সীতাকুণ্ড উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এলাকার ৬৭টি পূজা মণ্ডপে নগদ ২ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দলটির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বেলা এগারোটায় আসলাম চৌধুরীর ফৌজদারহাটস্থ বাসভবনে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক মতবিনিময় শেষে এসব অনুদান তুলে দেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. কমল কদর, সদস্য সচিব কাজী মহিউদ্দিন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক অমলেন্দু কনক, সদস্য সচিব মনজ কুমার নাথ, পৌরসভা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক সুনন্দ ভট্টাচার্য সাগর, সদস্য সচিব কাকন দাশ, ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষে ইঞ্জিনিয়ার রতন রায়, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নারায়ণ দে, চন্দন দেবনাথ, গোপাল শর্মা, বাবুল বাহাদুর শাস্ত্রী, লিটন বৈষ্ণব প্রমুখ।
এসময় পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে তারা যেন এ উৎসব পালন করতে পারে সেজন্য বিএনপি নেতাকর্মীরা অতন্দ্র প্রহরীর মতো ভূমিকা পালন করছে। কোন দুষ্কৃতিকারী যেন অনাকাঙ্খিত কিছু করতে না পারে সেজন্য প্রশাসনের পাশাপাশি আমাদের নেতাকর্মীরাও দেখভাল করছে প্রতিটি পূজা মন্ডপে। এসময় আসলাম চৌধুরী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেসঙ্গে সারাদেশে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বায়কও জানান তিনি।
তিনি বলেন, পূজাকে কেন্দ্র করে পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ বিশৃঙ্খলা করতে চেষ্টা করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তারা গুজব ছড়াচ্ছে। আমরা কোন অঘটন ঘটতে দিব না। যেখানেই নাশকতা করার চেষ্টা করবে তারা সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে। আমরা শান্তি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে এই উৎসব পালন শেষ করব। আমাদের ভ্রাতৃত্ব-বন্ধন, সম্প্রীতি হবে নজিরবিহীন।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৩ অক্টোবর শারদীয় দূর্গা পূজার দশমী অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে উপজেলার ৬৮টি পূজা মণ্ডপে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
সীতাকুণ্ড থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মজিবুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, উপজেলায় মোট ৬৭টি পূজা মণ্ডপে রয়েছে। এর মধ্যে পৌরসভায় আছে ১১টি। আমরা ইতোমধ্যে পূজা উদযাপন পরিষদের সঙ্গে সভা করেছি। সেখানে নানা বিষয়ে করণীয় ঠিক করা হয়েছে। আমাদের মোট ১০টি বিট গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় জনসাধারণকে নিয়ে কমিটি করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোতে সহযোগিতা করছে। এ তিনের সমন্বয়ে আমরা শান্তিপূর্ণ পূজা শেষ করতে কাজ নিরলসভাবে করছি।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে ২-৩টি মোবাইল টিম কাজ করছে। আনসার, গ্রাম পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে রয়েছেন। মহিলা সদস্যও রয়েছেন পর্যাপ্ত।