চট্টগ্রাম মহানগরের বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোডে পাহাড় কেটে নির্মাণ করা কাঁচালংকা রেস্তোরাঁসহ কয়েকটি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। একই সঙ্গে অভিযুক্ত মো. আকতার হোসেনকে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে পাহাড় কাটার সরঞ্জাম।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অভিযান পরিচালনা করে রেস্তোরাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে নেতৃত্ব দেন কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত সিদ্দিকী। অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলার রিসার্চ অফিসার মো. আশরাফ উদ্দিন।
সহকারী কমিশনার আরাফাত সিদ্দিকী বলেন, বায়েজিদ লিংক রোডে পাহাড় কেটে ও দখল করে গড়ে তোলা একটি রেস্তোরাঁ পরিবেশ অধিদপ্তরের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পাহাড় কেটে রেস্টুরেন্ট নির্মাণে জড়িত মো. আকতার নামে একজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি দোষ স্বীকার করেননি। এ জন্য নিয়মিত মামলা দায়েরের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘যে পাহাড়ে রেস্তোরাঁ করা হয়েছিল সেটির ওপরে আরও তিনটি টিনের ঘর তৈরি করা হয়। সেগুলোও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ওই ঘরগুলো মনির নামের এক ব্যক্তি নির্মাণ করে ভাড়া দিচ্ছিল। তবে আমরা সেখানে অভিযুক্ত মনিরকে পাইনি।’
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলার রিসার্চ অফিসার মো. আশরাফ উদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা অভিযুক্ত আকতার হোসেন ও মনির হোসেনের বিরুদ্ধে আকবরশাহ থানায় পরিবেশ আইনে মামলা করেছি। এ ছাড়াও এই পাহাড়ের বিভিন্ন অংশে নির্মিত বৌদ্ধমন্দির ও অন্যান্য স্থাপনার মালিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে পাহাড় কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।’
এর আগে শনিবার ভোরে ও শুক্রবার রাতে টানা বৃষ্টির কারণে বায়েজিদ লিংক রোডে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। এ সময় লিংক রোডের এক অংশে যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হয়। পরে সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ থেকে মাটি সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
ইফতেখারুল/ইসরাত চৈতী/অমিয়/