবি : খবরের কাগজ

ভয়াবহ সেশনজটের কবলে পড়ে ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় দ্রুত পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফলের দাবিতে এবার সড়কে বসেই ‘প্রতীকী পরীক্ষা’ এবং ‘প্রতীকী বিষপান’ কর্মসূচি পালন করেছেন নার্সিং অনুষদের শিক্ষার্থীরা। 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় হিট স্ট্রোক করে অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

কর্মসূচিতে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (রামেবি) অধিভুক্ত রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট সরকারি নার্সিং কলেজ এবং বগুড়া, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন বেসরকারি নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘শনিবার ২০১৯-২০ সেশনের বিএসসি-ইন-নার্সিং কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা এরই মধ্যে ৯ মাস পিছিয়ে গেছি। কবে আমাদের পরীক্ষা হওয়ার কোনো নিশ্চয়তা পাচ্ছি না। সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে ২৩টি কলেজের প্রায় ৩ হাজার নার্সিং শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ চরম অনিশ্চয়তায় মধ্যে পড়েছে। ফলে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় দ্রুত পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফলের দাবিতে রাস্তায় বসে বিএসসি চতুর্থ বর্ষের রিসার্চ-ইন-নার্সিংয়ের প্রতীকী পরীক্ষা দেন শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচি পালনকালে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকেই চারজনকে উপাচার্য, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও পরীক্ষা কক্ষ পরিদর্শক (এক্সটারনাল ও ইন্টারনাল) করা হয়। এ সময় হঠাৎ পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর আন্দোলনকারী বেশির ভাগ পরীক্ষার্থীকে অকৃতকার্য দেখিয়ে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। হতাশ হয়ে প্রতীকী বিষপান করেন শিক্ষার্থীরা।’ 

এদিকে এসব কর্মসূচি পালনকালে প্রচণ্ড রোদ ও গরমে হিট স্ট্রোক করে অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় পাঠানো হয়। বাকি ১১ জন শিক্ষার্থীকে মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ জন রাজশাহী নার্সিং কলেজের, একজন উদয়ন নার্সিং কলেজের ও বাকিরা রংপুর এবং লালমনিরহাট নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী।
প্রতীকী পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আন্দোলনে দাবি আদায় হলেও ফলাফলে প্রভাব বিস্তারের শঙ্কায় তারা আতঙ্কিত। কেননা, প্রতীকীভাবে দেখানো হলেও ঠিক এভাবেই ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের ফেল করানো হয়।

তারা আরও বলেন, অসুস্থ হওয়ায় অনেককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় আলটিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন নার্সিং শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রায়হান আলী বলেন, ‘যে সময় পড়ার টেবিলে বই-খাতা নিয়ে থাকতাম, হাসপাতালে ইন্টার্নশিপে গিয়ে রোগীদের সেবা করতাম, সেই সময় রোদ-বৃষ্টি ও অসংখ্য বাধা মোকাবিলা করে আন্দোলন করতে হচ্ছে আমাদের। দেয়ালে আমাদের পিঠ ঠেকে যাওয়ায় রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ থেকে এসে দিনের পর দিন রাস্তায় পড়ে আছি। বেশ কয়েকজন অসুস্থ। দাবি না মানলে মৃত্যু ছাড়া কোনো পথ নেই।’

রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, যৌক্তিক দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। তবে কর্মসূচি পালনকালে অসুস্থ হওয়ায় ১১ জনকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। বাকি চারজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন। আশা করছি, বাকিরাও দ্রুত সুস্থ হবেন।’

উল্লেখ্য, গত বুধবার থেকে রাজশাহী নগরীতে আন্দোলন করছেন নার্সিং শিক্ষার্থীরা। গত বৃহস্পতিবার গলায় রশি ঝুলিয়ে প্রতীকী ফাঁস দিয়ে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দেন তারা। প্রথমে পরীক্ষা গ্রহণে এক দফা দাবি থাকলেও বর্তমানে ৭ দাবিতে চলছে তাদের এ আন্দোলন।

দাবিগুলো হলো স্থগিত হওয়া ২০১৯-২০ সেশনের বিএসসি-ইন-নার্সিং কোর্সের পরীক্ষা সম্পন্ন করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে যেকোনো কর্মকর্তাকে পরীক্ষা পরিচালনার জন্য নির্বাহী দায়িত্ব প্রদান, পরীক্ষা কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থায় পরীক্ষা গ্রহণ ও ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ফল প্রকাশ, আগামী ১ অক্টোবর থেকে শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ শুরু নিশ্চিত করা, বেসরকারি কলেজগুলোতে পরীক্ষার ফরম পূরণের অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ বন্ধ করা, রামেবিতে পরীক্ষার ফলাফল চ্যালেঞ্জের ফি প্রতি বিষয়ে ৫ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার টাকা করা এবং রাজশাহী বেসরকারি নার্সিং কলেজের বিএসসি শিক্ষার্থীদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করা।

