ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে গিয়েও শেষ রক্ষা হলো না রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর। অনুপ্রবেশের অভিযোগে গত ২ নভেম্বর ভারতের মালদহের হাবিবপুর ব্লকের টিকাপাড়া ও কেদারিপাড়ার মাঝে বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
বর্তমানে তিনি ভারতের আদালতে রিমান্ডে আছেন। শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কলকাতার পত্রিকা দৈনিক আনন্দবাজারের অনলাইন পোর্টালে এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ভারতে গ্রেপ্তার ফয়সাল আহমেদ রুনু ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন। তার বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভায়। তার বাবা আওয়ামী লীগ নেতা মৃত আব্দুল গফুর সরকার তিনবারের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ২০০৮ সালে নওহাটা পৌরসভার মেয়র ছিলেন। রুনু রাবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর থেকে জড়িয়ে পড়েন ক্যাম্পাসের ছাত্র রাজনীতিতে। কিন্তু রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ালেখার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না তার। ফলে হয়েছিলেন ড্রপ-আউট। ছাত্র না হয়েও বাগিয়ে নিয়েছিলেন ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান রুনু। দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন।
আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সীমান্তের টিকাপাড়া ও কেদারিপাড়া বর্ডার আউটপোস্টের মাঝখান দিয়ে উন্মুক্ত সীমান্তপথে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন তিনি। তখন সেখানে টহলরত বিএসএফের ৮৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের সদস্যরা তাকে আটক করে। সেদিন বিকেলে তাকে হবিবপুর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন বিএসএফ সদস্যরা। পরের দিন পুলিশ তাকে আদালতে তুলে রিমান্ড চায়। বিচারকের নির্দেশে প্রথমে তিন দিন ও পরে বুধবার আরও পাঁচ দিনের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয় তাকে।
ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফের কাছে ফয়সাল আহমেদ রুনু দাবি করেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পরে তিনি প্রায় দু’মাস দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। পরে প্রাণ বাঁচাতে ভারতে পালিয়ে যান।
এনায়েত করিম/মাহফুজ/এমএ/