ঢাকা ৫ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

দেলোয়ারের কবর ছুঁয়ে প্রতিদিন বিলাপ করেন মা

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১২ এএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২১ এএম
দেলোয়ারের কবর ছুঁয়ে প্রতিদিন বিলাপ করেন মা
মো. দেলোয়ার হোসেন

‌‘ওরে আমার বাজান, তুই আমারে ছাইরা কই গেলি। কত্তদিন তোরে আমি দেহি না। আমি তোর দুঃখিনী মা। তুই ফিইরা আয় বাজান। আমি তোরে নিজ আতে ভাত মাখায়া খাওয়ামু। ওরা কয় তোরে নাকি কারা মাইরা হালাইছে। তুই নাই, এইডা মিত্যা কতা।’

কোট সংস্কার আন্দোলনে নিহত মো. দেলোয়ার হোসেনের (৩৫) কবর ছুঁয়ে এমন বিলাপ করেন মা জিন্নাতুন নেছা (৬৯)। দেলোয়ারের মৃত্যুর প্রায় সাড়ে চার মাস পেরিয়ে গেলেও মায়ের বিলাপ থামেনি। প্রতিদিনই ছেলের কবরের পাশে বসে এমন বিলাপ করে আঁচল ভেজান জিন্নাতুন নেছা। 

দেলোয়ার ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের কাচিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। জিন্নাতুন নেছার পাঁচ ছেলের মধ্যে দেলোয়ার আর্থিকভাবে সচ্ছল ছিলেন। তাই স্বামীহারা জিন্নাতুন নেছা ঢাকায় দেলোয়ারের কাছে থাকতেন। খাওয়া-দাওয়া ও চিকিৎসা থেকে শুরু করে মায়ের পুরো খরচ চালাতেন দেলোয়ার। কিন্তু দেলোয়ার নিহত হওয়ায় এখন তিনি ভোলায় অপর ছেলে দিনমজুর আনোয়ারের কাছে থাকেন। সেখানে কোনোমতে তিনবেলা ভাত খেতে পারলেও টাকার অভাবে নিয়মিত তার ওষুধ জোটে না। 

দেলোয়ারের স্ত্রী লিজা বলেন, ‘আমার স্বামী গত ১৯ জুলাই বিকেল ৪টার দিকে একটি কাজে ঢাকার মিরপুর-১০ নম্বরে যান। এ সময় গোলচত্বর এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এ অবস্থায় দেলোয়ারের তলপেটে তিনটি গুলি লাগে। একপর্যায়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে একে একে তিনটি হাসপাতালে নিলেও কেউ তাকে চিকিৎসা দিতে রাজি হননি। এতে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পরে তাকে শ্যামলী সিটি কেয়ার জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। ওই দিন রাতেই অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু ২১ জুলাই সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ওই দিন সন্ধ্যার দিকে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। দেলোয়ার নেই। কিন্তু তার চিকিৎসায় ব্যয় করা প্রায় চার লাখ টাকার ঋণ রয়ে গেছে। এই ঋণ কীভাবে পরিশোধ করব, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’ 

লিজা আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে দেলোয়ারের ঢাকার ফার্নিচারের দোকানটি ছেড়ে দিয়েছি। এখন আমার ছেলে রাব্বি হাসান (১৩), মেয়ে হাসনুর (৬) ও ছেলে হোসাইনকে (১৮ মাস) নিয়ে আর্থিক সংকটে আছি।’

তিনি জানান, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা অনুদান পেয়েছেন। এ ছাড়া তিনি আর কোনো অনুদান পাননি। 

লিজার দাবি, সরকার যেন আমাদের ঋণ পরিশোধ ও সংসার চালানোর মতো ব্যবস্থা দেয়। 

সূত্র: বাসস

আমরা কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী: বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম
আমরা কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী: বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মঞ্জুর মোরশেদ আলম। ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মঞ্জুর মোরশেদ আলম বলেছেন ‘কোন ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না ৷ আমরা আগের মতো নই ৷ আমরা কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী’। তিনি বলেন, আমরা শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত থাকবো ৷ জনগণের সঙ্গে থাকবে সুসম্পর্ক ৷ মাদক, ইভটিজিং ও চাঁদাবাজি বন্ধে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা সবাই মিলে সমৃদ্ধ, ঐক্যবদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়বো ৷