ওবায়দুল কাদেরের ভগ্নিপতিকে কুপিয়ে জখম

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৭ পিএম
ওবায়দুল কাদেরের ভগ্নিপতিকে কুপিয়ে জখম
নোয়াখালী জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মো. মনিরুজ্জামান মনির: ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালী জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মো. মনিরুজ্জামান মনিরকে (৫৮) কুপিয়ে জখম করেছে ছয় থেকে সাতজন যুবক। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভগ্নিপতি।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টায় কোম্পানীগঞ্জের চরপার্বতী ইউনিয়নের গ্রামের বাড়ি থেকে বসুরহাট যাওয়ার পথে চরহাজারী চৌরাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত মনিরুজ্জামান মনির চরপার্বতী ইউনিয়নের মৃত আক্তারুজ্জামানের ছেলে। তিনি নোয়াখালী জেলা পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের (কোম্পানীগঞ্জ) সদস্য পদ থেকে সদ্য অপসারিত হন।

ভুক্তভোগীর ভাতিজা ফখরুল ইসলাম রাহাত জানান, দুপুরে গ্রামের মসজিদে জুমার নামাজ শেষে বসুরহাটের বাসায় ফেরার সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশার গতিরোধ করে একদল দূর্বৃত্ত তাকে কুপিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেলা শহর মাইজদীর একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ছয় থেকে সাতজন যুবক লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মনিরুজ্জামানকে বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে গতিরোধ করে। পরে তাকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। হামলাকারীরা স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

তবে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন খবরের কাগজকে বলেন, হামলার বিষয়টি শুনেছি। তবে এ ঘটনায় বিএনপির কেউ জড়িত নাই। হামলাকারী যেই হোক তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, বিষয়টি কেউ পুলিশকে অবহিত করেনি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইকবাল হোসেন মজনু/এমএ/

 

সীতাকুণ্ডের ৬৭ পূজা মণ্ডপে অনুদান দিলেন আসলাম চৌধুরী

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫১ পিএম
সীতাকুণ্ডের ৬৭ পূজা মণ্ডপে অনুদান দিলেন আসলাম চৌধুরী
ছবি: খবরের কাগজ

সীতাকুণ্ড উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এলাকার ৬৭টি পূজা মণ্ডপে নগদ ২ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দলটির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী। 

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বেলা এগারোটায় আসলাম চৌধুরীর ফৌজদারহাটস্থ বাসভবনে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক মতবিনিময় শেষে এসব অনুদান তুলে দেন তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. কমল কদর, সদস্য সচিব কাজী মহিউদ্দিন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক অমলেন্দু কনক, সদস্য সচিব মনজ কুমার নাথ, পৌরসভা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক সুনন্দ ভট্টাচার্য সাগর, সদস্য সচিব কাকন দাশ, ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষে ইঞ্জিনিয়ার রতন রায়, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নারায়ণ দে, চন্দন দেবনাথ, গোপাল শর্মা, বাবুল বাহাদুর শাস্ত্রী, লিটন বৈষ্ণব প্রমুখ।

এসময় পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে তারা যেন এ উৎসব পালন করতে পারে সেজন্য বিএনপি নেতাকর্মীরা অতন্দ্র প্রহরীর মতো ভূমিকা পালন করছে। কোন দুষ্কৃতিকারী যেন অনাকাঙ্খিত কিছু করতে না পারে সেজন্য প্রশাসনের পাশাপাশি আমাদের নেতাকর্মীরাও দেখভাল করছে প্রতিটি পূজা মন্ডপে। এসময় আসলাম চৌধুরী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেসঙ্গে সারাদেশে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বায়কও জানান তিনি। 

তিনি বলেন, পূজাকে কেন্দ্র করে পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ বিশৃঙ্খলা করতে চেষ্টা করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তারা গুজব ছড়াচ্ছে। আমরা কোন অঘটন ঘটতে দিব না। যেখানেই নাশকতা করার চেষ্টা করবে তারা সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে। আমরা শান্তি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে এই উৎসব পালন শেষ করব। আমাদের ভ্রাতৃত্ব-বন্ধন, সম্প্রীতি হবে নজিরবিহীন। 

প্রসঙ্গত, আগামী ১৩ অক্টোবর শারদীয় দূর্গা পূজার দশমী অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে উপজেলার ৬৮টি পূজা মণ্ডপে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। 

