ঢাকা ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

ডাকাতিয়ার ভাঙনে বিলীন ২০ বসতঘর

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৭ পিএম
ডাকাতিয়ার ভাঙনে বিলীন ২০ বসতঘর
নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীর মানবন্ধন। ছবি: খবরের কাগজ

চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নে ডাকাতিয়া নদীর ভাঙনে সম্প্রতি ২০টি বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

এছাড়া বর্ষা মৌসুম শেষে নদীর পানি কমে যাওয়ায় নতুন করে ভাঙন হুমকিতে রয়েছে সহস্রাধিক পরিবার।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে ভাঙনরোধে দ্রুত প্রদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে মানববন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও এলাকাবাসী। 

স্থানীয়রা জানান, ডাকাতিয়া নদীর ভাঙনে বাগাদী ইউনিয়নের ইসলামপুর গাছতলার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জমাদার বাড়ি, খান বাড়ি ও গাজী বাড়িসহ প্রায় দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য তাসলিমা বেগম বলেন, গত এক সপ্তাহে আমাদের গ্রামের ২০ টি পরিবারের বসতঘর ও স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে মসজিদ, মাদরাসা, বসতবাড়ি, কবরস্থান ও প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সহস্রাধিক পরিবার ভাঙন হুমকিতে রয়েছে।

একই এলাকার  জাকির হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে ভাঙন সমস্যার কথা জানিয়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিকট একাধিকবার স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে ভাঙন তীব্র হলে স্থানীয় সাবেক মন্ত্রী, এমপিসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একাধিকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছিলেন। কিন্তু ভাঙন প্রতিরোধে কোনো ধরনের কার্যকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম এই বিষয়ে বলেন, আমরা ডাকাতিয়া নদীর ভাঙন এলাকাগুলো পরিদর্শনে গিয়েছি।  ভাঙন এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে ভাঙনরোধে কাজ করা হবে

ফয়েজ আহমেদ/মাহফুজ/এমএ

হাজার মুখে হাসি ফোটাল ব্রাইট

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৩ পিএম
হাজার মুখে হাসি ফোটাল ব্রাইট
ভোলার দৌলতখান উপজেলার দেড় হাজার দুস্থ মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেন ব্রাইট সংগঠনের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

দরিদ্র কিশোর আব্দুল্লাহ। নুন আনতে পান্তা ফুরায় তার। এক হালের গরু দিয়ে টানতে হয় ছয় সদস্যের পরিবারের ঘানি। কনকনে শীত নিবারণে পাতলা কাপড়ে খুঁজতে হয় ওম।

চার সদস্যের পরিবার জন্মান্ধ ফজলুর। ভিক্ষা করে কোনো রকমে চলে সংসার। কখনো কখনো দু’বেলা পেট পুরে খাওয়াই দায়। এই শীতে তার সম্বল শুধু একটি ছেড়াকাঁথা।

প্রতিবন্ধী রেখার বিষাদ গাঁথা কৈশোর। নানীর কাঁধে ভর দিয়ে চলে তার সংসার। কখনো পেটের দায়ে হাত ফেলতে হয় অন্যের দরজায়। শীত নিবারণে সম্বল শুধু বদন ঢাকা পাতলা শাড়ি টুকুই।

এমন হাজারো দুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পাশে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ব্রাইট।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোলার দৌলতখান উপজেলার দেড় হাজার দুস্থ মানুষের হাতে শীত নিবারণে কম্বল তুলে দেন সংগঠনটির সদস্যরা। 

সংগঠনটির সভাপতি তানভির আহমেদ সুমন বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ব্রাইট। প্রতি বছরের মতো এবারও হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে উপহার হিসেবে আমরা শীত বস্ত্র বিতরণ করেছি। এবার আমরা দেড় হাজার মানুষের হাতে এই শীত বস্ত্র তুলে দিয়েছি আমাদের সেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে।

এদিন উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে শীতার্তদের শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন, সাইফুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল করিম খান, যুগ্ম সম্পাদক মুরাদ আলম মনির, মো. ফজলে রাব্বী, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মনির হোসেন, সদস্য সাইফুল মাসুদ, জিসান ও আমির হোসেন বাবু।

সাওন/মাহফুজ/

ঠাকুরগাঁও চিনিকলে আখ মাড়াই শুরু

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৯ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম
ঠাকুরগাঁও চিনিকলে আখ মাড়াই শুরু
ঠাকুরগাঁও সুগার মিলসের আখ মাড়াই উৎসব অনুষ্ঠান। ছবি: খবরের কাগজ

