ঢাকা ২২ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

শাহ আমানত সেতু সেতুর টোল আদায়ে কারচুপি

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৮ এএম
আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৪ পিএম
সেতুর টোল আদায়ে কারচুপি
চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতুতে টোল আদায় করা হচ্ছে/ খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুতে টোল আদায়ে কারচুপির অভিযোগ পাওয়া গেছে। কম্পিটারাইজড টোকেনে টোল আদায়ের কথা থাকলেও এখানে টোকেন না দিয়েই টাকা আদায় করা হচ্ছে। এতে সরকারি রাজস্ব আদায় তিন মাসের ব্যবধানে কোটি টাকা কমে গেছে।
 
জানা গেছে, সরকার পরিবর্তনের পর চট্টগ্রামের কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুতে টোল আদায়ে কারচুপির বিষয়টি সাধারণ মানুষের চোখে পড়ে। একাধিক যানবাহনের মালিক, চালক ও যাত্রীরা খবরের কাগজকে বিষয়টি জানিয়েছেন। বলেছেন, তাদের গাড়ি থেকে টোল আদায় করা হলেও কোনো টোকেন দেওয়া হচ্ছে না। ৫ আগস্ট থেকে এ অনিয়ম শুরু করেছে টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান ‘সেল ভ্যান জেভি’।

সূত্রমতে, গত ১ এপ্রিল থেকে দুই বছরের জন্য চট্টগ্রামের কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর টোল আদায়ের দায়িত্ব পায় ভারতীয় জয়েন্ট ভ্যানচার প্রতিষ্ঠান ‘সেল ভ্যান জেভি’। তারা দেশের আরও কয়েকটি সেতুর টোল আদায় করছে বলে জানা গেছে। চুক্তি অনুযায়ী তারা টোল আদায়ের জন্য সরকারের কাছ থেকে অর্থ পায়, যা দিয়ে তাদের জনবলের বেতন-ভাতা দেওয়া হয়। তবে এখানে রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি। টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান তাদের জনবলের বেতন এবং অন্যান্য খরচের যে বিল দেবে, সেতু কর্তৃপক্ষকে সেই বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। অর্থাৎ তারা ইচ্ছেমতো বিল তোলার সুযোগ পাচ্ছে। এতে বিল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান বিল তোলার সময় অনিয়ম করার সুযোগ পাচ্ছে। অন্যদিকে গাড়ির টোল আদায়ের সময় রসিদ না দেওয়ায় উত্তোলনকারীরা সেই টাকা নিজের পকেটে ভরছেন। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, এক সময় কমিশনের ভিত্তিতে এই সেতুতে টোল আদায় হতো। অর্থাৎ প্রতিমাসে যে পরিমাণ টোল আদায় হতো, তার থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন আদায়ের কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান পেত। সম্প্রতি এই নিয়ম পরিবর্তন করে বার্ষিক চুক্তির ভিত্তিতে টোল আদায়ে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এমরান হোসেন নামে একজন চাকরিজীবী জানান, গত ২৯ আগস্ট পটিয়া থেকে আসার সময় দেখতে পান টোলপ্লাজার কর্মীরা টোকেন ছাড়াই টাকা নিয়ে মাইক্রোবাসকে যেতে দিচ্ছেন। তিনি ওই মাইক্রোবাসের যাত্রী ছিলেন। তার গাড়ির পেছনে থাকা আরও গাড়ির ক্ষেত্রেও তিনি একই অবস্থা দেখতে পান। কোনো গাড়িকেই টোলপ্লাজা থেকে টোকেন দিতে দেখা যায়নি। 

ট্রেলার চালক মোহাম্মদ আকবর হোসেন বলেন, ‘টোকেন নিলে টোলপ্লাজায় একটি ট্রেলারকে ৭৫০ টাকা দিতে হয়। আর টোকেন ছাড়া কয়েকশ টাকা কম দিলেও হয়।’

পাওয়ার প্ল্যান্টের কাজ করা ইঞ্জিনিয়ার আবু সাঈদ বলেন, ‘শাহ আমানত সেতু দিয়ে মাইক্রোবাসে করে কিছুদিন যাওয়া-আসা করতে হয়েছে। কিন্তু আগস্ট মাসের শেষদিকে কয়েকবার আসা-যাওয়ার সময় লক্ষ্য করলাম, টোলপ্লাজা থেকে কোনো টোকেন দেওয়া হচ্ছে না। টোকেন না দিলে তো টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয় না।’ 