সীতাকুণ্ড থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মজিবুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, উপজেলায় মোট ৬৭টি পূজা মণ্ডপে রয়েছে। এর মধ্যে পৌরসভায় আছে ১১টি। আমরা ইতোমধ্যে পূজা উদযাপন পরিষদের সঙ্গে সভা করেছি। সেখানে নানা বিষয়ে করণীয় ঠিক করা হয়েছে। আমাদের মোট ১০টি বিট গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় জনসাধারণকে নিয়ে কমিটি করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোতে সহযোগিতা করছে। এ তিনের সমন্বয়ে আমরা শান্তিপূর্ণ পূজা শেষ করতে কাজ নিরলসভাবে করছি। 

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে ২-৩টি মোবাইল টিম কাজ করছে। আনসার, গ্রাম পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে রয়েছেন। মহিলা সদস্যও রয়েছেন পর্যাপ্ত। 

মানিকগঞ্জে ম্যাগাজিনসহ শর্টগান উদ্ধার

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪৮ পিএম
মানিকগঞ্জে ম্যাগাজিনসহ শর্টগান উদ্ধার
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মানোরা এলাকা থেকে একটি শর্টগান উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম আমান উল্লাহ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সদর উপজেলার মানোরা এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি শর্টগান অস্ত্র পড়ে আছে এমন সংবাদ পায় পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে একটি ম্যাগজিনসহ শর্টগান পড়ে থাকতে দেখে। আশেপাশের পথচারীরাও এ বিষয়ে কোন তথ্য দিতে পারেনি। রাত ১২টা ১৫ মিনিটে এসআই মো. বাবলু মিয়া একটি খালি ম্যাগাজিনসহ শর্টগানটি উদ্ধার করা হয়।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি এস এম আমান উল্লাহ জানান, প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে একটি খালি ম্যাগাজিনসহ শর্টগান উদ্ধার করা হয়। এর আগে, ৪ আগস্ট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেলের লাইসেন্সকৃত একটি অস্ত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে মানিকগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের সঙ্গে জিডির দায়েরকৃত অস্ত্রের মিল পাওয়া গেছে। বর্তমানে শর্টগানটি মানিকগঞ্জ থানায় জমা আছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আসাদ জামান/এমএ/

ফেনীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ভাই-বোনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৯ পিএম
ফেনীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ভাই-বোনের মৃত্যু
প্রতীকী ছবি

ফেনীর দাগনভূঞায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের পশ্চিম ধর্মপুর আমিন উল্ল্যাহ মৌলভী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা ওই এলাকার আমিন উল্ল্যাহ মৌলভী বাড়ির আলাউদ্দিনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম নিলয় (১০) ও সালাহ উদ্দিনের মেয়ে নাজিফা আক্তার (৭)। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিলয় ও নাজিফা বাড়ির পাশে খালি জায়গায় খেলা করছিল। এ সময় সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে বৈদ্যুতিক লাইনের ছেঁড়া তারে আশপাশের জায়গাগুলো বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়। খেলতে খেলতে এক সময় শিশু নিলয় ও পরে নাজিফা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। পরে উদ্ধার করে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

তোফায়েল আহাম্মদ নিলয়/এমএ/

রূপসী ঝরনায় নিখোঁজ দুই পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩১ পিএম
রূপসী ঝরনায় নিখোঁজ দুই পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার
রূপসী ঝরনার গভীর কূপ থেকে দুই পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার। ছবি : খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে রূপসী ঝরনার গভীর কূপ থেকে দুই পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকালে উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের রূপসী ঝরনা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন- মুসফিকুর রহমান আদনান (২১) ও মাহবুব রহমান মুত্তাকিম (২১)। 

নিহতদের মধ্যে আদনান ঢাকার ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও মাদারীপুরের চাষাড়া এলাকার আতিকুর রহমানের ছেলে। আর মুত্তাকিম নারায়ণগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও লক্ষ্মীপুরের মৃত মোহাম্মদ মুরাদের ছেলে।

বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা ইমাম হোসেন পাটোয়ারী।

জানা যায়, সকালে রূপসী ঝরনায় ১৪ জন পর্যটক একসঙ্গে ঘুরতে যান। ঝরনা উপভোগের একপর্যায়ে ছবি তোলার সময় মুত্তাকিম পা পিছলে ঝরনার কূপে পড়ে যান। পরে আদনান তাকে উদ্ধার করতে গেলে তিনিও কূপে পড়ে যান। এরপর থেকে তারা নিখোঁজ হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন অফিসার ইমাম হোসেন পাটোয়ারী বলেন, ‘দুইজন পর্যটক নিখোঁজের খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থল পৌঁছায়। এরপর চট্টগ্রাম থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল ঝরনায় এসে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে। প্রায় ৩ ঘণ্টা পর কূপ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’

মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের বলেন, ‘নিখোঁজের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল ছুটে যায়। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

সালমান/