ঢাকা ১২ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১

খবরের কাগজে সংবাদ প্রকাশ রেলের জমিতে নিরাপত্তায় ফিরল আরএনবি

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ এএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ এএম
রেলের জমিতে নিরাপত্তায় ফিরল আরএনবি
ছবি: খবরের কাগজ

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে বাঙ্কারের নিরাপত্তায় ফিরেছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি)। গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর নিরাপত্তাহীনতায় আরএনবিকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এই সুযোগে দফায় দফায় রোপওয়ে বাঙ্কার লুটপাট চলে। এ নিয়ে খবরের কাগজে দুটি সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সর্বশেষ গত ১০ ডিসেম্বর খবরের কাগজে ‘রেলের জমিতে হরিলুট’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পরের দিনই আরএনবি মোতায়েন করা হয়। এর আগে গত ২০ অক্টোবর খবরের কাগজে ‘ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে বাঙ্কারের পাথর সাবাড়’ শিরোনামে একটি সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, গত বুধবার তাদের আবার বাঙ্কারের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় ভোলাগঞ্জ রোপওয়ের (বাঙ্কার) সংরক্ষিত এলাকায় যান ঢাকা ডিভিশনাল রেলওয়ের ম্যানেজার মো. মহিউদ্দিন আরিফ, আরএনবি চট্টগ্রামের চিফ কমান্ড্যান্ট মো. আসাবুল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তাদের সঙ্গে প্রশাসনের পক্ষে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবিদা সুলতানা ও কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান, বিজিবির কালাসাদেক বিওপির কোম্পানি কমান্ডার প্রমুখ। এর আগে একটানা দুই দিন মাইকিং করানো হয়।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবিদা সুলতানা আরএনবি সদস্যদের আবার দায়িত্বের বিষয়ে বলেছেন, বাঙ্কারের নিরাপত্তায় তারা বুধবার থেকে মাঠে থাকবেন। এখন সেখানে থাকার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় আপাতত বাইরে থেকে তারা দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে তাদের বাঙ্কারে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, সিলেটের ভোলাগঞ্জ থেকে সুনামগঞ্জের ছাতক পর্যন্ত রয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের একমাত্র রোপওয়ে (রজ্জুপথ)। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির পাশে রোপওয়ের লোডিং স্টেশনের বাঙ্কার এলাকা পড়েছে। পাথর পরিবহনে স্থল কিংবা জলযানের বিকল্প হিসেবে ১৯৬৪ সালে ভোলাগঞ্জ থেকে ছাতকে রজ্জুপথ স্থাপন করা হয়। ১১৯টি খুঁটির মাধ্যমে তৈরি হয় রোপলাইন। এর মধ্যে আছে ভোলাগঞ্জ লোডিং স্টেশন (বাঙ্কার) ও ছাতক খালাস স্টেশন। বাঙ্কারের ৩৫৯ একর জমি, অবকাঠামোসহ রেলের স্থাপনা, যন্ত্রপাতি দেখভাল করতে ২০০০ সাল থেকে আনসার বাহিনী দায়িত্বে ছিল। তবে আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও বিক্রির অভিযোগ উঠে। 

এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালে রেল মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আনসার বাহিনীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দায়িত্ব নেয় রেলওয়ের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী আরএনবি। একজন পরিদর্শক ও দুজন উপপরিদর্শকের নেতৃত্বে ৪৮ সদস্যের আরএনবি দল সার্বক্ষণিক অবস্থান করে পাহারায় নিয়োজিত করা হয়েছিল। 

গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর সংরক্ষিত ওই এলাকা থেকে রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) সরিয়ে নেওয়া হয়। এ সুযোগে শুরু হয় পাথর লুট। দিনে ও রাতে বাঙ্কার খোঁড়াখুঁড়ি করে পাথর তোলা হয়। এতে করে ঐতিহ্যবাহী এই স্থাপনা হুমকির মুখে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে বিজিবিকে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাতেও বদলায় না দৃশ্যপট। বাঙ্কার খুঁড়ে পাথর তোলা চলতেই থাকে।
গত বৃহস্পতিবার এসব লুটপাটের চিত্র দেখতে সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের উপদেষ্টা দপ্তরের ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল। পরিদর্শক দল প্রতিনিধি দল সূত্র জানায়, ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে সংরক্ষিত বাঙ্কার এলাকার ৩৫৯ একর জায়গার মধ্যে তিন শতাধিক এলাকায় খোঁড়াখুঁড়ি অবস্থায় পেয়েছে পরিদর্শক দল। সেখান থেকে প্রায় শত কোটি টাকার পাথর লুট হয়েছে। এসব পাথর বোল্ডার। উত্তোলিত বা আমদানি করা পাথরের চেয়ে বোল্ডার পাথরের দাম বেশি হওয়ায় দফায় দফায় লুটপাট হয়েছে। বাঙ্কারের সমতল অংশ যত্রতত্র খোঁড়াখুঁড়ি করায় সেখানকার বালু ও পাথর কোয়ারির ধলাই নদ অববাহিকা অঞ্চলে পরিণত হয়েছে।

