বালুবাহী ট্রাকে বিশেষ কৌশলে পাচারের সময় সিলেটে চোরাইপথে আনা ৩০০ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ ছাত্র-জনতা একটি ট্রাক জব্দ করেছে। অন্যদিকে নেত্রকোনার কলমাকান্দা সীমান্তে যৌথবাহিনী ২৭৪ বস্তা চিনি জব্দ করেছে।
সিলেটে ট্রাকভর্তি বালুর নিচে ত্রিপলে মুড়িয়ে চিনি পাচারের খবর পেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয় জনতা ট্রাকটি আটক করে পুলিশে খবর দেন। তাদের উপস্থিতিতে বালুচাপা দেওয়া অবস্থায় ৩০০ বস্তা চোরাই চিনি জব্দ করে পুলিশ। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া সেরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর আটক দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসএমপির এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল সোমবার এসএমপির শাহ পরাণ (রহ.) থানা এলাকার জহিরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় একটি বালুবাহী ট্রাক আটক করেন ‘ছাত্র-জনতা’। তারা চিনিগুলো চোরাইপথে আনা ভারতীয় চিনি সন্দেহে ট্রাকটি পুলিশের হেফাজতে দেন। শাহ পরাণ (রহ.) মাজার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মো. আব্দুল আজিজ আটক ট্রাকটি তল্লাশি করে ৩০০ বস্তা চিনি পান। ট্রাকে বালুর নিচে ত্রিপল দিয়ে মোড়ানো ৩০০ বস্তায় প্রতিটিতে ৪৯ কেজি করে মোট ১৪ হাজার ৭০০ কেজি ভারতীয় চিনি পাওয়া যায়। যার আনুমানিক মূল্য ১৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। এ ঘটনায় মামলায় চোরাই চিনির বাহক মো. রায়হান (২৫), ট্রাকচালক রতন আলী (৩২) ও হেলপার আলী হোসেনকে (২০) আসামি করা হয়। মঙ্গলবার আটক তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে নেত্রকোনা সীমান্তের কলমাকান্দায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে জব্দ করা হয় ২৭৪ বস্তা ভারতীয় চিনি।
মঙ্গলবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কলমাকান্দার যৌথবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার আসিফ প্রামাণিক নুহাশ।
গতকাল সোমবার মধ্যরাতে খবর পেয়ে রফিক মিয়ার গোডাউনে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। ওই গোডাউনে ২৭৪ বস্তা ভারতীয় চিনি পাওয়া যায়। এসব চিনির আনুমানিক মূল্য ১৬ লাখ টাকা।