শেরপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই মহল্লার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ট্রলিচালকসহ নিহত হয়েছেন দুইজন । আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের খোয়ারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কমপক্ষে ৫টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।
নিহত মিজানুর রহমান মিজান (৩৫) গৌরীপুর মহল্লার মৃত মৌলভী আজাহার আলীর ছেলে এবং আরিফুল ইসলাম শ্রাবণ (৩২) গৌরীপুর মহল্লার মিন্টু মিয়ার ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) গৌরীপুর ও খোয়ারপাড় মহল্লার দুই কিশোরের মধ্যে খোয়ারপাড় শাপলা চত্বরে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুই মহল্লার বাসিন্দারা মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।
এ সময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পরে আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত ট্রলিচালক মিজানুর রহমানকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আর গুরুতর আহত অবস্থায় শ্রাবণকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ভোরে শ্রাবণের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত করেন। সংঘর্ষের সময় কমপক্ষে ৫টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম খবরের কাগজকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
শাকিল মুরাদ/ইসরাত চৈতী/অমিয়/