বাংলদেশ রেলওয়ে প্রতিনিধি দলের পক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ মো. আজমাইন মাহতাব পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন, লোহাজাতীয় মালামাল বেশি লুট হয়েছে। এতে করে রোপওয়ের যন্ত্রাংশ প্রায় ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ৫ আগস্টের পর লুটপাটের পর দ্বিতীয় দফায় বিচ্ছিন্নভাবে আরও প্রায় ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকার পাথর লুট হয়েছে। সব মিলিয়ে রেলসম্পদ ও পাথর লুট হয়েছে দেড় শ কোটি টাকার।

৩ সাঁওতাল হত্যায় সাবেক এমপি কালামকে গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৪ পিএম
৩ সাঁওতাল হত্যায় সাবেক এমপি কালামকে গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি
গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থারের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এমপি আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান বক্তারা। ছবি: খবরের কাগজ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে তিন সাঁওতাল হত্যার বিচার দশ বছরেও হয়নি, বাস্তবায়িত হয়নি কোনো আশার বাণী। নির্যাতনের শিকার আদিবাসী সাঁওতালরা বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। উপরন্তু নতুন করে সাঁওতালদের বাড়িতে আক্রমণ করছে ভূমিদস্যুরা। সাঁওতাল পল্লীতে সশস্ত্র হামলা, নিপীড়ন, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও হত্যা মামলায় আসামি সাবেক এমপি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তার ও সম্প্রতি ব্রিটিশ সরেনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগকারী ভূমিদস্যুদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গাইবান্ধায় প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (গানাসাস) সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে বক্তারা এ দাবি জানান। আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।

২০১৬ সালের ৬ নভেম্বরের ঘটনার করুণ কাহিনী উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, আহতরা উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে কেউ পঙ্গু, কেউ শরীরে গুলির স্প্লিন্টার নিয়ে অসহ্য যন্ত্রণায় কর্মক্ষমতা হারিয়ে জীবন অতিবাহিত করছেন।

বক্তারা বলেন, শ্যামল, মঙ্গল ও রমেশ হত্যাকাণ্ড ঘটনার পর থমাস হেমব্রম বাদী হয়ে স্থানীয় তৎকালীন সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদসহ ৩৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। কিন্ত বিচার হওয়া তো দূরের কথা, মামলার আসামি আওয়ামী লীগের দলীয় সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বুলবুল আকন্দসহ অন্যান্য মূল আসামিদের কেউই গ্রেপ্তার হয়নি।

বক্তারা আরও বলেন, অতি সম্প্রতি রাজাহার ইউনিয়নের রাজাবিরাট এলাকায় আদিবাসী সাঁওতাল পল্লীর ব্রিটিশ সরেনের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে ভূমিদস্যু রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা। তারা ব্রিটিশ সরেনের বৃদ্ধ মাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। কিন্তু রফিকুল চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার হলেও অন্যান্য দুর্বৃত্তরা এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। অবিলম্বে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান বক্তারা।

আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক আইনজীবি সিরাজুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কে, পরিবেশ আন্দোলনের নেতা ওয়াজিউর রহমান রাফেল, বিশিষ্ট আইনজীবী মোহাম্মদ আলী প্রামাণিক, বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রজতকানিত্ম বর্মন, জনউদ্যোগের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্ত্তী, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের সদর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী মুসা, আইনজীবী কুশলাশীষ চক্রবর্ত্তী সাগর, সমাজ ও মানবাধিকার কর্মী মনির হোসেন সুইট, মোর্শেদ হাবীব দীপন, আদিবাসী নেতা ব্রিটিশ সরেন প্রমুখ।

