গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় তিন টন ত্রাণের চাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। পরে জব্দ করা চালগুলো গুদামে রেখে সিলগালা করে দেওয়া হয়। গত রবিবার রাতে উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের কছিম বাজার এলাকার একটি ধানের গুদাম থেকে এগুলো জব্দ করে প্রশাসন।
কাপাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনজু মিয়া বলেন, ‘গত ৪ আগস্ট চাল বরাদ্দ হয়। সেদিন চাল তুলতে পারিনি। সম্প্রতি চাল তুলে আনি। ইউপি ভবন না থাকায় আমি চালগুলো একটি ভাড়া গুদামে রেখেছিলাম।’
প্রায় এক মাস ধরে চালগুলো গুদামে, কেন বিরতণ করলেন না? জানতে চাইলে তিনি মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
স্থানীয় বাসিন্দা জামাল হোসেন (৪৫) বলেন, ‘গরিব মানুষ ও বন্যার্তদের জন্য বরাদ্দ চাল বিতরণ না করে চেয়ারম্যান তার গুদামে রেখেছেন। পরে তিনি এসব চাল বিক্রি করতেন। সামান্য চালের লোভ সামলাতে যিনি পারেন না, এমন জনপ্রতিনিধি সমাজের কী উন্নয়ন করবেন?
মো. হারুন নামের এক যুবক বলেন, ‘চেয়ারম্যান মনজু মিয়া উপজেলা থেকে প্রায় এক মাস আগে চালগুলো নিয়ে আসেন এবং তার ভাড়া করা গুদামে রেখে দেন। বন্যার সময় চরে গিয়ে কয়েক বস্তা চাল দিয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন।’ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনজু মিয়া ত্রাণের চাল বিতরণ না করে একটি গোডাউনে রেখে দেন। পরে বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেয়ে প্রশাসনকে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন টন (৩০ কেজি চালের ১০০ বস্তা) জব্দ করা হয়। দু-এক দিনের মধ্যেই চালগুলো সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হবে।’
ইউএনও আরও জানান, ত্রাণের চাল বিতরণ না করে গুদামে রাখার কোনো সুযোগ নেই। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মনজু মিয়াকে শোকজ করা হয়েছে।