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সদস্যসচিব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, ‘ওই সেতু দিয়ে যাতায়াতকারী অনেক গাড়ির টোল আদায় করে টোকেন দেওয়া হয় না। এভাবে টোকেন না দিলে তো আদায়কারী প্রতিষ্ঠান টাকাগুলো রাজস্ব খাতে জমা না দেওয়ার সুযোগ পাবে। দেশকে নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে আনার জন্য বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে। রাজস্ব যেন সরকারি কোষাগারে সঠিকভাবে জমা হয়, এ জন্য টোল আদায়ে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।’

শাহ আমানত সেতুর টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান ‘সেল ভ্যান জেভি’ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল থেকে টোল আদায়ের দায়িত্ব পায় প্রতিষ্ঠানটি। এপ্রিল মাসে সাত লাখ ৭০ হাজার ৩৪২টি যানবাহন চলাচলের বিপরীতে পাঁচ কোটি ৮৭ লাখ ১৩ হাজার ৫৪১ টাকা টোল আদায় হয়েছে। মে মাসে সাত লাখ ৬০ হাজার ৩৭০টি যানবাহন চলাচল করেছে। টোল আদায় হয়েছে ছয় কোটি ৪৩ লাখ ২১ হাজার ২৭৬ টাকা। জুন মাসে সাত লাখ ৮৪ হাজার ৮৭৪টি যানবাহন থেকে টোল এসেছে ছয় কোটি ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার ৪০৮ টাকা। আর জুলাই মাসে ছয় লাখ ৪৭ হাজার ৩৯০টি যানবাহন থেকে রাজস্ব এসেছে পাঁচ কোটি ৭৮ লাখ ২০ হাজার ৪৯৮ টাকা। কিন্তু আগস্ট মাসে শাহ আমানত সেতু থেকে টোল আদায় হয়েছে পাঁচ কোটি ৪০ লাখ ৫৮ হাজার ২৯৬ টাকা। কিন্তু কী পরিমাণ গাড়ি চলাচল করেছে, সেই তথ্য দিতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। জুলাই মাস থেকে আগস্ট মাসে ২৭ লাখ ৬২ হাজার ২০২ টাকা কম আদায় হয়েছে। আবার জুন মাস থেকে আগস্টে এক কোটি ১৭ লাখ ৯৯ হাজার ১১২ টাকা কম আদায় হয়েছে।
 
শাহ আমানত সেতুর টোল আদায়ের হার হচ্ছে ট্রেলার ৭৫০ টাকা, বড় ট্রাক (সাড়ে সাত টন) ৩০০ টাকা, মাঝারি ট্রাক ২০০ টাকা, মিনি ট্রাক ১৩০ টাকা, বড় বাস ১৫৫ টাকা, মিনি বাস ৫০ টাকা, মাইক্রোবাস ১০০, প্রাইভেট কার ৫০ টাকা, তিন চাকার গাড়ি সিএনজি টেম্পো ৩০ টাকা, মোটরসাইকেল রিকশাভ্যান ১০ টাকা, কৃষিকাজের যানবাহন ১৩৫ টাকা। 

শাহ আমানত সেতুর টোল আদায়কারী ‘সেল ভ্যান জেভ’র প্রজেক্ট ম্যানেজার সুমন ঘোষ খবরের কাগজকে বলেন, ‘টোকেন না দিয়ে টাকা আদায় করার অভিযোগটি সঠিক নয়। কিন্তু অনেক গাড়ি টোকেন না নিয়ে টাকা দিয়ে চলে যায় এটা সত্য। আমরা এখন থেকে টোকেন না নিয়ে কোনো যানবাহনের মালিক, চালককে যেতে দেব না।’ 

চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নিজাম উদ্দিন জানান, দুই বছরের চুক্তির ভিত্তিতে সেল ভ্যান জেভি চট্টগ্রাম শাহ আমানত সেতুর টোল আদায় করছে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমরা জানতে পারছি কি পরিমাণ গাড়ি পাস হচ্ছে। সব গাড়ি থেকে টাকা আদায় হচ্ছে কি না, সেটিও দেখার সুযোগ রয়েছে। দৈনিক যে পরিমাণ টোল আদায় করবে, পরদিন সেই পরিমাণ টাকা ভাউচারের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে। সেই কাজ টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান করে। আমরা এখান থেকে তা তদারকি করি।