সমাবেশ পরিচালনা করেন আইনজীবী ফারুক কবীর ও সাঁওতাল নেত্রী সুচিত্রা মুরমু তৃষ্ণা। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এর আগে মিছিলে তীর-ধনুক বাদ্যযন্ত্রসহ বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ফেস্টুন নিয়ে সাঁওতাল নারী-পুরুষরা সমাবেশে অংশ নেয়।

রফিক খন্দকার/মাহফুজ

 

টেকনাফ সীমান্ত এলাকা ঘুরে গেলেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৯ পিএম
টেকনাফ সীমান্ত এলাকা ঘুরে গেলেন মির্জা ফখরুল
টেকনাফ সমুদ্রসৈকতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির। ছবি: খবরের কাগজ

টেকনাফ উপজেলার সীমান্ত এলাকা ঘুরে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির। 

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১০ টায় টেকনাফের সাবরাং জিরো পয়েন্ট ও শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখেন বিএনপি মহাসচিব। 

জানা যায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগির সপরিবার নিয়ে কক্সবাজারে ব্যক্তিগত সফরে আসেন। তিনি টেকনাফ এসে শাহপরীর দ্বীপ ও সাবরাং জিরু পয়েন্ট সমুদ্রের বালিয়াড়ি ঘুরে দেখেন। সে সময় সীমান্ত উপজেলার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। 

এসময় জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মো: আব্দুল্লাহ, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায় তিনি শাহপরীর দ্বীপ বিজিবির রেস্ট হাউজে কিছুক্ষণ সময় কাটান এবং ঘণ্টাখানেক পর কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা করেন।

শাহীন/মাহফুজ

 

নাচোলে আদিবাসীদের সমবায় সমিতির কমিটি গঠন

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৯ পিএম
নাচোলে আদিবাসীদের সমবায় সমিতির কমিটি গঠন
সভাপতি বিধান সিং ও সম্পাদকবাবুলাল টপ্য। ছবি: খবরের কাগজ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আর্ত-সামাজিক উন্নয়ন সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই কমিটি গঠিত হয়। 

কমিটি গঠন নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিধান সিং সভাপতি ও বাবুলাল টপ্য সম্পাদক নির্বাচিত হন।

৯ সদস্যের এই ব্যবস্থাপনা কমিটি ঘোষণা করেন নাচোল উপজেলার সহকারী সমবায় কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম। 

আজিজ/মেহেদী/

চট্টগ্রামে ৫ দিনব্যাপী তাফসিরুল কুরআন মাহফিল শুরু সোমবার

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৯ পিএম
চট্টগ্রামে ৫ দিনব্যাপী তাফসিরুল কুরআন মাহফিল শুরু সোমবার
ছবি: থবরের কাগজ

ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের পাঁচ দিনব্যাপি তাফসিরুল কুরআন মাহফিল প্যারেড ময়দানে শুরু হচ্ছে সোমবার (২৭ জানুয়ারি)। চলবে আগামী শুক্রবার ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। ইতোমধ্যে মাহফিল সুষ্ঠুভাবে সফল করার লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং সমাজসেবক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ তাহের এ তথ্য জানান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এবারের তাফসির মাহফিলের প্রস্তুতি কাজ আরও আগে থেকে শুরু হয়েছে। এ উদ্দেশ্যে তাফসির এন্তেজামিয়া কমিটি ও ১৯টি সাব-কমিটি নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আল্লাহতায়ালার মেহেরবাণীতে প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। নগরবাসীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। আশা করছি মাহফিলে বিপুল শ্রোতার সমাবেশ ঘটবে।

ব্যাপক প্রস্তুতির মধ্যে রয়েছে মূল প্যান্ডেলে পুরুষ শ্রোতাদের বসার ব্যবস্থা, সম্মানিত মেহমান ও সাংবাদিক বন্ধুদের বসার বিশেষ ব্যবস্থা, সেনিটেশন ব্যবস্থা, দর্শক-শ্রোতাদের মৌলিক প্রয়োজন ও চাহিদা পূরণের সহায়তায় প্রয়োজনীয় স্টল। স্বেচ্ছাসেবকগণ মাঠের নিয়ম শৃঙ্খলা সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করবেন। সঙ্গে থাকবেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

