ঢাকা ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে শুরু হলো স্টার্ট-আপ স্ট্যান্ডবাই বয়লার রুমের কার্যক্রম

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৩ পিএম
আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে শুরু হলো স্টার্ট-আপ স্ট্যান্ডবাই বয়লার রুমের কার্যক্রম
ছবি: খবরের কাগজ

পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্টার্ট-আপ স্ট্যান্ডবাই বয়লার রুমে প্রথম ইগনিশনের মাধ্যমে বাষ্প সরবরাহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি সংস্থা রসাটম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরামহীন এবং নিরাপদ পরিচালনের জন্য বয়লার রুমটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, স্টার্ট-আপ স্ট্যান্ডবাই বয়লার রুমে উৎপাদিত বাষ্প বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কমিশনিং কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যার মধ্যে রয়েছে রিয়্যাক্টরের ‘হট রানিং’ এবং টার্বাইন কনডেনসারে ট্রায়াল ভ্যাকুয়াম সাপ্লাই। বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু অবস্থায় শিডিউল রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও এই বয়লারটির প্রয়োজন পড়ে। 

এ ছাড়া প্রকল্প সাইটে বিভিন্ন স্থাপনায় গরম পানি সরবরাহ এবং জরুরি শটডাউনের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ইউনিটের নিরাপদ পরিচালন নিশ্চিত করে রুমটি।

এটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের বাংলাদেশ প্রকল্প বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট আলেক্সি দেইরি জানান, রূপপুর প্রকল্পের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে আমাদের লক্ষ্য অর্জন এবং অঙ্গীকারগুলো বাস্তবায়ন করছি। স্টার্ট-আপ স্ট্যান্ডবাই বয়লার রুম চালুর মাধ্যমে এবার আমরা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য অর্জন করলাম। এটি পরবর্তীতে কমিশনিং কাজে সহায়তা করবে এবং প্রকল্পের অনেকগুলো স্থাপনার অপারেশন্স নিশ্চিত করবে। এই সব কিছুই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নিরাপদ পরিচালনার জন্য আবশ্যক।

রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।

প্রকল্পটিতে দুটি বিদ্যুৎ ইউনিট থাকবে এবং এর মোট উৎপাদন ক্ষমতা হবে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। প্রতিটি ইউনিটে স্থাপিত হবে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর যা সব আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম।

রসাটম প্রকৌশল শাখা জেনারেল ডিজাইনার এবং কন্ট্রাকটর হিসেবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

জাহাঙ্গীর হোসেন/নাইমুর/সাদিয়া নাহার/

বেনাপোল দিয়ে ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৩ পিএম
বেনাপোল দিয়ে ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি
মালবাহী ট্রেনে করে ভারতের মালদা থেকে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে আলু পৌঁছায়। ছবি: খবরের কাগজ

দেশে আলুর বাজার দর নিয়ন্ত্রণে আনতে ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে আলু আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোলের রেলওয়েস্টেশনের মাস্টার সাইদুজ্জামান।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে মালবাহী ট্রেনে করে ভারতের মালদা থেকে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে এই আলু পৌঁছায়।

আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেসার্স টাটা ট্রেডার্স। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের মেসার্স আতিফ এক্সপোর্ট।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) আমদানিকারকের পক্ষে আলুর চালানটি ছাড়ের জন্য বেনাপোল কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট করবেন বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আলম অ্যান্ড সন্স।

আলম অ্যান্ড সন্সের প্রতিনিধি নাজমুল আরেফিন জনি জানান, ‘ভারত থেকে ট্রেনের একটি রেকে ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে। কাস্টমস ও রেলওস্টেশনের কার্যক্রম শেষ হলে আলুগুলো বেনাপোল বন্দর অথবা নওয়াপাড়ায় আনলোড করা হবে। এরপর সেখান থেকে আলুগুলো ঢাকা এবং চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হবে।’

স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, ‘ভারত থেকে একটি ট্রেনের রেকে ৯ হাজার ৪৬০ ব্যাগ আলু আমদানি হয়েছে। যার ওজন ৪ লাখ ৬৮ হাজার কেজি। পণ্যের চালানটির আমদানি মূল্য ১ লাখ ৭ হাজার ৬৪০ মার্কিন ডলার।’

নজরুল ইসলাম/সুমন/এমএ/

মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে রাজশাহী

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৯ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম
মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে রাজশাহী
রাজশাহীতে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। ছবি: খবরের কাগজ

রাজশাহীতে চারদিন ধরে অধিকাংশ সময় দেখা মিলছে না সূর্যের। সেইসঙ্গে ঘন কুয়াশা ও হিমশীতল বাতাসে জেঁকে বসেছে শীত।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে আসায় হাত-পা জমে যাওয়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, শুক্রবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই এবারের শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ২২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শুক্রবার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। এর ফলে উত্তরের এই জেলায় শীত আরও বেড়ে গেছে।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের উচ্চ পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, ‘তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। সে অনুযায়ী শুক্রবার থেকে রাজশাহীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এটি কয়দিন থাকবে তা বলা যাচ্ছে না।’

মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরুর পর ভোর থেকে কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে রাজশাহী। এর সঙ্গে বয়ে চলেছে উত্তরের কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস। এতে কাবু হয়ে পড়েছে পথে-প্রান্তরে থাকা ছিন্নমূল মানুষগুলো। সূর্যের মুখ খুব একটা দেখা না যাওয়ায় রোদের উত্তাপ না পেয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন তারা।

দিনভর কুয়াশা ঢাকা প্রকৃতি পেরিয়ে সন্ধ্যা নামতেই আবারও অসহনীয় হয়ে উঠছে শীতের দাপট। শহর-নগরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে এখন শীতের কাঁপুনি বেশি অনুভূত হচ্ছে। গ্রামের মানুষের জন্য এই শীতের তীব্রতা বয়ে এনেছে বাড়তি কষ্ট ও দুর্ভোগ। হিমেল বাতাস আর তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তর জনপদের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

এ দিকে শীত নামলেও রাজশাহীতে সরকারি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সালাহ উদ্দীন আল ওয়াদুদ বলেন, আমাদের এখনও শীতবস্ত্র বরাদ্দ আসেনি। বরাদ্দ এলে জেলার সবখানেই তা বিতরণ করা হবে।

এ ছাড়া, হঠাৎ করে আবারও শীতের প্রকোপ বাড়ায় কোল্ড ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। শীত যতই বাড়ছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা ততই বাড়ছে। শিশু ও বয়স্করাই অন্যদের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস জানান, হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমানে নবজাতক শিশুরা বেশি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বয়সের শিশু ও বয়স্করাও শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে সেবা নিতে আসছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই কোল্ড ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর-সর্দি, কাশি ও হৃদরোগ নিয়ে হাসপাতালে আসছেন বলে জানান এ চিকিৎসক।

অন্যদিকে শীত বেড়ে যাওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না মানুষ। ফলে শহরের রাস্তাঘাটেও মানুষের চলাচল কিছুটা কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভোরে সূর্য উঠতে দেরি করায় কুয়াশার ভেতর খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে নিম্নআয়ের মানুষকে।

অপরদিকে, রাজশাহীর মাঠজুড়ে এখন চলছে রবিশস্যের আবাদ। সরিষা, টমেটো, শিম, লাউ, শালগম, বাঁধাকপি, আলু থেকে শুরু করে একাধিক রবি ফসল চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

অনেক ফসল ঘরে তোলার সময়ও হয়েছে। কিন্তু সপ্তাহ ধরে টানা কুয়াশায় অনেক ফসলেই বেড়েছে রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ। এ কুয়াশা দীর্ঘস্থায়ী হলে রবিশস্যের ক্ষতির আশঙ্কা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

কৃষি বিভাগ জানায়, কুয়াশার কারণে ধানের চারা হলদে হয়ে যেতে পারে। সরিষায় বিভিন্ন পোকামাকড়ের আক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া আলুর পাতায় মড়ক লাগার আশঙ্কা আছে। সাধারণত এ সময় আম গাছে মুকুল আসে। তাই ভালো ফলন পেতে বাড়তি যত্ন নিতে হবে। এসব বিষয়ে সমাধান পেতে নিকটস্থ কৃষি অফিসে যোগাযোগ করে সমাধান নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের আক্রমণসহ নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। এভাবে বেশিদিন ঘন কুয়াশা থাকলে রবি ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

এনায়েত করিম/নাবিল/এমএ/

কনেকে নিতে হেলিকপ্টারে আসলেন আইনজীবী বর

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪০ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০১ পিএম
কনেকে নিতে হেলিকপ্টারে আসলেন আইনজীবী বর
কনেকে নিজ বাড়িতে নিতে হেলিকপ্টার নিয়ে আসেন বর নাজিমউদ্দীন। ছবি: খবরের কাগজ

রংপুরের বদরগঞ্জে বিয়ে করে হেলিকপ্টারযোগে কনেকে নিয়ে গেলেন বর নাজিমউদ্দিন চৌধুরী। তিনি সিলেট জেলা জজ কোর্টের শিক্ষানবিশ আইনজীবী।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছোট হাজিপুর বড় বানিয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে হেলিকপ্টারে চড়ে বর বাড়িতে নিয়ে যান কনেকে।

কনে বিষ্ণুপুর ছোট হাজিপুর বড় বানিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সালেহা আক্তার লাবনী। তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেবিকা (নার্স)।

ছোটবেলা থেকেই নাজিমের প্রবল ইচ্ছা বউ নিয়ে আসবেন হেলিকপ্টারে। এবার সেই ইচ্ছার বাস্তব প্রতিফলন ঘটালেন তিনি।