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ পৌর অডিটরিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাকেরগঞ্জে সুশীল সমাজের আয়োজনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিবৈষম্যহীন মানুষের সঙ্গে সাম্প্রতিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশেষ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার মো. শরিফ উদ্দীন, এডিশনাল এসপি (বাকেরগঞ্জ সার্কেল) মো. আলাউল হাসান, বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ ৷

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন- বাকেরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক ফিরোজ আলম ৷ সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন বাকেরগঞ্জ থানা অফিসার ইন চার্জ সফিকুল ইসলাম ৷

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাকেরগঞ্জ উপজেলা পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির জোমাদ্দার, বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নাসির হাওলাদার প্রমুখ ৷

এমএ/

প্রায় ২০ লাখ টাকা ও ইয়াবাসহ বিএনপি নেতার স্ত্রী-ছেলে আটক

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৬ পিএম
প্রায় ২০ লাখ টাকা ও ইয়াবাসহ বিএনপি নেতার স্ত্রী-ছেলে আটক
যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক দুইজন। ছবি: খবরের কাগজ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে প্রায় ২০ লাখ টাকা ও এক হাজার পিস ইয়াবাসহ এক বিএনপি নেতার স্ত্রী-ছেলেকে আটক করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ৩টার দিকে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগী চর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে যৌথ বাহিনী।

আটক কাজল রেখা ওরফে কাজলি খাতুন (৪৬) ও তার ছেলে আব্রাহাম লিংকন (২০) উপজেলার মরিচা ইউনিয়ন বিএনপির ৪ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক লিয়াকত আলীর স্ত্রী ও ছেলে।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা।

সেনাবাহিনীর কুষ্টিয়া ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাতে সেনাবাহিনী কুষ্টিয়া ক্যাম্পের সদস্যরা দৌলতপুর উপজেলার বৈরাগীরচর এলাকার লিয়াকত আলীর বাড়িতে অভিযান চালায়, এ সময় এক হাজার পিস ইয়াবা এবং ১৯ লাখ ৬৭ হাজার টাকাসহ কাজল রেখা ওরফে কাজলি খাতুন ও তার ছেলে আব্রাহাম লিংকনকে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে দৌলতপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

ওসি নাজমুল হুদা বলেন, ‘সেনাবাহিনী ও পুলিশের অভিযানে সাবেক ইউপি সদস্য লিয়াকতের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১৯ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ও এক হাজার পিস ইয়াবাসহ তার স্ত্রী-সন্তানকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আজকেই আসামিদের কারাগারে পাঠানো হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব শহিদ সরকার মঙ্গল বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। যদি এমন হয়ে থাকে, তবে আমরা তাকে দলের গঠনতন্ত্র অনুসারে দল থেকে বহিষ্কার করব।’

মিলন/সালমান/

ছাত্রীনিবাস থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৯ পিএম
ছাত্রীনিবাস থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
ছাত্রীনিবাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রীনিবাস থেকে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে ছাত্রীনিবাসের ২০০১ নম্বর কক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত রিয়ামনি আক্তার মিলা (১৮) বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং দশমিনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের মো. মনিরুল ইসলামের মেয়ে।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল ৮টার দিকে মিলা ছাত্রীনিবাসে আসেন। সকাল ১০টার দিকে তার রুমমেটরা রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকার সময় মিলা ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে সহপাঠীরা দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

অন্যদিকে, দুপুর ১২টার দিকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মো. আবু নাহিয়ান অর্পন নামে এক যুবক নিজেকে মিলার স্বামী দাবি করেন। তিনি জানান, গতকাল (শনিবার) তাদের বিয়ে হয়েছে। উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে বিয়ের তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। স্বামী দাবি করা নাহিয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মোদাচ্ছের বিল্লাহ্ বলেন, ‘মিলা আমার কলেজের একজন মেধাবী ছাত্রী। সে কেন এ ধরনের কাজ করেছি বুঝতে পারছি না। এ ঘটনায় পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। আশা করি তদন্তে সব বের হয়ে আসবে।’

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু হয়েছে এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

হাসিবুর/সালমান/

জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ায় সিবিএ নেতাকে শোকজ, ২ জনকে বদলি

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:২৯ পিএম
আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩২ পিএম
জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ায় সিবিএ নেতাকে শোকজ, ২ জনকে বদলি
আব্দুস সোবহান, নাজমুল ইসলাম এবং মঞ্জুর আহমদ (বাঁ থেকে)

‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের কর্মচারী ও কর্মচারী লীগের (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবহানকে শোকজ ও দুই নেতাকে বদলি করা হয়েছে।  

গ্যাস ফিল্ডের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ফরিদুল হুদার সই করা অফিস আদেশে এ শোকজ ও বদলি করা হয়।

জানা যায়, গত ১৬ জানুয়ারি বেলা ১১টায় সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় অডিটোরিয়ামে বিভিন্ন দপ্তরের ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (হিসাব ও অর্থ) পান্না লাল ধরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. রেজাউল ইসলাম। অনুষ্ঠানে কর্মচারীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক উসমানী আলী ও কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবহান। সোবহান তার বক্তব্য শেষে জয় বাংলা স্লোগান দেন। এর প্রেক্ষিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর অভিযোগ জানায় বিএনপিসমর্থিত কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা।

এরপর শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ফরিদুল হুদা স্বাক্ষরিত চিঠিতে সোবহানকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়। দুদিনের মধ্যে তাকে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয় চিঠিতে। এরপর শনিবার (১৮ জানুয়ারি) আরেক আদেশে কর্মচারী লীগের প্রচার সম্পাদক জুনিয়র কম্পিউটার অপারেটর নাজমুল ইসলামকে রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডে ও জুনিয়র কম্পিউটার মঞ্জুর আহমদকে বিয়ানীবাজার ফিল্ডে বদলি করা হয়।

এ ব্যাপারে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (সমন্বয়) মো. আব্দুর রহমান চৌধুরী খবরের কাগজকে বলেন, ‘মহাব্যবস্থাপকের আদেশে দুজন কর্মচারীকে বদলি করা হয়েছে। এটা ওই স্লোগানের জন্য করা হয়েছে কি-না আমার জানা নেই। আরেকজন সিবিএ নেতাকে শোকজ করা হয়। তবে শোকজের বিষয়টি প্রশাসনের এডমিনে দায়িত্বরতরা ভালো বলতে পারবেন।’

সালমান/

মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কবলে পঞ্চগড়

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৮ পিএম
আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:০৩ পিএম
মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কবলে পঞ্চগড়
ছবি : খবরের কাগজ

উত্তরের জেলা পঞ্চগড় আবারও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে। উত্তরে হিমেল হাওয়া এই জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার কারণে কমেছে তাপমাত্রা, বাড়ছে শীত। আর এই কনকনে শীতের কারণে চরম বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। এ ছাড়া তাপমাত্রা হ্রাসের কারণে এ জেলায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আজ সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড।

সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত এ জেলার ওপর দিয়ে হিমেল হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি কনকনে শীত, ঘন কুয়াশা আর শিশি পড়ে রাতভর। ফলে কনকনে শীতের দাপটে চরম বিপাকে পড়েছেন এ জেলার খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ৷ অনেকেই শীতের কারণে সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না।

অন্যদিকে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিন দিন শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যারা আক্রান্ত হচ্ছে তাদের বেশির ভাগই শিশু ও বয়স্ক। চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে কথা হয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকার পাথর শ্রমিক শাহিনুর ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, কয়েক দিন থেকে অনেক শীত অনুভূত হচ্ছে। আমাদের কাজে আসতে অনেক সময় লাগছে। শীতের কারণে তেমন কাজ করতে পারছি না। আমাদের আয় কমে গেছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। উত্তরের হিমেল হওয়ার কারণে তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে।

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, দেশের সবচেয়ে বেশি শীত অনুভূত হয় এই পঞ্চগড় জেলায়। তাই আমরা আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। এ পর্যন্ত ৪৫ হাজারের মতো শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আমাদের শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

রনি মিয়াজী/জোবাইদা/