মাগুরায় সড়ক থেকে অজ্ঞাত নারীর দেহাংশ উদ্ধার

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০৭ পিএম
মাগুরায় সড়ক থেকে অজ্ঞাত নারীর দেহাংশ উদ্ধার
ছবি : খবরের কাগজ

মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও গাড়ির চাকায় একাধিকবার পিষ্ট অজ্ঞাত এক নারীর (৪০) দেহাংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।

সোমবার (৭ অক্টোবর) ভোরে যশোর-মাগুরা রোড়ের ভায়না টেক্সটাইল মিলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী শাহীন শেখ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে এই এলাকায় মানসিক ভারসাম্যহীন এই নারী চলাফেরা করছিলেন। সকালে দোকানে এসে দেখি রাস্তার মাঝখানে ওই নারীর লাশ পড়ে আছে। এ সময় রাস্তা দিয়ে চলাচল করা একাধিক গাড়ি তাকে পিষে দেয়। 

মাগুরা রামনগর হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক গৌতম চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, একাধিক গাড়ির চাপায় লাশ রাস্তায় মিশে গেছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার করি। তার পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন।

কাশেমুর শ্রাবণ/জোবাইদা/অমিয়/

টেকনাফে পুঁতে রাখা রোহিঙ্গা নারীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম
টেকনাফে পুঁতে রাখা রোহিঙ্গা নারীর লাশ উদ্ধার
ছবি : খবরের কাগজ

কক্সবাজারের টেকনাফের নোয়াখালীপাড়ায় মাটিতে পুঁতে রাখা এক রোহিঙ্গা নারীর (৮০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে মেরিনড্রাইভের পাশে গর্ত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা বলেন, মেরিনড্রাইভ সড়ক-সংলগ্ন বিভিন্ন মাছ ধরার নৌকা দিয়ে নোয়াখালীপাড়া এলাকার কিছু মানবপাচারকারী মায়ানমার থেকে টাকার বিনিময়ে সাগরপথে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসেন। এর পর তারা রোহিঙ্গাদের জিম্মি করে সঙ্গে থাকা টাকা, স্বর্ণলংঙ্কারসহ যা পায় সব লুটপাট করে নিয়ে নেয়। ধারণা করা হচ্ছে তখন ওই নারীর মৃত্যুর হয়। পরে মানবপাচারকারীরা লাশটি গর্ত করে পুঁতে রাখে।

বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আব্দুর গফুর বলেন, অস্ত্রধারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে অবস্থান করে এবং মায়ানমারকেন্দ্রিক দালালচক্রের মাধ্যমে যোগাযোগ করে। পরে অর্থের বিনিময়ে তারা রোহিঙ্গাদের মাছ ধরার নৌকা বা ট্রলার করে বাংলাদেশে প্রবেশ করায়।

তিনি বলেন, গত শুক্রবার মাছ ধরার নৌকায় মায়ানমার থেকে একদল রোহিঙ্গাকে এনে সৈকত দিয়ে প্রবেশ করায়। তখন ওই বৃদ্ধা রোহিঙ্গা নারী মারা যায় বলে শুনেছি। এ সময় রোহিঙ্গাদের কাছে থাকা স্বর্ণ ও টাকা লুটের খবর পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করে জানান, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। কয়েজন স্থানীয় মানবপাচারকারীর নাম পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মো. শাহীন/জোবাইদা/অমিয়/

নারায়ণগঞ্জের কালিরবাজারের মসলাপট্টিতে আগুন

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩২ পিএম
নারায়ণগঞ্জের কালিরবাজারের মসলাপট্টিতে আগুন
গতকাল রাত সাড়ে দশটায় নারায়ণগঞ্জের কালিরবাজারের পাইকারী মসলাপট্টিতে আগুন লেগে ১২টি দোকান পুড়ে যায়। ছবি: খবরের কাগজ

নারায়ণগঞ্জের কালিরবাজারের পাইকারী মসলাপট্টিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে ওই বাজারের পাইকারী মসলা, মুদি দোকানসহ অন্তত ১২টি দোকান পুড়ে গেছে। আহত হয়েছে এক দমকলকর্মীসহ পাঁচজন।

রবিবার (৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। 

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের কালিরবাজার এলাকায় পাইকারী মসলা পট্টিতে একটি প্লাস্টিকের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে আগুন পাশের মুদি, মসলা ও ডিমের দোকানসহ, প্লাস্টিকের দোকান ও হার্ডওয়্যারের দোকান মিলিয়ে অনন্ত ১২ টি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

