পর্যটননগরী কক্সবাজারে রেকর্ড ভারী বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। এতে অন্তত ১৮টি সড়ক বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। হাজারো ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। আজ শনিবার বৃষ্টি কমেছে। অন্যদিকে ট্রলার ডুবে নিখোঁজ আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় পানি নামতে শুরু করেছে। ফলে ভেসে উঠেছে ক্ষতির চিহ্ন। অন্যদিকে কাদায় দুর্ভোগ বেড়েছে পর্যটক ও স্থানীয়দের।
এদিকে, গত ৪৮ ঘণ্টায় ডুবেছে আটটি মাছ ধরার ট্রলার। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৯ ট্রলারের দুই শতাধিক জেলে।
শনিবার সকালে কক্সবাজারের নাজিরারটেক পয়েন্ট থেকে দুই জেলের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে সি-সেইফ লাইফগার্ড ও সৈকতকর্মীরা।
সি-সেইফ লাইফগার্ডের ইনচার্জ ওসমান গণি বলেন, শনিবার সকালে কক্সবাজারের নাজিরাটেক পয়েন্টে ভাসমান অবস্থায় লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়। পরে অন্য জেলেরা এসে তাদের শনাক্ত করেন। প্রাথমিকভাবে তাদের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী বলে জানা গেছে।
এর আগে দায়িত্ব পালনের সময় লাইফগার্ডকর্মীরা কলাতলী পয়েন্টে একটি ট্রলার ভেসে আসতে দেখেন। পরে কাছে গিয়ে ভাসমান অবস্থায় জেলেদের তুলে আনা হয়। সেখান থেকে উদ্ধার করা একজন মারা গেছেন। তার নাম জামাল। বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা এলাকায়। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন চারজন।
সবশেষ শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রামু উপজেলার প্যাঁচার দ্বীপ পয়েন্টে ভেসে এসেছে ট্রলার ডুবে নিখোঁজ নুরুল আমিনের মরদেহ। তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখিল এলাকার সৈয়দ নুরের ছেলে।
ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, গত বুধবার থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে কক্সবাজারে। গত ৪৮ ঘণ্টা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হওয়ায় উপকূলে ফিরছিলেন জেলেরা। এ সময় অনেক ট্রলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভেসে গেছে। তার মধ্যে আটটি ট্রলার কলাতলী ও উখিয়ার ইনানীর পাটোয়ারটেক পয়েন্টে ভেসে এসেছে। সেখান থেকে তিন শতাধিক জেলে জীবিত উদ্ধার হয়েছে। এখন পর্যন্ত চার জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই ৯টি ফিশিং ট্রলারের সঙ্গে। এসব ট্রলারে থাকা দুই শতাধিক জেলের ফোন বা কোনোভাবে তাদের সঙ্গে সংযোগ হচ্ছে না। সে হিসেবে তারাও নিখোঁজ রয়েছেন।
মুহিববুল্লাহ মুহিব/ইসরাত চৈতী/অমিয়/