শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) প্রশাসন প্রতি সেমিস্টারে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ বিভিন্ন খাতে টাকা নিলেও শিক্ষার্থীরা কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। নির্দিষ্ট করে বললে, গত ২৭ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (শাকসু) নির্বাচন না হলেও শাকসুর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইউনিয়ন ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া শিক্ষাপঞ্জি ফি ৯০ টাকা নেওয়া হলেও গত বছর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের কোনো শিক্ষাপঞ্জি, ডায়েরি সরবরাহ করছে না।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ জুয়েল বলেন, ‘প্রতিবছর দাদনের মতো অযৌক্তিক রেজিস্ট্রেশন ফি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই অযৌক্তিক ফি নেওয়া বন্ধ হোক।’ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল হোসাইন বলেন, ‘ইউনিয়ন ফি ও শিক্ষাপঞ্জি নামে খাতগুলো আরও সমৃদ্ধ করতে হবে। সব শিক্ষার্থীকে এসব সুবিধা দিতে হবে। নয়তো অযৌক্তিক ফি বাদ দিতে হবে।’
এর আগে গত ১৯ নভেম্বর খবরের কাগজে ‘শাবিতে প্রতিবছর বাড়ছে রেজিস্ট্রেশন ও ক্রেডিট ফি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে প্রতিবছর রেজিস্ট্রেশন ও ক্রেডিট ফি বাড়ানোর কারণে কীভাবে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীরা কষ্টের মধ্যে আছেন, সেটা তুলে ধরা হয়। তবে শিক্ষার্থীদের নানামুখী সমালোচনার মুখেও নতুন সেমিস্টারে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি ২৫০ টাকা বাড়নো হয়েছে।
পদাধিকার বলে শাকসুর কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘অতীতে আমি ছিলাম না তাই এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে পারছি না। কিন্তু ভবিষ্যতে যেন শাকসু নির্বাচন হয় এবং এই টাকাটা যেন শাকসুর জন্যই ব্যবহার করা হয়, এ বিষয়টা নিশ্চিত করব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ এছাক মিয়া বলেন, ‘এই বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমরা বিষয়গুলো নিয়ে যৌক্তিক চিন্তাভাবনা করছি। এ ব্যাপারে একটা কমিটি গঠন করা হবে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাজেদুল করিম বলেন, ‘এই বিষয়গুলো ইতোমধ্যে একাডেমিক কাউন্সিলের এজেন্ডাভুক্ত হয়েছে। শিক্ষকরা এ ব্যাপারে আলোচনা করে কী সিদ্ধান্ত নেন সেটা শিগগিরই জানিয়ে দেওয়া হবে।’