বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, একটি পক্ষের ব্যর্থতার কারণে তরুণ প্রজন্ম রাজপথে নেমেছে। আজ তারাই আবার তরুণদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। রক্ত দেওয়ার সময় তরুণরা আর ক্ষমতায় গিয়ে বলবেন তোদের চিনি না, এ নীতি আর চলবে না।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ডা. মোস্তফা হাজেরা ফাউন্ডেশন আয়োজিত জুলাই বিপ্লবে নিহত ও আহতদের পরিবারকে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে আবদুল হান্নান মাসউদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তরুণদের মনোবাসনা যদি বুঝতে না পারেন ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের দিকে তাকান। ছাত্রদের চোখের ভাষা যদি বুঝতে না পারেন আওয়ামী লীগের কর্মীদের পরিণতির দিকে তাকান। এটি স্পষ্ট- চব্বিশের তরুণরাই গড়বে আগামীর বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্টদের প্রতি এখন অনেকে মায়া দরদ দেখাচ্ছেন। অনেকে বলছেন, আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল, তাদের রাজনীতি করার অধিকার দিতে হবে। তারা যদি রাজনৈতিক দলই হয় তবে গত ১৬ বছর এদেশের মানুষকে ভোটের অধিকার দেয়নি কেন? তারা রাজনৈতিক দল হলে দুই হাজারের বেশি ভাই-বোনকে হত্যা করেছে কেন? কেনো গত ১৬ বছর ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্ররা নির্যাতিত কেন? সন্ত্রাসী ও রাজনৈতিক দলের পার্থক্য না বুঝলে ধরে নিবো আপনারাও রাজনৈতিক দলের কাতারে পড়েন না।
মাসউদ বলেন, সন্ত্রাসীরা আজীবনের জন্যই সন্ত্রাসী। তারা ভবিষ্যতে এদেশের কোথাও মন্ত্রী, এমপি, চেয়ারম্যান, মেম্বার কিছুই হতে পারবে না। ফ্যাসিবাদিদের মুজিববাদি সংবিধান এখনই ছুঁড়ে ফলে দিতে হবে। যে সংবিধান কাঁটাছেড়া করে মানুষের ভোট-ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়েছে তা বাদ দিয়ে চব্বিশের তরুণদের হাত ধরে বিজ্ঞজনদের পরামর্শে নতুন সংবিধান রচনা করতে হবে।
আন্দোলনের অন্যতম এ সমন্বয়ক বলেন, আমরা এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই যেন এক-দুই যুগ পরও এ দেশের মানুষ বলতে পারে চব্বিশের তরুণরা জীবন দিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়েছে। তাদের আত্মত্যাগে আজ দেশে এই এই পরিবর্তন হয়েছে।
ডা. মোস্তফা হাজেরা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ক্যাপ্টেন গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও ছাত্র প্রতিনিধি মুহাম্মদ তুহিন ফারাবী, সংগঠনের উপদেষ্টা গোলাম মর্তুজা, জহিরুল ইসলাম, সমন্বয়ক আরিফুল ইসলাম, বনী ইয়ামিন, ফরহাদুল ইসলাম প্রমুখ।
ইকবাল/নাবিল/এমএ/