ঢাকা ২৬ কার্তিক ১৪৩১, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

রাজবাড়ীতে দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৪ এএম
আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৬ এএম
রাজবাড়ীতে দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর
সজ্জনকান্দা মধ্যপাড়া সর্বজনীন দুর্গাপূজার প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে। ছবি : খবরের কাগজ

রাজবাড়ী শহরের বাস মালিক সমিতির পাশে অবস্থিত সজ্জনকান্দা মধ্যপাড়া সর্বজনীন দুর্গাপূজার প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বেলা ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে বলে জানান মন্ডপ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ। ওই সময় মন্দিরে কোনো লোক ছিল না।

পুলিশ ও মন্দির কমিটির সাথে কথা বলে জানা যায়, অস্থায়ী মন্ডপ তৈরি করে রাজবাড়ী-ফরিদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। মন্দিরের পেছনে বাস মালিক সমিতির কার্যালয়। রাতে মন্দিরে পাহারার ব্যবস্থা ছিল। সকালে পাহারাদার চলে যায়। বেলা ১১টার দিকে ডেকোরেটরের লোকজন মন্দিরে সিসি ক্যামেরা লাগানো ও সাজসজ্জার কাজ করতে আসেন। এ সময় মন্দিরের সামনে থাকা কাপড় সরালে প্রতিমা ভাঙার বিষয়টি চোখে পড়ে।

মন্ডপে থাকা দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মীর চোখ, নাক, মুখ ভেঙে ফেলেছে। এছাড়া কার্তিক ও গনেশের ঘার থেকে ভাঙা দেখা গেছে।

ডেকোরেটরের শ্রমিক বিষয়টি মন্ডপ কমিটিকে জানালে তারা প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়টি গোপন রাখতে বলেন। সন্ধার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয় নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। অনেকেই ঘটনার সঠিক তদন্ত দাবি করে দোষীদের বিচার চান। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত হন।

অনেক বছর ধরে রাজবাড়ী বাস মালিক সমিতির আয়োজনে বাস মালিক সমিতির কার্যালয়ে সামনে মন্ডপ করে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। এ বছর বাস মালিক সমিতির আয়োজনে ওই পূজা হচ্ছে না। এ কারনে স্থানীয়দের আয়োজনে সজ্জনকান্দা মধ্যপাড়া সর্বজনীন মন্ডপে এ পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

সজ্জনকান্দা সর্বজনীন দু্র্গা মন্ডপের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাধন চন্দ্র দাস বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে কোনো কথা বলেনি।

তবে এই পুজা মন্ডপের উদ্যোক্তা কুঞ্জন সরকার জানান, কারা ঘটনা ঘটেয়েছে বিষয়টি আমরা জানি না। এজন্য কারও প্রতি আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। আর এই কারনেই আমরা ঘটনা কাউকে জানাইনি। রাতের মধ্যেই প্রতিমা আমরা ঠিক করে ফেলব। এজন্য প্রতিমাশিল্পীদেরও নিয়ে এসেছি।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোছা. শামীমা পারভীন জানান, ধারণা করা হচ্ছে  প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ঘটেছে। বিষয়টি মন্দির কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়নি। আমাদের সোর্সের মাধ্যমে জেনে দ্রুত মন্দিরে এসেছি। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আমরা শহরের প্রতিটি মন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে মন্দির কর্তৃপক্ষকে অনেকবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু এই মন্দিরে আজকে ঘটনা ঘটার পর সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুমন বিশ্বাস/অমিয়/

রাসিকে থমকে আছে এডিস দমন কার্যক্রম

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৩ এএম
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ এএম
রাসিকে থমকে আছে এডিস দমন কার্যক্রম
রাজশাহী নগর ভবন। ছবি: সংগৃহীত

আলো ঝলমলে ‘শান্তির শহর’ রাজশাহীতে মশার যন্ত্রণায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। মশার তীব্র উৎপাতের কারণে মানুষ দিনে-রাতে নিদারুণ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি বিপদে রয়েছেন বৃদ্ধ-শিশু আর শিক্ষার্থীরা। মশার কয়েল, স্প্রে ও ইলেকট্রিক ব্যাট দিয়েও মশার অত্যাচার থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না।

ফলে শুধু রাতের বেলায় নয়, অনেকে দিনেও ঘরে মশারি টানিয়ে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। তবু তারা মশার কামড় থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না। অন্যদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মশাবাহিত নানা রোগের পাশাপাশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ এত কিছুর পরও শুধু ওষুধসংকটের দোহাই দিয়ে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। এতে রাজশাহীবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নগরবাসীর অভিযোগ, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা শোবার ঘর, রাস্তা-ঘাট, হাটবাজার, অফিস, হাসপাতাল- কোথাও মশা থেকে নিস্তার নেই। চারদিকে কেবল মশা আর মশা। শহরের ড্রেনগুলোতে পানির কোনো প্রবাহ নেই। স্রোত থাকলে মশার লার্ভা ভেসে নদীতে বা খালে চলে যেত। ড্রেনের বদ্ধ পানিতে সহজেই মশা বংশ বিস্তার করছে। ক্লাস করার সময় মশার কামড়ে শিক্ষার্থীরা কাহিল হয়ে পড়ছেন। কিন্তু সংকট নিরসনে সিটি করপোরেশন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

রাসিকের তথ্যমতে, নগরীতে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার ড্রেন রয়েছে। এসব ড্রেন ও তার আশপাশের এলাকায় ব্যবহার করা হয় লার্ভিসাইড ও অ্যাডাল্টিসাইড নামে মশা নিধনের দুই ধরনের ওষুধ। গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি রাসিকের কাছে সরবরাহ করা হয় এক হাজার লিটার লার্ভিসাইড ও ৬০০ লিটার অ্যাডাল্টিসাইড। বর্তমানে মজুত আছে ১০০ লিটার লার্ভিসাইড ও ২০০ লিটার অ্যাডাল্টিসাইড, যা দিয়ে পুরো নগরীর এডিস দমন কার্যক্রম চালানো সম্ভব নয়। তবে ওষুধের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

রাসিকের পরিচ্ছন্নতা বিভাগ জানায়, মশা দমনে রাসিককে প্রতিবছর ৫৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার লার্ভিসাইড ও ১৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকার অ্যাডাল্টিসাইড কিনতে হয়। এসব প্রয়োগ ও কেরোসিন ডিজেল মিলে গড়ে প্রতিবছর মশা মারতেই রাসিকের খরচ হয় এক কোটি টাকা।
নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট বনগ্রাম এলাকার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু রাতে নয়, দিনেও মশা কামড়াচ্ছে। কয়েল জ্বালিয়েও নিস্তার পাওয়া যাচ্ছে না। বাচ্চাদের মশারির ভেতর রাখতে হচ্ছে। এত উপদ্রবের মধ্যেও গত ১০ থেকে ১৫ দিনে মশা দমনে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ওষুধ দিতে দেখা যায়নি। এখন ডেঙ্গুর ভরা মৌসুম চলছে। তাই কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতায় আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি।’

নগরীর দাশপুকুর এলাকার বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘মশা খুব বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সিটি করপোরেশনের কোনো খবর নেই। ডেঙ্গু মৌসুম চলে গেলে পরে মশা মেরে লাভ কী?’

রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত রাজশাহীতে ২ হাজার ৮৯৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৪০ জন। এ ছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন রামেক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বর্তমানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শুধু রামেক হাসপাতালেই ভর্তি আছেন ৭০ জন।
 
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য উপ-পরিচালক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার মশা বেশি। স্থানীয়ভাবে পরীক্ষার মাধ্যমে ডেঙ্গুর লার্ভাও পাওয়া গেছে। এ বছর রোগীর সংখ্যাও বেশি।

সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন বলেন, চাহিদার তুলনায় মজুত কম থাকায় এবার মশা নিধনে পর্যাপ্ত ওষুধ প্রয়োগ করা যায়নি। বর্তমানে মজুত থাকা অ্যাডাল্টিসাইড ওষুধ মাত্র সাত দিন প্রয়োগ করতে পারব। সামনে ব্রিডিং (মশার প্রজনন) মৌসুমে এগুলো প্রয়োগ করা হবে। এরই মধ্যে লার্ভিসাইট প্রয়োগ করছি। এগুলো দিয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত চালাতে পারব। এ ছাড়া আমাদের কাছে আর কোনো ওষুধ নেই।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মো. হুমায়ন কবির বলেন, এডিস মশা নিধনে সিটি করপোরেশনের কাছে ডিসেম্বর পর্যন্ত ওষুধ মজুত আছে। পরবর্তী সময়ে এই কার্যক্রম চলমান রাখতে সরকারের কাছ থেকে ওষুধ কেনা বাবদ ১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা পেয়েছি। এখন দরপত্র আহ্বান করে দ্রুতই ওষুধ কেনা হবে।

তালা প্রেসক্লাবে তালা

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৬ এএম
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৭ এএম
তালা প্রেসক্লাবে তালা
সাতক্ষীরার তালা প্রেসক্লাব। ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় ছাত্রদল-যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল থেকে তালা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন ছাত্রদল নেতা রিপন ইসলাম। তিনি তালা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক।

রবিবার (১০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তিন রাস্তার মোড়ে পাল মার্কেটে তিনি এ ঘটনার নেতৃত্ব দেন। এ  সময় সঙ্গে আরও সাত থেকে আটজন নেতা-কর্মী ছিলেন।

ঘটনার সময়ে উপস্থিত থাকা স্থানীয় সাংবাদিক ফয়সাল হোসেন বলেন, ‘একটি বিক্ষোভ মিছিল তালা উপশহর প্রদক্ষিণ করছিল। খবরের জন্য আমি সেটির ছবি ও ভিডিও ধারণ করছিলাম। মিছিলটি তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে ছাত্রদল নেতা রিপন ইসলামের নেতৃত্বে সাত থেকে আটজন নেতা-কর্মী প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেন।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত তালা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক রিপন ইসলাম বলেন, ‘বেশ কয়েকজনের অফিসে তালা লাগানো হয়েছে। এটা যদি প্রেসক্লাব হয়, তা হলে কোনো সমস্যা নেই। ভুল করে লাগিয়ে ফেলেছে। এ বিষয়ে সরাসরি বিস্তারিত কথা বলব। আমাদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররাও ছিল।’

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তালার প্রতিনিধি সাকিব ও কাদের বলেন, ‘রবিবার তালায় আমাদের কোনো কর্মসূচি ছিল না। এমন কি মিছিলেও আমাদের কেউ ছিল না। আমাদের নাম ব্যবহার করে কেউ অপকর্ম করলে দায়ভার সেই ব্যক্তি বা সংগঠনের।’

তালা উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মন্টু বলেন, ‘আমি পাটকেলঘাটায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছিলাম। তালার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এটি নিয়ে আমি কথা বলব। কোনো অপকর্মের দায় দল নেবে না।’

প্রেসক্লাবে তালা লাগানোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ‘বিষয়টি আমরা দেখছি। এ ঘটনায় যে বা যারা যুক্ত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলাম সজীব ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নির্দেশে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। অভিযোগ সত্য হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নেতারা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবেন।’

২০১৭ সালে জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক প্রণব ঘোষ ও সে সময়ের উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মশিয়ার সরদার তালা প্রেসক্লাব দখল করে নেন। এরপর থেকে প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা পাল মার্কেটে অস্থায়ী কার্যালয় নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তালায় অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা রিপন ইসলামসহ একটি বাহিনী ব্যাপক তাণ্ডব ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আর এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন রিপনসহ তার অনুসারীরা।

কলারোয়ার পৌর কাউন্সিলর বেনাপোলে গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪০ এএম
কলারোয়ার পৌর কাউন্সিলর বেনাপোলে গ্রেপ্তার
ছবি : খবরের কাগজ

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি আলফাজ উদ্দিন (৫৭)  গ্রেপ্তার হয়েছেন। 

রবিবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন থেকে তাকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা গ্রেপ্তার করে। 

তিনি সাতক্ষীরার সদর থানার একটি হত্যা মামলার আসামি। গত ২৫ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। 

