বেনাপোল বন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা ৯০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত ১০০ কোটি টাকার হোমিও ওষুধ জব্দ করেছেন কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দার সদস্যরা।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে পণ্য চালানটি জব্দ করা হয়। যার বিল অব অ্যান্ট্রি নম্বর-৬৮৭০৩।
আমদানিকারক দ্য হোমিও ওয়ার্ল্ড, চট্টগ্রাম চলতি বছরের ২৮ জুলাই ভারত থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২ হাজার ২০০ প্যাকেজের (গ্রোস ওয়েট) ২২ হাজার ২৭৯ কেজি ওজনের হোমিওপ্যাথিক ওষুধ আমদানি করে। চালানটি বেনাপোল স্থলবন্দরে ৩৪ নম্বর শেডে রক্ষিত রয়েছে, যার ম্যানিফেস্ট নম্বর ৬০১২০২৪০০২০০৪৬৩২১।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, জব্দ করা চালানটির বাজারমূল্য ১০০ কোটি টাকার বেশি। আমদানিকারক চালানটির এলসি মূল্য ৭৫ হাজার ৩১২ মার্কিন ডলার বা ৮৮ লাখ ৮৬ হাজার ৮১৬ টাকা দেখিয়েছেন। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মহিউদ্দিন আহমেদ অ্যান্ড সন্স বেনাপোল যশোর আমদানিকারকের পক্ষে কাজ করছে। পণ্য চালানটি এইচএস কোড ৩০০৪৯০২০ অনুযায়ী ১০ শতাংশ শুল্কহারে রাজস্বের জন্য ৯ লাখ ৯ হাজার ৭৬৩ টাকায় বিল অব অ্যান্ট্রি সাবমিট করেছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ওই পণ্যের এইচএস কোড হবে ৩০০৪৯০১০ এবং ৫৮.৬০ শতাংশ হারে রাজস্ব নির্ধারিত হবে বলে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনারকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। ওষুধগুলোর একেকটির দাম একেক রকম।
ঘোষণাবহির্ভূত এবং অতিরিক্ত ৯০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত (রেকটিফাইড স্পিরিট) ও চারটি আইটেমের বিপরীতে ৩৮২ আইটেমের বিভিন্ন নামের ওষুধ আমদানি করেছে বলে এনএসআই বেনাপোল স্থলবন্দরের কর্মকর্তা বিষয়টি বন্দরের শুল্ক গোয়েন্দার উপ-পরিচালক সাইফুজ্জামানকে জানালে তার নেতৃত্বে চালানটি পরীক্ষা করে গোপন তথ্য সঠিক পাওয়ায় পণ্য চালানটি জব্দ করে খালাস স্থগিত করা হয়।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার সাফায়েত হোসেন জানান, আমদানি করা কোনো পণ্যে অনিয়ম পেলে সেটা তো জব্দ করতেই হবে। আমদানিকারক দ্য হোমিও ওয়ার্ল্ড, চট্টগ্রাম হোমিও মেডিসিন নামে ঘোষণা দিয়ে এই পণ্য চালান আমদানি করে। পণ্যটি বেনাপোল বন্দরে আসার পর শনিবার সকালে আমদানি নিষিদ্ধ অতিরিক্ত ৯০ শতাংশ অ্যালকোহল পাওয়া গেছে। যে কারণে চালানটি জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে অনিয়মে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ অনিয়ম করলে কোনো প্রকার ছাড় নয়। জব্দ করা এ পণ্য চালানের ক্ষেত্রেও কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।