 এ সময় ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের ভবনের বাসিন্দারাসহ এলাকার শত শত মানুষ রাস্তায় বের হয়ে আসেন। তারা আগুন নেভানোর চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে খবর দেয় ফায়ার সার্ভিসে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্ড নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক ফখরু উদ্দিন আহমেদ জানান, আগুনের খবর পেয়ে শহরের মন্ডলপাড়া ও হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি স্টেশন দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পুড়ে গেছে ওই মার্কেটের পাইকারী মসলার দোকান, মুদি দোকান, প্লাস্টিকের দোকানসহ বিভিন্ন ১২টি পাইকারী দোকান। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মীসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তা পরবর্তীতে খতিয়ে দেখা হবে।

বিল্লাল হোসাইন/সাদিয়া নাহার/

শাশুড়িকে শ্বাসরোধে হত্যা, সিন্দুকে মিলল মরদেহ

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫২ এএম
আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৪ পিএম
শাশুড়িকে শ্বাসরোধে হত্যা, সিন্দুকে মিলল মরদেহ
সিন্দুকের ভেতরে হায়াতুন নেছার মরদেহ

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে শাশুড়িকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বউ রুনা বেগমের (২৫) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রুনা ও তার মাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা।

রবিবার (৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে সিংগাইরের নয়াডাঙ্গী এলাকায় নিহতের শোয়ার ঘরের সিন্দুক থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত হায়াতুন নেছা নয়াডাঙ্গির মাহামুদ কাজীর স্ত্রী। 
 
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী আব্দুল খালেকের মা ও স্ত্রী একই সঙ্গে নয়াডাঙ্গীতে থাকতেন। রুনা প্রায়ই তার শাশুড়িকে না জানিয়ে ঘুরতে যেতেন। এ নিয়ে শনিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে রুনা তার শাশুড়িকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ সিন্দুকের ভেতরে লুকিয়ে রাখেন। পরে রবিবার সকালে রুনা তার শ্বশুরবাড়ি থেকে নানীর বাড়ি চলে যায়। পরে বাড়িতে কোনো সাড়া না পেয়ে স্বজনরা হায়াতুন নেছাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন।

এদিকে সন্ধ্যায় রুনা তার মাকে নিয়ে আবার শ্বশুরবাড়িতে গেলে স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যা করে মরদেহ সিন্দুকে লুকিয়ে রাখার বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে এলাকাবাসীর খবরে সিন্দুকের ভেতর থেকে হায়াতুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছেলের বউ রুনা ও তার মাকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধ করে হায়াতুন নেছাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আসাদ/পপি/অমিয়/

শারদীয় দুর্গাপূজায় আখাউড়া স্থলবন্দরে ৭ দিনের ছুটি

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৫ এএম
আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৫ এএম
শারদীয় দুর্গাপূজায় আখাউড়া স্থলবন্দরে ৭ দিনের ছুটি
শারদীয় দুর্গাপূজা ও লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে সাতদিন বন্ধ থাকবে আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি। তবে স্বাভাবিক থাকবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত। ছবি: খবরের কাগজ

সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা ও লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর সাতদিন বন্ধ থাকবে। এ সময় বন্দরে আমদানি-রপ্তানিসহ সবধরনের বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে বন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের পারাপার থাকবে স্বাভাবিক।

সোমবার (৭ অক্টোবর) আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারুক মিয়া খবরের কাগজকে বন্দর বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরে চিঠির মাধ্যমে ছুটির বিষয়টি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের তারা জানিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে আগামী ১০ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এরপর লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে ১৬ ও ১৭ অক্টোবর আরও দুইদিন বন্দরে বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। পরের দিন ১৮ অক্টোবর শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি। ১৯ অক্টোবর শনিবার থেকে বন্দরে পুনরায় বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হবে। 

আখাউড়া চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ইনচার্জ মো. খায়রুল আলম খবরের কাগজকে বলেন, ‘শারদীয় দুর্গাপূজা ও লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে বন্দরে বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী বৈধ যাত্রীদের পারাপার থাকবে আগের মতোই স্বাভাবিক।’

জুটন বনিক/সাদিয়া নাহার/