ঢাকা ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
English
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বেপরোয়া মমেক হাসপাতালের কর্মচারীরা

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০২ এএম
বেপরোয়া মমেক হাসপাতালের কর্মচারীরা
বেপরোয়া মমেক হাসপাতালের কর্মচারীরা

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড। ঘটনাটি গত ২৮ অক্টোবর রাত দেড়টার দিকে। আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত ট্রলিবয় রুহান হোসেন রুপু একজন রোগী নিয়ে ওই ওয়ার্ডে গিয়ে লাইট জ্বালিয়ে হল্লা করেন। 

এ সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত এক রোগী লাইট জ্বালাতে নিষেধ করলে ট্রলিবয় রুপু আহত রোগীদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। শুরু হয় কথা-কাটাকাটি। একপর্যায়ে রুপু অন্য ট্রলিবয়দের ডেকে এনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন সোহেল, সাগর, হৃদয়, শামীম এবং নাজমুল নামের ৫ জনকে মারধর করেন। এ ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সেনাবাহিনী, পুলিশ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, মহানগর ও জেলা ছাত্রদলসহ ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় ওয়ার্ড মাস্টার মো. শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত রুহান হোসেন রুপু এবং মোশারফ হোসেনকে সংশ্লিষ্ট মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের সেবার মান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি, গুড গভর্নেন্স, চিকিৎসক-রোগীর সম্পর্ক, টিকিট কাটা থেকে সেবা পাওয়া পর্যন্ত রোগীর কত সময় লাগে, এ রকম কয়েকটি বিষয়ে ৩০০ নম্বরের মধ্যে স্কোরিং করে সেরা প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হয়। ফিল্ড ভিজিট এবং রোগীর সাক্ষাৎকারও এই ফলাফলের মূল্যায়নে অন্তর্ভুক্ত হয়। মমেক হাসপাতালটি এসব কার্যক্রম যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করার ফলেই দেশ সেরা হাসপাতালের স্বীকৃতি অর্জন করে। কিন্তু বর্তমান সময়ে হাসপাতালের সেবা নিয়ে অসন্তুষ্ট রোগীরা। অসাধু কর্মচারীদের দাপটের কাছে জিম্মি তারা। ফলে হাসপাতালের সুনাম ধরে রাখতে অসাধু কর্মচারীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি রোগীদের।

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বৃহত্তর ময়মনসিংহের দুই কোটি মানুষের ভরসাস্থল এই হাসপাতাল। এ ছাড়া গাজীপুর ও সুনামগঞ্জ জেলার মানুষও চিকিৎসা নিতে এই হাসপাতালে আসেন। এক হাজার শয্যার অনুমোদিত লোকবল দিয়ে বাড়তি এসব রোগীর চাপ সামাল দিতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা।

তারপরও চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা আন্তরিকতার সঙ্গে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। রোগী ও তাদের স্বজনদের হয়রানি কিংবা সেবার নামে বাড়তি টাকা নেওয়ার কোনো অভিযোগ এলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কারও কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে প্রয়োজনীয়ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কয়েকজন রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাসপাতালে ব্যাপক দাপট কর্মচারীদের। বিশেষ করে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলার সাহসও পাওয়া যায় না। তাদের বেশির ভাগ স্থানীয় হওয়ায় বেশি প্রভাব খাটায়। ফলে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন গ্রাম থেকে আসা রোগীরা। আউটসোর্সিং ছাড়াও অসাধু কিছু স্থায়ী কর্মচারীও সেবা দেওয়ার পর বকশিশ দাবি করেন। বকশিশ না দিলে রোগী ও তাদের স্বজনদের দেখতে অসহযোগী আচরণ।

সদরের চুরখাই এলাকার বয়োবৃদ্ধ মঞ্জু মিয়া পেটে প্রচণ্ড জ্বালাপোড়া নিয়ে হাসপাতালে আসেন। হেঁটে যেতে খুব কষ্ট হয় তার। সঙ্গে ছিলেন অটোরিকশাচালক ছেলে আলমাস। ট্রলিবয়কে ডাক দিয়ে বলেন, ট্রলিতে করে তার বাবাকে ওয়ার্ডে নিয়ে যেতে। আলমাসকে ট্রলিবয় বলেন, ‘এর জন্য দেড় শ টাকা লাগবে।’ আলমাস খবরের কাগজকে বলেন, ‘তাড়াহুড়ো করে আব্বাকে হাসপাতালে আনছি। লগে যা টাকা আছিন, গাড়ি ভাড়ায় খরচ হয়ে গেছে। হাসপাতালে আইবার পরে লগে টাকা আছিল না। এ জন্য ট্রলিবয়কে টাকা দিবার পারছি না। নিজেই আব্বারে ধইরা ধীরে ধীরে ওয়ার্ডে নিয়ে গেছি।’

