সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা রায়বাঙ্গালী গ্রামের সরকারি মাদ্রাসার ফান্ডের টাকা নিয়ে সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতির লোকজনের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ১২ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রায়বাঙ্গালী গ্রামের সরকারি দাখিল মাদ্রাসার সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ছিলেন আব্দুল মালিক। সভাপতি পদ বিলুপ্ত হওয়ার পর মাদ্রাসার ফান্ডের টাকা নিয়ে গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মনু মিয়া, তছর মিয়া ও সুফি মিয়ার লোকজনের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে শনিবার বেলা ১১টায় মাদ্রাসায় বৈঠকে বসে উভয় পক্ষ। বৈঠকের একপর্যায়ে কথা-কাটাকাটি শুরু হলে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে গোলাগুলি শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে নারীসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। এ সময় অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হন।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত জুয়েল মিয়া (৩৬), সুমন মিয়া (৩২), আব্দুল আউয়াল (৪০), রঞ্জু মিয়া (৩৮), আলমগীর (২৫), মুজিবুর রহমান (৬০), ফারদীন মিয়া (২৫), সাবেল মিয়া (২৫), সাহাবুদ্দিন (৪০), আনোয়ার হোসেন (৪২), রোজিনা বেগম (৪০), রাবেয়া বেগমকে (৪৫) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক রায়হান মিয়া জানান, আহতদের শরীরে ছররা গুলিবিদ্ধ রয়েছে। এখানে গুলি বের করার ব্যবস্থা নেই। গুরুতর আহত ১২ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, মারামারির খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আসে।