বাঁশখালীতে ওলামা লীগের মিছিলে যোগ না দেওয়ায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক শফকত হোসাইন চাটগামীর বেতন বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাঁশখালীর সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী শিক্ষক বাঁশখালী জলদী দারুল কারীম মাদরাসা মসজিদ কেন্দ্রের শিক্ষক ছিলেন।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেন ওই শিক্ষক।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, ‘২০১৫ সালে বাঁশখালী পৌরসভার জলদী দারুল কারীম মাদরাসায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গণশিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদনের পর থেকে ওই কেন্দ্রের শিক্ষক হিসেবে বেতন-ভাতা উত্তোলন করেন শফকত। তিনি ওই গণশিক্ষা কেন্দ্রের একজন নিয়মিত শিক্ষক হলেও ওলামা লীগের মিছিলে অংশ না নেওয়ায় তৎকালীন এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর নির্দেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মডেল কেয়ারটেকার ওলামা লীগের উপজেলা সভাপতি মাওলানা আক্তার ষড়যন্ত্র করে ২০২২ সালের মার্চ থেকে বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেন। সর্বশেষ ২০২২ সালের ১০ মার্চ তারিখে ব্যাংকে তার বেতন ভাতা যোগ হয়। কিন্তু ২০২৩ সালেও শফকত হোসাইন চাটগামীকে ফাউন্ডেশনের বই উপকরণ দেওয়া হয়। বিভিন্ন বৈঠকে সভায় তার স্বাক্ষর নেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষক শফকত হোসাইন চাটগামী বলেন, ‘করোনার সময় বাঁশখালীতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের হয়ে আমি লাশ দাফনের কাজে যুক্ত ছিলাম। বিভিন্ন সময় ওলামা লীগের মিছিল সমাবেশে যোগ দিতে সবার মতো আমাকেও চাপ দেওয়া হতো। মিছিলে না যাওয়ায় বাঁশখালী মডেল কেয়ারটেকার মাওলানা আক্তার স্বৈরাচারী কায়দায় আমার বেতন বন্ধ করে দিলেও আমাকে কোনো নোটিশ দেননি। আমি এই বিষয়ে তাকে জানালে তিনি আমাকে এমপি মোস্তাফিজুর রহমানের নির্দেশে আমার বেতন বন্ধ রয়েছে বলে জানান।’
এদিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গণশিক্ষা কেন্দ্র দারুল কারীম মাদরাসায় বহাল রেখে ওই শিক্ষক তার বেতন-ভাতা চালু করার পাশাপাশি আটকে রাখা বেতন-ভাতা ফিরিয়ে দিতে ইউএনও বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি ধর্ম উপদেষ্টা ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে জানানো হয়েছে।
ইউএনও বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’
জোবাইদা/অমিয়/