ঐতিহ্যবাহী ঠাকুরগাঁও সুগার মিলসের ২০২৪-২৫ মৌসুমের ৬৭তম আখ মাড়াই উৎসব আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে আখ মাড়াইয়ের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন ও মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিল।

অনুষ্ঠানে বক্তারা চিনি শিল্পের বর্তমান চ্যালেঞ্জ এবং তা মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন।

মিল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে ৬৫-৭০ দিন মিল চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই সময়ে ৮৫ হাজার টন আখ মাড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে আট হাজার টন বেশি। পুরো আখ সংগ্রহ ও মাড়াই করা সম্ভব হলে ছয় হাজার ২১০ টন চিনি উৎপাদন করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কর্তৃপক্ষ আরও জানান, এ বছর ছয় হাজার একর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। তবে পরবর্তী মৌসুমে আখ উৎপাদন আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে সাত হাজার একর জমিতে আখ চাষের পরিকল্পনা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। চাষীদের উৎসাহিত করতে আগাম সেচ সুবিধা, সার, ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘দেশীয় চিনি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে আখচাষীদের আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। আমরা চাষীদের সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।’

অন্যদিকে চাষিরা বলছেন, আখের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হলে এবং আখ সঠিক সময় মিলে সরবরাহ করা হলে তারা আখ চাষে আগ্রহী হবেন।

ঠাকুরগাঁও সুগার মিলস দেশের অন্যতম বৃহৎ চিনি কারখানা। এটি শুধু চিনি উৎপাদন নয়, আখচাষীদের জীবিকা নির্বাহেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তবে চিনি শিল্পের বর্তমান সংকট মোকাবিলায় সরকারি সহযোগিতা এবং চাষীদের সঙ্গে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নবীন হাসান/সুমন/এমএ/

সিলেটে আ.লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৫ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১০ পিএম
সিলেটে আ.লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের তিন নেতা। ছবি: খবরের কাগজ

সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোরে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক বিদায়সুলপানি গ্রামের সিরাজুল ইসলাম (৫২), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা, সরিষপুর গ্রামের রফিক মিয়া (৪০) ও বিশ্বনাথ পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ যুগ্ম সম্পাদক, পূর্ব জানাইয়া গ্রামের শামীম ওরফে চাক্কু শামীম (৩২)।

পুলিশ জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগের দিন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি প্রতিহত করতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতরা উপজেলা সদরে দেশীয় অস্ত্রসহ অবস্থান নেয়। তারা বাসিয়া ব্রিজে আল-হেরার ব্যবসায়ী জামায়াত নেতা আমজাদ আলীর ওপর হামলা চালিয়ে তাকে জখম করে। ভাঙচুর করে পোড়ানো হয় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল। পরে তাকে ধাওয়া করে ভাঙচুর করা হয় আল-হেরা মার্কেটও। এ ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা ছিল। ঘটনার পরদিন ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তারা আত্মগোপনে চলে যান। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা হয় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে। শুক্রবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুবেল মিয়া বলেন, ‘তিন পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

শাকিলা ববি/মাহফুজ/এমএ/

 

বেনাপোল দিয়ে ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৩ পিএম
বেনাপোল দিয়ে ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি
মালবাহী ট্রেনে করে ভারতের মালদা থেকে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে আলু পৌঁছায়। ছবি: খবরের কাগজ

দেশে আলুর বাজার দর নিয়ন্ত্রণে আনতে ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে আলু আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোলের রেলওয়েস্টেশনের মাস্টার সাইদুজ্জামান।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে মালবাহী ট্রেনে করে ভারতের মালদা থেকে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে এই আলু পৌঁছায়।

আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেসার্স টাটা ট্রেডার্স। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের মেসার্স আতিফ এক্সপোর্ট।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) আমদানিকারকের পক্ষে আলুর চালানটি ছাড়ের জন্য বেনাপোল কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট করবেন বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আলম অ্যান্ড সন্স।

আলম অ্যান্ড সন্সের প্রতিনিধি নাজমুল আরেফিন জনি জানান, ‘ভারত থেকে ট্রেনের একটি রেকে ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে। কাস্টমস ও রেলওস্টেশনের কার্যক্রম শেষ হলে আলুগুলো বেনাপোল বন্দর অথবা নওয়াপাড়ায় আনলোড করা হবে। এরপর সেখান থেকে আলুগুলো ঢাকা এবং চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হবে।’