জানা গেছে, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছোট হাজিপুর বড় বানিয়াপাড়া গ্রামের লাভলু রহমানের মেয়ে সালেহা আক্তার লাবনীর সঙ্গে সিলেট মৌলভীবাজার কুলাউড়া উপজেলার বক্সী মাইল ইউনিয়নের জাবদা গ্রামের বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন চৌধুরীর বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এদিকে হেলিকপ্টার আসার খবরে উৎসুক এলাকার শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সের হাজারো মানুষ ভিড় করেন স্কুল মাঠের পাশে। জামাই হেলিকপ্টারে কনেকে নিয়ে যাবে শুনে খুশি নতুন বউ, শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা।

বিয়ে রেজিস্ট্রার কাজী আব্দুল মাবুদ জানান, হেলিকপ্টারটি অবতরণ করার পরে কনের বাবা ও তার আত্মীয়-স্বজন বরকে উৎসবমুখর পরিবেশে বরণ করে নেন। এরপর দুই লাখ ৬০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ের রেজিস্ট্রি করেন তিনি।

কনের চাচা আতিয়ার রহমান বলেন, আগে থেকে পারিবারিকভাবে সম্পর্ক থাকায় দুই পরিবার মিলে সালেহা আক্তার লাবনী ও নাজিমউদ্দিনের বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বৃহস্পতিবার বিয়ে হয় আর আজ শুক্রবার হেলিকপ্টারে করে ছেলে আমাদের মেয়েকে নিয়ে যায়। তিনি সবার কাছে নবদম্পতির জন্য দোয়া চেয়েছেন।

সেলিম সরকার/নাবিল/এমএ/

টঙ্গীতে সা'দপন্থীদের মানহানি মামলা ও হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৭ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪০ পিএম
টঙ্গীতে সা'দপন্থীদের মানহানি মামলা ও হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
সা'দপন্থীদের হামলার বিচার এবং ইজতেমার মাঠ দখলের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: খবরের কাগজ

২০১৮ সালে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার মাঠে ছাত্র ও তাবলীগের লোকজনের ওপর সা'দপন্থীদের হামলার বিচার এবং সা'দপন্থীদের ইজতেমার মাঠ দখলের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ওলামা মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতা।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর টঙ্গী-সিলেট ও টঙ্গী পূর্ব থানার মুল গেইটে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে জুমার নামাজের পর টঙ্গীসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন মসজিদের মুসল্লিরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা গেইটে অস্থান নেয়। সেখানে তারা সা'দপন্থীদের ২০১৮ সালের হামলা, মানহানির মামলা ও কর্মকাণ্ডের বিচার দাবি করে। 

পরে দেশের বিভিন্ন ওলামায়ে কেরামের ঊর্ধ্বতন মুরুব্বীরা টঙ্গী পূর্ব থানায় উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনারের বরাবর একটি স্মারক লিপি প্রদান করেন।

পলাশ প্রধান/মাহফুজ

 

শেরপুর কারাগার ৪ মাস পর চালু

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩২ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৩ পিএম
শেরপুর কারাগার ৪ মাস পর চালু
শেরপুর জেলা কারাগার। ছবি: খবরের কাগজ

দীর্ঘ চার মাস পর সীমিত পরিসরে চালু হলো শেরপুর জেলা কারাগার।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে নতুন দায়িত্ব পাওয়া কারা তত্ত্বাবধায়ক শফিকুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে শেরপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে পাঠানো ১৩ বন্দিকে জেলা কারাগারে রেখে কার্যক্রম শুরু হয়।

পাঁচ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর শেরপুর পৌরসভার দমদমা কালিগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত শেরপুর জেলা কারাগারে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। তখন কারাগারে থাকা বন্দিরা পালিয়ে যান এবং সেখানের অস্ত্র ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করা হয়। এতে কারাগারটি অচল হয়ে পড়ে। এরপর থেকে শেরপুরের বন্দিদের জামালপুর জেলা কারাগারে রাখা হতো।

এ বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে কারাগারের সংস্কার কাজ চলছে। প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজের ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ দুটি প্রাক্কলনের কাজ এখনো অবশিষ্ট আছে।'

তিনি বলেন, ‘শেরপুরের বন্দিদের জামালপুরে আনা-নেওয়াসহ নানা বাড়তি ঝামেলার বিষয়টি বিবেচনা করে পূর্ণাঙ্গ সংস্কার কাজ শেষ না হলেও প্রাথমিক পর্যায়ে সীমিত পরিসরে কারাগারটি চালু করা হয়েছে। এখন থেকে নতুন বা পুরোনো মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের এই কারাগারেই আনা হবে।

তিনি আরও বলেন, 'পর্যায়ক্রমে জামালপুর জেলা কারাগারে বন্দিদের আদালতে হাজিরা শেষে শেরপুর কারাগারে আনা হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু হবে কারাগারটির কার্যক্রম।'

সীমিত পরিসরে কারাগারটি সচল করার আগে শেরপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান মাহমুদ বৃহস্পতিবার বিকেলে সংস্কার করা কারাগার পরিদর্শন করেন। এ সময় আদালতের অন্যান্য বিচারক ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 শাকিল মুরাদ/সুমন/এমএ/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });