বিস্ফোরক আইনের মামলায় রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক আশিকুর রহমান তুহিনকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-৫ সদর দপ্তর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার আশিকুর রহমান তুহিন নগরীর বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান কালুর ছেলে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আশিকুর রহমান তুহিন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় করা বিস্ফোরক মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। গত ২৫ সেপ্টেম্বর মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় এই মামলাটি করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নওগাঁয় অভিযান চালিয়ে জেলার ডাক্তারের মোড় এলাকা থেকে তুহিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৫ । গ্রেপ্তারের পর তাকে বোয়ালিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজশাহী চেম্বারের পরিচালক তুহিন ছাত্রলীগ কর্মী জীবন শেখ হত্যা মামলারও আসামি ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্য করা নিয়ে ২০১৫ সালের ২৮ মে রাতে নগরের রাণীবাজার এলাকায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুলি বিনিময়, ভাঙচুর ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে জীবন শেখ নামের ওই ছাত্রলীগকর্মী মারা যান এবং আরও অন্তত ১০ জন আহত হন। এ ঘটনায় তুহিনসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা হয়েছিল। পরে ঐ মামলা থেকে পার পেয়ে যান তিনি।
এদিকে, তুহিনের বাবা আতিকুর রহমান কালু একাধারে ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার। তিনি উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় পশুহাট রাজশাহীর 'সিটিহাট' এর ইজারাদার। আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২৩ সালের ১ আগস্ট কালুর নামে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে তিনিও পলাতক রয়েছেন।
এনায়েত করিম/মাহফুজ/সুমন/এমএ