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া ও বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্পের কামান্ডার নায়েব সুবেদার ফরিদ উদ্দিন জানান, তাদের কাছে আগে থেকেই গোপন খবর ছিল। এর ভিত্তিতে ইমিগ্রেশন এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়। এ সময় আলফাজ ইমিগ্রেশনের ডেস্কে তার পাসপোর্টে এক্সিট সিল মারার জন্য গেলে তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের করা হয়। এক পর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন।

তাকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। পরে তাকে কলারোয়ার সদর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ।

নজরুল ইসলাম/জোবাইদা/

ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৫ এএম
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৪ এএম
ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার
বগুড়ার এই বাড়ি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ডিপ ফ্রিজ থেকে উম্মে সালমা খাতুন (৫০) নামে এক গৃহবধূর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা সদরের বগুড়া-নওগাঁ সড়কের পাশে জয়পুরপাড়ার বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

এলাকাবাসীর ধারণা, দিনের বেলা ডাকাতি করতে এসে বাধা পেয়ে ডাকাতরা গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ ফ্রিজে রেখে গেছে। ঘরের জিনিসপত্র অগোছালো ছিল ও স্টিলের আলমারিতে কুড়ালের কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী, পুলিশ ও স্বজনরা জানান, নিহত গৃহবধূ উম্মে সালমা খাতুন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌরসভার জয়পুরপাড়ার বাসিন্দা স্থানীয় ডিএস কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ ও উপজেলা ইমাম-মোয়াজ্জেম সমিতির সভাপতি মাওলানা আজিজার রহমানের স্ত্রী। তারা নিজেদের চার তলা ভবনের তৃতীয় তলায় থাকেন।

দুপচাঁচিয়া থানার পুলিশের ইন্সপেক্টর (তদন্ত) নাসিরুল ইসলাম জানান, ঘরের আলমারিতে কুড়ালের কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন ছাড়া আর সব কিছু স্বাভাবিক ছিল। ঘটনাস্থলে ক্রাইম সিনের সদস্যরা কাজ করেন। তাৎক্ষণিকভাবে এ হত্যার কারণ জানা যায়নি।

আসিফ নজরুলকে হেনস্তা, জড়িতদের পাসপোর্ট বাতিলের দাবি

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৭ এএম
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৯ এএম
আসিফ নজরুলকে হেনস্তা, জড়িতদের পাসপোর্ট বাতিলের দাবি
ছবি : খবরের কাগজ

উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে জেনেভায় হেনস্তায় জড়িত থাকার প্রতিবাদে মুন্সীগঞ্জে মানববন্ধন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা। এ সময় হেনস্তায় জড়িত মুন্সীগঞ্জের দুই বাসিন্দাসহ সবার পাসপোর্ট বাতিল ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানায়।

রবিবার (১০ নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাব ফটকে এ মানবন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। 

ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধনে অংশ নেয় শিক্ষার্থী, আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

এ সময় বক্তরা বলেন, জেনাভায় আসিফ নজরুলকে হেনেস্তায় জড়িত রয়েছে মুন্সীগঞ্জের দুই জন। তারা হলেন সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম জমাদার ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুম খান দুলাল। বাংলাদেশে না পেরে তারা বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সম্মানিত ব্যাক্তিদের হেনস্তা করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। দ্রুত এই দুই হেনেস্তাকারীসহ সবাইকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওয়তায় আনতে হবে। প্রয়োজনে তাদের পাসপোর্ট বাতিল করতে হবে। এ বিষয়ে আইনী যত সহায়তা প্রয়োজন তা করবে আইনজীবীরা।

এ সময় মানবন্ধরকারী, বিদেশের মাটিতে আবারও কোন হেনস্তার ঘটনা ঘটলে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশে থাকা বাসভবন ঘেরাও করা হবে বলে হুশিয়ারী দেন।

মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরাম সভাপতি মো. তোতা মিয়া, অ্যাডভোকেট রোজিনা ইসলাম, অ্যাডভোকেট মো. হালিম হোসেন, ছাত্র জাহিদ হাসান, ফারদিন হাসান আবির, আজিম আহমেদ, বুলবুল আহমেদ রাজসহ অনেকে।

মঈনউদ্দিন সুমন/জোবাইদা/