মহিলা শ্রোতাদের জন্য  মহসিন কলেজের মাঠ, কাজেম আলী হাই স্কুল ও গুলজার বেগম হাইস্কুলে এবং মূল মাঠের উত্তরে কিশলয় কমিউনিটি সেন্টার ও কাপাসগোলা কলেজে মহিলা প্যান্ডেল থাকবে। এই সব প্যান্ডেলে মহিলাদের বসার, শুনার ও প্রয়োজনীয় যথাসম্ভব সেনিটেশন ব্যবস্থা থাকবে। নিয়ম শৃঙ্খলার উদ্দেশ্যে মহিলা স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করবেন।

প্যারেড মাঠের চতুর্দিকে দক্ষিণে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ মোড় ও জামালখান তথা চেরাগীপাহাড় মোড় পর্যন্ত, উত্তরে মেডিক্যাল কলেজ ও পাঁচলাইশ থানা মোড় পর্যন্ত। পূর্বে চকবাজার ধুনির পোল ও বাকলিয়া এক্সেস রোড় এর সুবিধাজনক অংশ পর্যন্ত এবং পশ্চিমে মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেল পরবর্তী সি জি এস স্কুল মোড় পর্যন্ত। চারদিকের এ সব এলাকায় অবস্থিত মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মার্কেটগুলোর সদয় সহযোগিতা চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। এ সব এলাকায় যে সব শ্রোতা সমবেত হবেন তাদের শুনার ব্যবস্থা থাকবে। যথাসম্ভব এলইডি এর ব্যবস্থা থাকবে। যথাসম্ভব সেনিটেশন ব্যবস্থা মওজুদ রাখা হবে। শান্তি ও নিয়ম শৃঙ্খলা সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত স্বোচ্ছাসেবক ব্যবস্থা থাকবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, পরিষদের সহকারী সেক্রেটারি ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, তাফসিরুল কুরআন মাহফিল এন্তেজামিয়া কমিটির প্রচার বিভাগীয় দায়িত্বশীল ও সাংবাদিক মুহাম্মদ উল্লাহ, ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সেলিম উল্লাহ জামান প্রমুখ।

আবদুস সাত্তার/এমএ/

বিএসএফের গুলিতে যুবক আহত

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫১ পিএম
বিএসএফের গুলিতে যুবক আহত
গুলিবিদ্ধ যু্বক। ছবি: খবরের কাগজ

চাঁপাইনবাগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে হাবিল উদ্দিন (৩০) নামে এক বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার তেলকুপি সীমান্তে এই ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীর থেকে এখন পর্যন্ত গুলি বের করা যায়নি বলে জানা গেছে।

আহত হাবিল উদ্দিন তেলকুপি গ্রামের বিলাল উদ্দিনের ছেলে। পেশায় তিনি কৃষক। সীমান্তে কৃষিকাজ করার সময় বিএসএফ তার পিঠে গুলি করে বলে জানা গেছে।

হাসপাতালে হাবিলের পরিবারের সদস্যরা জানান, সীমান্তসংলগ্ন গম খেতে সেচ দিতে গিয়েছিলেন হাবিল। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। পরে আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, হাবিলের শরীর থেকে এখনো গুলি বের করা যায় নি। তাকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার গুলি বের করা হবে। গুলি বের না করা পর্যন্ত তাকে শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।

এদিকে, গুলিবিদ্ধ হাবিল চিহ্নিত চোরাকারবারি বলে দাবি করেছে বিজিবি। সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানায়, ঘন কুয়াশার সুযোগ নিয়ে সাত-আটজন বাংলাদেশি চিহ্নিত চোরাকারবারি চোরাচালানের উদ্দেশে ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করলে বিএসএফ টহলদল তাদের লক্ষ্য করে দুই-তিন রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। শব্দ শুনে তাৎক্ষণিক বিজিবি টহলদল সেখানে গেলে বাংলাদেশি চোরাকারবারিরা পালিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢোকে। পরে জানা যায়, হাবিল নামের একজন বিএসএফের গুলিতে আহত হয়েছেন।

বিজিবি আরও জানায়, তেলকুপি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ পাঁচ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশি কোনো কৃষক অবস্থান করছিল না। এ ছাড়া এলাকায় তেলকুপি বিওপি কমান্ডারের নেতৃত্বে দুটি দল টহলরত অবস্থায় ছিল। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে এ ব্যাপারে বিএসএফকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।

এনায়েত করিম/মাহফুজ