স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, ‘ভারত থেকে একটি ট্রেনের রেকে ৯ হাজার ৪৬০ ব্যাগ আলু আমদানি হয়েছে। যার ওজন ৪ লাখ ৬৮ হাজার কেজি। পণ্যের চালানটির আমদানি মূল্য ১ লাখ ৭ হাজার ৬৪০ মার্কিন ডলার।’

নজরুল ইসলাম/সুমন/এমএ/

মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে রাজশাহী

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৯ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম
মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে রাজশাহী
রাজশাহীতে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। ছবি: খবরের কাগজ

রাজশাহীতে চারদিন ধরে অধিকাংশ সময় দেখা মিলছে না সূর্যের। সেইসঙ্গে ঘন কুয়াশা ও হিমশীতল বাতাসে জেঁকে বসেছে শীত।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে আসায় হাত-পা জমে যাওয়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, শুক্রবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই এবারের শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ২২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শুক্রবার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। এর ফলে উত্তরের এই জেলায় শীত আরও বেড়ে গেছে।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের উচ্চ পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, ‘তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। সে অনুযায়ী শুক্রবার থেকে রাজশাহীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এটি কয়দিন থাকবে তা বলা যাচ্ছে না।’

মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরুর পর ভোর থেকে কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে রাজশাহী। এর সঙ্গে বয়ে চলেছে উত্তরের কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস। এতে কাবু হয়ে পড়েছে পথে-প্রান্তরে থাকা ছিন্নমূল মানুষগুলো। সূর্যের মুখ খুব একটা দেখা না যাওয়ায় রোদের উত্তাপ না পেয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন তারা।

দিনভর কুয়াশা ঢাকা প্রকৃতি পেরিয়ে সন্ধ্যা নামতেই আবারও অসহনীয় হয়ে উঠছে শীতের দাপট। শহর-নগরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে এখন শীতের কাঁপুনি বেশি অনুভূত হচ্ছে। গ্রামের মানুষের জন্য এই শীতের তীব্রতা বয়ে এনেছে বাড়তি কষ্ট ও দুর্ভোগ। হিমেল বাতাস আর তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তর জনপদের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

এ দিকে শীত নামলেও রাজশাহীতে সরকারি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সালাহ উদ্দীন আল ওয়াদুদ বলেন, আমাদের এখনও শীতবস্ত্র বরাদ্দ আসেনি। বরাদ্দ এলে জেলার সবখানেই তা বিতরণ করা হবে।

এ ছাড়া, হঠাৎ করে আবারও শীতের প্রকোপ বাড়ায় কোল্ড ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। শীত যতই বাড়ছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা ততই বাড়ছে। শিশু ও বয়স্করাই অন্যদের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস জানান, হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমানে নবজাতক শিশুরা বেশি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বয়সের শিশু ও বয়স্করাও শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে সেবা নিতে আসছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই কোল্ড ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর-সর্দি, কাশি ও হৃদরোগ নিয়ে হাসপাতালে আসছেন বলে জানান এ চিকিৎসক।

অন্যদিকে শীত বেড়ে যাওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না মানুষ। ফলে শহরের রাস্তাঘাটেও মানুষের চলাচল কিছুটা কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভোরে সূর্য উঠতে দেরি করায় কুয়াশার ভেতর খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে নিম্নআয়ের মানুষকে।

অপরদিকে, রাজশাহীর মাঠজুড়ে এখন চলছে রবিশস্যের আবাদ। সরিষা, টমেটো, শিম, লাউ, শালগম, বাঁধাকপি, আলু থেকে শুরু করে একাধিক রবি ফসল চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

অনেক ফসল ঘরে তোলার সময়ও হয়েছে। কিন্তু সপ্তাহ ধরে টানা কুয়াশায় অনেক ফসলেই বেড়েছে রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ। এ কুয়াশা দীর্ঘস্থায়ী হলে রবিশস্যের ক্ষতির আশঙ্কা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

কৃষি বিভাগ জানায়, কুয়াশার কারণে ধানের চারা হলদে হয়ে যেতে পারে। সরিষায় বিভিন্ন পোকামাকড়ের আক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া আলুর পাতায় মড়ক লাগার আশঙ্কা আছে। সাধারণত এ সময় আম গাছে মুকুল আসে। তাই ভালো ফলন পেতে বাড়তি যত্ন নিতে হবে। এসব বিষয়ে সমাধান পেতে নিকটস্থ কৃষি অফিসে যোগাযোগ করে সমাধান নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের আক্রমণসহ নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। এভাবে বেশিদিন ঘন কুয়াশা থাকলে রবি ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

এনায়েত করিম/নাবিল/এমএ/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });