কক্সবাজারের টেকনাফে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বিভিন্ন ইউনিয়নে কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পৌরসভাসহ হ্নীলা, সাবরাং, হোয়াইক্যং, বাহারছড়া, সেন্টমার্টিন দ্বীপের সব নিচু এলাকা প্লাবিত রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার (১৪ সেস্টেম্বর) পর্যন্ত টানা তিন দিন ভারী বৃষ্টিপাত চলমান রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক হাজার পানিবন্দি পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে চলমান থাকবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, টেকনাফ-কক্সবাজার মহাসড়কের উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় বৃষ্টির পানি যেতে দেরি হচ্ছে। ফলে অনেক এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি সীমান্ত সড়কের কাজ চলমান থাকায় নাফ নদীর পানি গ্রামে ঢুকে ফসলি জমিসহ মাছের খামার পানিতে তলিয়ে গেছে।
হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, হ্নীলা ইউনিয়নে প্রায় হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি। এসব পানিবন্দি এলাকাগুলো হলো-গজালিয়া পাড়া, সাইট পাড়া, ফুলের ডেইল, আলী আকবর পাড়া, রঙ্গিখালী লামার পাড়া, আলীখালি, চৌধুরী পাড়া, পূর্ব পানখালী, মৌলভীবাজার লামার পাড়া, ওয়াব্রাং, সুলিশ পাড়া, পূর্ব সিকদার পাড়া।
এসব গ্রামে চলাচলের রাস্তা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পানিবন্দিদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারি জানান, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বা বিল, উলুবনিয়া, আমতলী, মিনা বাজার, উনচিপ্রাং, কাঞ্চনপাড়া, কুতুবদিয়া পাড়া, রইক্ষ্যংসহ আরও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে কয়েকশ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন জানান, আমাদের ইউনিয়নে কয়েকটি ওয়ার্ড পানিবন্দি রয়েছে। আশা করছি, বৃষ্টি কমলে পানি নেমে যাবে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী খবরের কাগজকে বলেন, টেকনাফ সদর হোয়াইক্যং, হ্নীলা এলাকায় শুকনো খাবার বিতরণের ব্যবস্থা হয়েছে। আরও খাবার বিতরণের জন্য প্রস্তুতি চলমান। জেলা প্রশাসনের কাছে বন্যাদুর্গতদের জন্য চাল চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ভূমিধসের আশঙ্কায় পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য মাইকিং করছে।
মো. শাহীন/জোবাইদা/অমিয়/