যুগে যুগে ভালোবাসার টানে অনেকেই দেশ-দেশান্তরে ছুটে যায়। ভালোবাসার টানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাঝে মধ্যেই যুবক-যুবতীরা বাংলাদেশে ছুটে আসার ঘটনা আলোচিত হয় দেশজুড়ে। এবার ভালোবাসার টানে সুদুর তুরস্ক থেকে ছুটে এসেছেন মোস্তফা ফাইক (৩০) নামের এক যুবক। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের কাকিলামারি গ্রামের কলেজ পড়ুয়া তরুণী মল্লিকার (২২) প্রেমে এ দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মোস্তফা ফাইক।
মল্লিকা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের কাকিলামারী গ্রামের কামরুজ্জামান মানিকের মেয়ে। তিনি অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে মল্লিকার (২২) সঙ্গে তিন বছর আগে পরিচয় হয় তুরস্কের নাগরিক মুস্তফা ফাইকের (৩০)। পরিচয় থেকে প্রেমে রূপ নেয় সে সম্পর্ক। এর আগে সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তুর্কি যুবক মোস্তফা ফাইক, সাথে এসেছেন তার মামা মুসা। মোস্তফা তুরস্কের ইস্তাম্বুলের বাজদার এলাকার বাসিন্দা বাহারি চাবাস এর বড় ছেলে। সোমবার রাতেই স্থানীয়ভাবে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা মোহরানায় তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়।
এই খবর ছড়িয়ে পড়লে তরুণীদের বাড়িতে ভিড় করে এলাকার শতশত মানুষ। প্রত্যেকেই এই ঘটনায় আনন্দ প্রকাশ করে জানান, এরকম ঘটনা আমরা কোনো দিন দেখিনি। তুরস্কের যুবক আমাদের এলাকার মেয়ের ভালোবাসার টানে চলে এসেছে এতে আমরা অনেক খুশি। এসময় প্রত্যেকেই নবদম্পতির জন্য দোয়া ও শুভকামনা জানান।
দুই পরিবারের সম্মতিতে এ বিয়ে হয়েছে জানিয়ে মল্লিকা বলেন, আমাকে ভালোবেসে মোস্তফা তুরস্ক থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। আমি বলেছিলাম বাংলাদেশে এলে তাকে বিয়ে করবো। ধুমধাম আয়োজনে সেই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। সুখ-দুঃখে আমরা সব সময় একসঙ্গে থাকবো। এ সময় মল্লিকা তার স্বামীর সঙ্গে তুরস্কে চলে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে বলেন ভিসা হলেই চলে যাবো।
নিজেকে প্রকৌশলী দাবি করে তুরস্কের নাগরিক মুস্তফা ফাইক বলেন, ভালোবাসার মানুষকে কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি ছুটে এসেছেন। এখানকার মানুষ অত্যন্ত ভালো এবং অতিথিপরায়ণ। আমি মল্লিকাকে বিয়ে করতে পেরে খুশি। আমরা সারাজীবন একসঙ্গে থাকব।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন মোল্লা বলেন, তুরস্ক থেকে ছেলেটা তার মামাকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামে চলে এসেছে। পরিবারের সম্মতিতে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়েও করেছে। মেয়েটি শিক্ষিত, আগে থেকেই নিয়মিত কথা বলতো। আমি দোয়া করি তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হোক।
সিরাজুল ইসলাম শিশির/মাহফুজ/এমএ/