ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে জশসে জুলুস বের করা হবে। এবারের জশনে জুলুসে ৬০ লাখের বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের সমাগম ঘটবে বলে আশা আয়োজকদের।
আগামীকাল সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় নগরের ষোলশহরের আলমগীর খানকা-এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে জুলুসটি বের করা হবে। নগরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে বিবিরহাটের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসাসংলগ্ন জুলুস মাঠে জমায়েত ও জোহরের নামাজের পর দোয়ার মধ্য দিয়ে বেলা ২টায় শেষ হবে।
আনজুমান এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হুজুর কেবলাগণ ইতোমধ্যেই ১৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের মাধ্যমে শুভাগমন করেছেন। জুলুসে উপস্থিত থাকবেন আনজুমান ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি মুহাম্মদ সামশুদ্দিন, জয়েন্ট মোহাম্মদ সিরাজুল হক, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এস এম গিয়াস উদ্দিন শাকের, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদসহ আনজুমান ট্রাস্টের কার্যকরী সদস্যরা ও গাউসিয়া কমিটির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী।
ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরিফের (পাকিস্তান) তৎকালীন সাজ্জাদদানশীন, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ৩৯তম বংশধর, আধ্যাত্মিক সাধক সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহের পরামর্শক্রমে ১৯৭৪ সাল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে জশনে জুলুস উদযাপিত হয়ে আসছে। এটি আয়োজন করে আসছে আনজুমান এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট। প্রতিবছর এই জুলুসে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমানের মিলনমেলা ঘটে আসছে। এবারের জুলুসে নেতৃত্ব দেবেন আওলাদে রাসুল সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবের শাহ (ম.জি.আ.) ও সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাশেম শাহ (ম.জি.আ.)।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে এক নির্দেশনায় জানানো হয়েছে, জুলুস চলার সময় নগরের পাঁচলাইশ থানার জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার মাঠ থেকে বিবিরহাট হয়ে মুরাদপুর, মুরাদপুর ট্রাফিক পুলিশ বক্স থেকে ডান দিকে মোড় নিয়ে ষোলশহর ২ নম্বর গেট, ষোলশহর ২ নম্বর গেট এলাকা থেকে জিইসি মোড়, লর্ডস ইন হোটেল থেকে ২ নম্বর গেট, মুরাদপুর বামে মোড় নিয়ে বিবিরহাট থেকে জামেয়া আহম্মদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণের অভিমুখে চলাচলের কারণে অভিমুখ সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।