ইদ্রিস আলী নামের আরেকজন বলেন, ‘জেলার ফুলপুরের বালিয়া গ্রাম থেকে এসে এক সপ্তাহ ধরে শিশু ওয়ার্ডের মেঝেতে বাচ্চাকে নিয়ে ভর্তি আছি। চিকিৎসক না থাকলে নার্সদের সহযোগিতা নিচ্ছি। নার্সদের ডাক দিলে শিশুর কাছে আসেন অনেকক্ষণ পরে। পরের বার আবারও ডাক দিলে রাগারাগি করেন। এক কর্মচারী বেসরকারি হাসপাতালে চলে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু তার কথায় যাইনি। ডাক্তার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে লিখে দিয়েছিল। ওই কর্মচারী নিজ থেকেই আরেকজন লোকের সঙ্গে আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয়। তাকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট পেয়েছি। এ জন্য কর্মচারীসহ আরেকজনকে ৫০০ টাকা দিতে হয়েছে।’

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের একজন নার্স বলেন, ‘এই ওয়ার্ডে এখন শিশু রোগীর চাপ আরও বেড়েছে। তবুও আমাদের আন্তরিকতার অভাব নেই। মাঝেমধ্যে শিশুদের অভিভাবক কিংবা স্বজন একসঙ্গে এসে ডাকাডাকি করেন। তখন প্রথমে একজন অসুস্থ শিশুর কাছে গিয়ে পরে আরেক শিশুকে সেবা দেওয়া হয়। মাঝেমধ্যেই শিশুর অভিভাবক রাগারাগি করলেও আমরা চুপ থাকতে চেষ্টা করি।’

বাড়তি টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে সালাম নামের একজন কর্মচারী বলেন, ‘আমি কখনো কারও কাছ থেকে টাকা নেই না। অন্য কর্মচারী এসব করে কি না, আমার জানা নেই।’

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ময়মনসিংহের সম্পাদক আলী ইউসুফ বলেন, ‘হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা ভালো রাখতে চাইলে সেখানে অনিয়ম ও দুনীতিমুক্ত করতে হবে। হাসপাতালের কারও বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠলে চাকরিচ্যুতসহ আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।’

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার মান ভালো রাখতে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা রয়েছে। গুটি কয়েক কর্মচারীর জন্য সুনাম নষ্ট হতে দেওয়া হবে না। কোনো কর্মচারী কোনো অনিয়ম করলে কিংবা বাড়তি টাকা নিলে সচেতন রোগী কিংবা তাদের স্বজনদের উচিত আমাদের জানানো। তা হলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে আমাদের সুবিধা হয়। কর্মচারীদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। অনিয়মের প্রমাণ মিললে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

দেশের মাটিতে কেউ হাত দিলে, সে হাত ভেঙে দেব: হান্নান মাসউদ

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৬ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০০ পিএম
দেশের মাটিতে কেউ হাত দিলে, সে হাত ভেঙে দেব: হান্নান মাসউদ
হাতিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ। ছবি: খবরের কাগজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ড. ইউনূসের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। অপরাধীর চোখের দিকে তাকিয়ে তাকে অপরাধী বলতে হবে। আমাদের দেশের মাটির প্রতি কোনো দেশ যদি হাত বাড়ায় সে হাত আমরা ভেঙে দেব।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার পরিষদ মাঠে স্থানীয়দের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ঐক্য ও সংহতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

হান্নান মাসউদ বলেন, ভারত তার এজেন্ট শেখ হাসিনাকে মসনদে বসিয়ে দেশকে ধ্বংস করেছে। শুধু দেশকে ধ্বংস করে শেষ হয় নাই, দিল্লিতে বসে এখনো বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তার এ স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, দিল্লিতে বসে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে সে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই। যে দেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান একসঙ্গে বসে খায়, একসঙ্গে স্লোগান ধরে, সে দেশ কখনো সাম্প্রদায়িক দেশ হতে পারে না।

জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের কথা স্মরণ করতে গিয়ে তিনি হাতিয়াবাসীর উদ্দেশে বলেন, এখানে বৈষম্যবিরোধী লড়াই এখনো শেষ হয়নি। এখানে বৈষম্যেবিরোধী লড়াই হয় নাই বলে দ্বীপবাসী এখনো এর তাৎপর্য বুঝতে পারেনি।

এ সময় স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর সমালোচনা করে বলেন, ফ্যাসিস্টের দোসর সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী নিজের রাজনীতির স্বার্থে যখন যাকে ইচ্ছে তাকে হত্যা ও নির্যাতন করেছে। এ পর্যন্ত ৩৫ জনকে হত্যা করেছে তার মতের বিরুদ্ধে থাকায়। এ এলাকার মানুষ জুলাই অভ্যুত্থানের পর মুক্তি পেয়েছে।

মাসুদ বলেন, ফ্যাসিস্টের দোসর মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। এ ছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানের পর যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে আইনের আওতায় আনতে হবে। নতুন করে হাতিয়ায় আর কোনো চাঁদাবাজি চলবে না। যেখানে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলবে, সেখানে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

এ সময় হাতিয়া উপজেলা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মো. হানিফ উদ্দিন সাকিব/মাহফুজ

 

সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্তে কোটি টাকার চোরাচালানি মালামাল জব্দ

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৬ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৪ পিএম
সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্তে কোটি টাকার চোরাচালানি মালামাল জব্দ
বিজিবির হাতে আটক মালামাল। ছবি: সংগৃহীত

সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সীমান্তে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ কোটি টাকার চোরাচালানি মালামাল জব্দ করেছে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি)। ১০ ও ১১ ডিসেম্বরে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মালামাল জব্দ করা হয়।

৪৮ বিজিবি সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ও বুধবার ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) দায়িত্বাধীন বাংলাবাজার, সোনালীচেলা, সংগ্রাম, তামাবিল, পান্থুমাই, বিছনাকান্দি এবং কালাইরাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ভারতীয় চিনি, কমলা, শীতের কম্বল, সাবান, মোমেটা স্কিন ক্রিম, গরুর মাংস, গরু, চকলেট, সুপারি, বিড়ি, বিয়ার, মোটরসাইকেল, বাংলাদেশ হতে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ রসুন, শিং মাছ চোরাচালানি মালামাল পরিবহনে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল এবং অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারি নৌকা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মালামালের আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৭১ হাজার ১৫০ টাকা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ঊর্ধ্বতন সদরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির নিয়মিত আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্তবর্তী এলাকার অভিযান পরিচালনা করে চোরাচালানি মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত চোরাচালানি মালামাল বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শাকিলা ববি/মাহফুজ/এমএ/

চসিকের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে হবে খেলার মাঠ-শিশুপার্ক: মেয়র

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৯ পিএম
চসিকের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে হবে খেলার মাঠ-শিশুপার্ক: মেয়র
দুটি মাঠের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। ছবি : খবরের কাগজ

শিশুদের আনন্দময় শৈশব উপহার দিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ ও শিশুপার্ক গড়তে চান বলে জানিয়েছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। 

এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুটি মাঠের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।

এ সময় চসিক মেয়র গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ওয়ার্ডেও খেলার মাঠ ও শিশুপার্ক গড়তে চাই।’ এদিন ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের মহেশখালকে ঘিরেও একটি সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৭৮ লাখ ১৬ হাজার ৮৭৭ টাকা। 

আর ফিরোজ শাহ মাঠের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনে ৩ কোটি ২ লাখ ৫৬ হাজার ৮৫৭  টাকা এবং ২ কোটি ৭৪ লাখ ৫৬ হাজার ৮০০ টাকা ব্যয়ে ১১ নং ওয়ার্ডের বহুরূপী মাঠের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। 

মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, ‘আমার ইচ্ছা নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডেই খেলার মাঠ, ওয়াকিং স্পেস ও শিশুপার্ক  গড়ে তুলব। ফিরোজ শাহ ও বহুরূপী মাঠ উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা যুবসমাজকে শরীরচর্চার সুযোগ দিতে চাই, যা তাদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘নাগরিকদের সুস্থ বিনোদন সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে আমি চসিকের বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিচ্ছি। সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গেও ভূমি বরাদ্দের জন্য যোগাযোগ করেছি। আগ্রাবাদ শিশুপার্ক, জিয়া শিশুপার্ক, বহদ্দারহাট স্বাধীনতা কমপ্লেক্স নগরবাসীর জন্য উন্মুক্ত করতে পদক্ষেপ নিয়েছি। বিপ্লব উদ্যানে একটা স্ট্রাকচার করা হচ্ছিল, সেটি ভেঙে গ্রিন পার্ক করার উদ্যোগ নিয়েছি। কারণ আমি দেখেছি শিশুদের খেলার অধিকার নিয়েও বৈষম্য তৈরি হয়েছে। টার্ফ হওয়ার ফলে অসচ্ছল ঘরের ছেলেরা খেলতে পারছে না। এ কারণে আমার ইচ্ছা প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ নিশ্চিত করা। শিশুদের খেলার মাঠে ফেরাতে পারলে মাদক সমস্যা, কিশোর গ্যাং কমে আসবে।’

 

হাতকড়া নিয়ে মায়ের জানাজায় ছাত্রলীগ নেতা

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৯ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫ পিএম
হাতকড়া নিয়ে মায়ের জানাজায় ছাত্রলীগ নেতা
হাতকড়া পরা অবস্থায় মায়ের জানাজায় অংশ নেওয়া ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন। ছবি: খবরের কাগজ

চুয়াডাঙ্গায় প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় অংশ নিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন। তার হাতে হাতকড়ার ছবি ও ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা চলছে।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তিনি প্যারোলে মুক্তি পান জাহাঙ্গীর হোসেন। এরপর হাতকড়া অবস্থায় মায়ের জানাজায় অংশ নেন।

তিনি পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি। নাশকতার অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে গত ১২ নভেম্বর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে স্টোকজনিত কারণে জাহাঙ্গীরের মা আলেয়া খাতুনের (৭০) মৃত্যু হয়। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে মায়ের দাফনে অংশ নিতে জাহাঙ্গীরের প্যারোলে মুক্তি চেয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করা হয়। পরে বেলা ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাকে প্যারোলে মুক্তির অনুমতি দেওয়া হয়।

প্যারোলে মুক্তি পেয়ে পুলিশি প্রহরায় প্রথমে নিজের বাড়িতে যান জাহাঙ্গীর। হাতকড়া পরেই মায়ের লাশের খাটিয়া বহন করেন এবং জানাজা ও দাফনে অংশ নেন। জানাজার সময় তার হাতকড়ার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে অনেকেই সমালোচনা করেছেন এই বিষয়টি নিয়ে।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা খবরের কাগজকে বলেন, সার্বক্ষণিক পুলিশি পাহারায় থাকতে হবে।

আফজালুল হক/মাহফুজ/

 

সিলেটে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন নিয়ে সাংবাদিক-বেলা মতবিনিময়

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৫ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৯ পিএম
সিলেটে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন নিয়ে সাংবাদিক-বেলা মতবিনিময়
সাংবাদিকদের সঙ্গে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির মতবিনিময়। ছবি: খবরের কাগজ

সিলেটে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও বর্তমান অবস্থা বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) সিলেট। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) নগরীর ধোপাদিঘীর পাড়ের হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনালের কনফারেন্স হলে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি সিলেটের বিভাগীয় সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ সাহেদা আখতারের পরিচালনায় সভায় সিলেটের বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করে।

সভায় মুক্ত আলোচনায় সিলেটের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও বর্তমান অবস্থা এবং করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় সাংবাদিকরা পূর্বের প্রেক্ষাপট ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তর আলোচনা করে এবং বেলার পক্ষ থেকে পাথর উত্তোলন ও ওইসব এলাকার বর্তমান অবস্থা যথাযথ জরিপ করার আহ্বান ও বিভিন্ন সুপারিশও প্রদান করে।

বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সিলেটের বিভাগীয় প্রধান আইনজীবী সৈয়দা শিরীন আক্তারের সভাপতিত্বে সভায় পাথর উত্তোলনের ফলে পরিবেশের বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আলোচনা করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সফিকুল ইসলাম ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মিসবাহ উদ্দিন। এছাড়াও বেলার নেটওয়ার্ক মেম্বার অ্যাডভোকেট মো. ইরফানুজ্জামান চৌধুরী এ সংক্রান্ত বিভিন্ন আইনি বিষিয় নিয়ে আলোচনা করেন।

সাংবাদিকদের মধ্যে সভায় উপস্থিত ছিলেন সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল সিদ্দীকি, দৈনিক সিলেটের ডাকের সিনিয়র রিপোর্টার কাউসার চৌধুরী, সমকাল প্রতিনিধি ফয়সল আহমদ বাবলু, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের দেবাশিষ দেবু, দৈনিক কালের কণ্ঠের ইয়াহিয়া ফজল, ডিবিসি নিউজের প্রত্যুষ তালুকদার, বণিক বার্তার নূর আহমদ, দ্য ডেইলি স্টারের দোহা চৌধুরী, দৈনিক খবরের কাগজের নিজস্ব প্রতিবেদক শাকিলা ববি, ৭১ টিভির হুসাইন আহমদ সুজাদ, আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ইয়াহিয়া মারুফ, বিডি নিউজ টুয়েন্টিফোরের বাপ্পা মিত্র প্রমুখ।

শাকিলা ববি/মাহফুজ/এমএ/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });