রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জীবনগাথা ও মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকা নিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে জানাতে ও জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ইতিহাস বিকৃতি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদেরকে সচেতন করতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে সিলেট বিএনপি। অনুষ্ঠানে ৫৩০ শিক্ষার্থীকে শিক্ষা উপকরণ সামগ্রী বিতরণ ও প্রায় দেড় হাজার মানুষের মধ্যে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শিক্ষার্থীবান্ধব এ আয়োজন সবার দৃষ্টি কাড়ে। ব্যতিক্রমী এই আয়োজনের উদ্যোক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী। শিক্ষার্থীবান্ধব এ আয়োজনে যোগ দেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রো-ভিসি প্রফেসর সাজেদুল করিম, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-ক্ষুদ্র ও ঋণবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, বিএমএ সিলেটের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরীসহ প্রমুখ।
শিক্ষার্থীবান্ধব ব্যতিক্রমী আয়োজনের অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহ আহমদ খসরু। সূচনা বক্তব্য দেন আয়োজক বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে সম্মূখসমরে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। তিনি শুধু স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার উদ্যোগই নেননি, বরং সেই লক্ষ্য নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে কাজ করেছেন। তিনি সার্ক গঠন করার পাশাপাশি মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ নেওয়ার কারণেই হয়তো তাকে শাহাদাত বরণ করতে হয়েছিল। তাই শহিদ জিয়ার জীবনাদর্শ আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।’
শিক্ষার্থীদের জিয়ার জীবনগাথার পাশাপাশি ইতিহাসের নানা বাঁক বদল ও দমনপীড়নের মধ্যেও বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলের টিকে থাকার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। সেই সঙ্গে জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে অতীতে ইতিহাস বিকৃতির বিষয়ে সচেতন থাকার আহবান জানানো হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জিয়াউর রহমান যে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা শেখ মুজিবুর রহমানও স্বীকার করেছেন।
সমাপনী বক্তৃতায় অনুষ্ঠানের আয়োজক মিফতাহ্ সিদ্দিকী বক্তৃতায় বলেন, ‘শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য রয়েছে। এসব তথ্য বিভ্রান্তি দূর করতে শিক্ষার্থীদের এই অনুষ্ঠান। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের ভয়াবহ গণহত্যা শুরু হওয়ার পর ২৬ মার্চ প্রত্যুষে মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন।’
শহিদ জিয়ার জন্মশতবর্ষ পর্যন্ত প্রচারণা চালোনোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করে মিফতাহ্ সিদ্দিকী আরও বলেন, শহিদ জিয়া যে উদ্দেশ্য নিয়ে বিএনপি গঠন করেছিলেন, আমরা যদি সেই চেতনাকে ধারণ করে আগামী ১১ বছর অর্থাৎ শহিদ জিয়ার জন্মশতবর্ষ পর্যন্ত প্রচা্র কাজ করি, তাহলে ইতিহাস বিকৃতি ঘুচে যাওয়ার পাশাপাশি এই দেশ সত্যিকার অর্থে শহিদ জিয়ার স্বপ্নের স্বনির্ভর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হয়ে উঠবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপিরসহ সভাপতি সুদিপ রঞ্জন সেন ও বদরুদ্দোজা বদর, জেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি নিগার সুলতানা ডেইজি, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক কুমকুম বেগম প্রমুখ।
মাহফুজ