ঢাকা ১৯ আশ্বিন ১৪৩১, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪

পালিয়ে বেড়াচ্ছে উৎসব মণ্ডলের পরিবার

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১৬ পিএম
আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১৬ পিএম
পালিয়ে বেড়াচ্ছে উৎসব মণ্ডলের পরিবার
উৎসব মণ্ডল

খুলনায় মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে গণপিটুনির শিকার কলেজছাত্র উৎসব মণ্ডলের পরিবার আবারও আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ঘটনার পর থেকে তাদের কোনো সন্ধান জানা যায়নি। 

উৎসব মণ্ডলের বাবা দ্বীনবন্ধু মণ্ডল খুলনার একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। ৪ সেপ্টেম্বর রাত থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। ঘটনার পর থেকে তিনি কর্মস্থলে যাননি। উৎসব মণ্ডলের মায়ের মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। 

এদিকে উৎসব মণ্ডলের বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন নাসির হোসেন নামের এক ব্যক্তি। ৪ সেপ্টেম্বর রাতে সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় গণপিটুনিতে আহত উৎসব মণ্ডল বর্তমানে সেনাবাহিনীর হেফাজতে চিকিৎসাধীন। 

আইএসপিআরের সহকারী পরিচালকের পক্ষে রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গণপিটুনিতে আহত উৎসব মণ্ডল সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন এবং তিনি আশঙ্কামুক্ত।

তবে আবারও আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে ঘরছাড়া তার পরিবার। গত ৫ সেপ্টেম্বর নগরীর সার্কিট হাউস ফায়ার ব্রিগেড রোড এলাকায় উৎসবের বাড়িতে গিয়ে তাদের ঘরটি তালাবদ্ধ দেখা যায়। 

ওই বাড়ির অন্য বাসিন্দারা জানান, ঘটনার পর থেকে উৎসবের পরিবারের সদস্যদের কেউ দেখেনি। তার বাবা-মা ও অসুস্থ ছোট ভাই কোথায় আছেন তা কেউ জানে না। মোবাইল ফোনেও কারও সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি।

জানা যায়, মোবাইলে ফেসবুকে মহানবীকে (স.) নিয়ে কটূক্তির ঘটনায় ৪ সেপ্টেম্বর ৮-১০ জন যুবক উৎসব মণ্ডলকে ধরে সোনাডাঙ্গা আবাসিকে পুলিশের উপ-কমিশনারের (দক্ষিণ) কার্যালয়ে নিয়ে যান। খবর পেয়ে রাতে শত শত মানুষ ওই যুবককে তাদের হাতে ছেড়ে দিতে ভবনের চারপাশ ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন। 

এদিকে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে ওই যুবককে রক্ষার চেষ্টা করে। কিন্তু রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশ কার্যালয়ের ভেতর ঢুকে তাকে পিটুনি দেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ওই ভবন থেকে তাকে বের করে নিয়ে যান।

খুলনা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) নিমাই চন্দ্র কুণ্ডু জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে অভিযুক্ত কলেজছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করে অভিযোগটি সাইবার নিরাপত্তা আইনে নথিভুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তিনটি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। 

পুলিশ জানায়, উৎসব মণ্ডল ৩ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে একটি পোস্টে ক্ষুব্ধ হয়ে মন্তব্য করেছিলেন। পরে ভুল বুঝতে পেরে সেটি মুছে দেন। কিন্তু কয়েকজন সেই মন্তব্যটির স্ক্রিনশট রেখে দেন এবং তা ছড়িয়ে দিয়ে তাকে বিপদে ফেলেন।

হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৭ পিএম
হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি
লক্ষ্মীপুরে বন্যার্ত মানুষের জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘ভারতে বসে দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা। স্বৈরাচারদের বিচার না হলে এ দেশের গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়বে।’

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের আমান উল্যাহপুর আয়েশা দাখিল মাদ্রাসায় বন্যার্ত মানুষের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ্যানি বলেন, ‘গত ১৭ বছর ধরে গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করছে বিএনপি। এ সময় বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী হামলা-মামলা, গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। যারা এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, তাদের গ্রেপ্তার ও বিচার করতে হবে। স্বৈরাচারদের বিচার না হলে দেশে গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়বে। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি, দেশের মানুষের পক্ষে যেমন কাজ করতে হবে, তেমনি স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার দোসদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। পালিয়ে গেলেও তার ষড়যন্ত্র রয়ে গেছে। ভারতে বসে তিনি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। ষড়যন্ত্রের পেছনে রয়েছে দেশ থেকে পাচার করা কোটি কোটি টাকা। ওই সব টাকা দিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন স্বৈরাচার হাসিনা ও তার দোসররা। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। কোনো ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না। এ দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।’ 

বিএনপির সাবেক এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ত্রাণ থেকে শুরু করে এখন ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে, যাতে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। যে লড়াইয়ে আমরা অবতীর্ণ হয়েছিলাম, ওই গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আদায়ের লড়াই এখনো শেষ হয়নি।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান, মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, আনোয়ার হোসেন বাচ্চু ও ড্যাবের স্থানীয় চিকিৎসকরা।

রফিকুল ইসলাম/এমএ/ 

 

শেরপুরে আকস্মিক পাহাড়ি ঢল, ৫০ গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৬ পিএম
শেরপুরে আকস্মিক পাহাড়ি ঢল, ৫০ গ্রাম প্লাবিত
ছবি: খবরের কাগজ

টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে শেরপুরের ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী উপজেলায় অন্তত ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে ঝিনাইগাতী উপজেলারই ৩৫টি গ্রাম রয়েছে। 

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ভোর থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি আসা শুরু হলে পানিবন্দি হয়ে পড়ে হাজার হাজার মানুষ। এর মধ্যে মহারশি নদীর বাঁধ চার স্থানে ভেঙে ঝিনাইগাতী শহরের বহু দোকান এবং বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে গেছে। উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন সরকারি অফিসেও পানি উঠেছে।

ঝিনাইগাতী উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের মধ্যে সদর, গৌরীপুর, ধানশাইল, হতিবান্ধা ও মালিঝিকান্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব এলাকায় নদীর বাঁধ ভেঙে ও বাঁধ উপচে প্রবলবেগে ঢলের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। নিরাপদ পানি, স্যানিটেশনে সমস্যা হয়েছে। এ ছাড়াও চুলা জ্বালাতে না পেরে খাবারের কষ্টে আছে বহু মানুষ। বিশেষ করে শিশুখাদ্য ও পশুখাদ্যের সংকট তীব্র হয়েছে। 

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, টানা ভারী বর্ষণের ফলে ঝিনাইগাতীর পাহাড়ি নদী মহারশির পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে কিছু সংস্কারকাজ শুরু হলেও তা শেষ করা যায়নি। বৃষ্টি থেমে গেছে, পানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা আপাতত নেই। 

স্থানীয়রা জানায়, পানি বাড়ায় কোটি কোটি টাকার কৃষি আবাদ বিনষ্ট হয়ে কৃষকরা পথে বসেছে। এ ছাড়াও মাছের ঘের ডুবে গিয়ে কোটি কোটি টাকার মাছ ভেসে যাচ্ছে। গত ৫২ বছর ধরে তারা একটি বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন কিন্তু বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও আজও তাদের সেই দাবি বাস্তবায়ন করা হয়নি। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।

ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার বলেন, এ পর্যন্ত ৪ হাজার ২০০ হেক্টর জমির আমন ধানের আবাদ এবং ১ হাজার হেক্টর জমির সবজিখেত সম্পূর্ণ ডুবে গেছে। সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে কৃষকদের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান বলেন, ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর বাঁধ নির্মাণে ইতোমধ্যে আমরা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। ফিজিবিলিটি স্টাডি শুরু হয়েছে। পানি কমে গেলেই কাজ শুরু হবে।

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘আমরা পানবন্দি এলাকা পরিদর্শন করেছি। যারা নদীর তীরবর্তী এলাকায় আটকে পড়েছেন, তাদের উদ্ধার করা হচ্ছে। এ ছাড়া শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পানি কমে গেলে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কাউনিয়ায় বন্যায় সেতুর সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন

আমাদের রংপুরের প্রতিবেদক জানান, ভারতের উজান থেকে নেমে আশা পাহাড়ি ঢল আর কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। নদীর পানির তোড়ে বালাপাড়া ইউনিয়নের মৌলভীবাজার এলাকায় ১০ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের পাকা সেতুর সংযোগ সড়কের দুই পাশ ভেঙে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। 

সরেজমিন মৌলভীবাজার এলাকায় গেলে স্থানীয়রা জানান, বিগত বন্যায় সেতুর দুই পাশের মাটি সরে যায়। পরে স্থানীয়রা পাকা সেতুর দুই পাড়ে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে চলাচল শুরু করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য হাফিজার রহমান জানান, ইতোমধ্যে পাকা সেতুটি পশ্চিম পাশে হেলে গেছে। নদীর পানির তোড়ে সেতুর দুই পাড়ের বাঁশ ও কাঠের সাঁকো ভেঙে গেছে। ফলে বালাপাড়া, শহীদবাগ, হারাগাছ ইউনিয়ন ও লালমনিরহাটের রাজপুর ইউনিয়নের ১০ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। 

উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জেমি জানান, সেতুটি পরিদর্শন করেছি। ঢাকা থেকে একটি টিম আসার কথা, নতুন সেতু নির্মাণের জন্য। যতদ্রুত সম্ভব অর্থ বরাদ্দসাপেক্ষে সেতুটির কাজ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিদুল হক বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, পরিদর্শন করে বিকল্প পথে যাতায়াতের জন্য ব্যবস্থা করা হবে।

 

ওবায়দুল কাদেরের ভগ্নিপতিকে কুপিয়ে জখম

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৭ পিএম
ওবায়দুল কাদেরের ভগ্নিপতিকে কুপিয়ে জখম
নোয়াখালী জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মো. মনিরুজ্জামান মনির: ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালী জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মো. মনিরুজ্জামান মনিরকে (৫৮) কুপিয়ে জখম করেছে ছয় থেকে সাতজন যুবক। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভগ্নিপতি।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টায় কোম্পানীগঞ্জের চরপার্বতী ইউনিয়নের গ্রামের বাড়ি থেকে বসুরহাট যাওয়ার পথে চরহাজারী চৌরাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত মনিরুজ্জামান মনির চরপার্বতী ইউনিয়নের মৃত আক্তারুজ্জামানের ছেলে। তিনি নোয়াখালী জেলা পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের (কোম্পানীগঞ্জ) সদস্য পদ থেকে সদ্য অপসারিত হন।

ভুক্তভোগীর ভাতিজা ফখরুল ইসলাম রাহাত জানান, দুপুরে গ্রামের মসজিদে জুমার নামাজ শেষে বসুরহাটের বাসায় ফেরার সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশার গতিরোধ করে একদল দূর্বৃত্ত তাকে কুপিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেলা শহর মাইজদীর একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ছয় থেকে সাতজন যুবক লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মনিরুজ্জামানকে বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে গতিরোধ করে। পরে তাকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। হামলাকারীরা স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

তবে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন খবরের কাগজকে বলেন, হামলার বিষয়টি শুনেছি। তবে এ ঘটনায় বিএনপির কেউ জড়িত নাই। হামলাকারী যেই হোক তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, বিষয়টি কেউ পুলিশকে অবহিত করেনি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইকবাল হোসেন মজনু/এমএ/

 

সীতাকুণ্ডের ৬৭ পূজা মণ্ডপে অনুদান দিলেন আসলাম চৌধুরী

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫১ পিএম
সীতাকুণ্ডের ৬৭ পূজা মণ্ডপে অনুদান দিলেন আসলাম চৌধুরী
ছবি: খবরের কাগজ

সীতাকুণ্ড উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এলাকার ৬৭টি পূজা মণ্ডপে নগদ ২ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দলটির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী। 

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বেলা এগারোটায় আসলাম চৌধুরীর ফৌজদারহাটস্থ বাসভবনে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক মতবিনিময় শেষে এসব অনুদান তুলে দেন তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. কমল কদর, সদস্য সচিব কাজী মহিউদ্দিন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক অমলেন্দু কনক, সদস্য সচিব মনজ কুমার নাথ, পৌরসভা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক সুনন্দ ভট্টাচার্য সাগর, সদস্য সচিব কাকন দাশ, ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষে ইঞ্জিনিয়ার রতন রায়, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নারায়ণ দে, চন্দন দেবনাথ, গোপাল শর্মা, বাবুল বাহাদুর শাস্ত্রী, লিটন বৈষ্ণব প্রমুখ।

এসময় পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে তারা যেন এ উৎসব পালন করতে পারে সেজন্য বিএনপি নেতাকর্মীরা অতন্দ্র প্রহরীর মতো ভূমিকা পালন করছে। কোন দুষ্কৃতিকারী যেন অনাকাঙ্খিত কিছু করতে না পারে সেজন্য প্রশাসনের পাশাপাশি আমাদের নেতাকর্মীরাও দেখভাল করছে প্রতিটি পূজা মন্ডপে। এসময় আসলাম চৌধুরী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেসঙ্গে সারাদেশে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বায়কও জানান তিনি। 

তিনি বলেন, পূজাকে কেন্দ্র করে পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ বিশৃঙ্খলা করতে চেষ্টা করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তারা গুজব ছড়াচ্ছে। আমরা কোন অঘটন ঘটতে দিব না। যেখানেই নাশকতা করার চেষ্টা করবে তারা সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে। আমরা শান্তি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে এই উৎসব পালন শেষ করব। আমাদের ভ্রাতৃত্ব-বন্ধন, সম্প্রীতি হবে নজিরবিহীন। 

প্রসঙ্গত, আগামী ১৩ অক্টোবর শারদীয় দূর্গা পূজার দশমী অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে উপজেলার ৬৮টি পূজা মণ্ডপে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। 

সীতাকুণ্ড থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মজিবুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, উপজেলায় মোট ৬৭টি পূজা মণ্ডপে রয়েছে। এর মধ্যে পৌরসভায় আছে ১১টি। আমরা ইতোমধ্যে পূজা উদযাপন পরিষদের সঙ্গে সভা করেছি। সেখানে নানা বিষয়ে করণীয় ঠিক করা হয়েছে। আমাদের মোট ১০টি বিট গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় জনসাধারণকে নিয়ে কমিটি করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোতে সহযোগিতা করছে। এ তিনের সমন্বয়ে আমরা শান্তিপূর্ণ পূজা শেষ করতে কাজ নিরলসভাবে করছি। 

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে ২-৩টি মোবাইল টিম কাজ করছে। আনসার, গ্রাম পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে রয়েছেন। মহিলা সদস্যও রয়েছেন পর্যাপ্ত। 

মানিকগঞ্জে ম্যাগাজিনসহ শর্টগান উদ্ধার

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪৮ পিএম
মানিকগঞ্জে ম্যাগাজিনসহ শর্টগান উদ্ধার
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মানোরা এলাকা থেকে একটি শর্টগান উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম আমান উল্লাহ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সদর উপজেলার মানোরা এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি শর্টগান অস্ত্র পড়ে আছে এমন সংবাদ পায় পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে একটি ম্যাগজিনসহ শর্টগান পড়ে থাকতে দেখে। আশেপাশের পথচারীরাও এ বিষয়ে কোন তথ্য দিতে পারেনি। রাত ১২টা ১৫ মিনিটে এসআই মো. বাবলু মিয়া একটি খালি ম্যাগাজিনসহ শর্টগানটি উদ্ধার করা হয়।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি এস এম আমান উল্লাহ জানান, প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে একটি খালি ম্যাগাজিনসহ শর্টগান উদ্ধার করা হয়। এর আগে, ৪ আগস্ট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেলের লাইসেন্সকৃত একটি অস্ত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে মানিকগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের সঙ্গে জিডির দায়েরকৃত অস্ত্রের মিল পাওয়া গেছে। বর্তমানে শর্টগানটি মানিকগঞ্জ থানায় জমা আছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আসাদ জামান/এমএ/