ঢাকা ৫ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

ফোরাম’র আয়োজনে আড়াই হাজার মানুষের ভোজ

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১১ পিএম
ফোরাম’র আয়োজনে আড়াই হাজার মানুষের ভোজ
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ফোরাম’র আয়োজনে বিনামূল্যে খাবার বিতরণ। ছবি: খবরের কাগজ

নরসিংদীর মাধবদীতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ফোরাম’র আয়োজনে বিনামূল্যে আড়াই হাজার মানুষের মাঝে খাবার পরিবেশন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে মেঘনার তীরে এই আয়োজন করা হয়।

আয়োজকরা জানান, একঝাঁক তরুণ ও এখানকার প্রবাসীরা সম্পৃক্ত রয়েছেন এই আয়োজনে। কনকনে শীতেও গ্রামের মানুষ এই আয়োজনে মুগ্ধ।

সরেজমিনে দেখা যায়, স্বেচ্ছাসেবীরা খাবার প্রস্তুত করছেন। দুপুরে দল দলে গ্রামের মানুষ প্যান্ডেলে এসে খাবার খাচ্ছেন সব বয়সের মানুষ।

খাবার খেতে আসা ব্যক্তিরা জানান, এতো সুন্দর আয়োজন এই প্রথম। এদের প্রশংসা করে শেষে করা যাবে না।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ফোরামের সভাপতি শিল্পপতি মোহাম্মদ আল-আমিন রহমান জানান, দুই বছর আগে মানবিক কাজের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ফোরামের পথ চলা শুরু হয়। এবার বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো হয়েছে। এছাড়া গ্রামের হতদরিদ্রদের নানা সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসেন ফোরামের লোকজন। ভালো কাজের অংশীদার হতে ফোরামের সঙ্গে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যুক্ত রয়েছে।

ফোরাম আগামী রমজানে বরাবরের মতো রোজাদারদের পাশে থাকবে বলে জানান তিনি।

এই আয়োজনে যুক্ত হয়েছেন শিক্ষানুরাগী ও ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রকৌশলী মো. মফিজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীতে বথুয়াদী এলাকা একটি বৈচিত্র্যময় এলাকা। এই এলাকায় না এলে বোঝা যাবে না মেঘনা নদীর অপরূপ সৌন্দর্য। স্বেচ্ছাসেবীদের এই আয়োজন একটি মেগা ইভেন্টে পরিণত হয়েছে। এ যেন গ্রামের মানুষের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবীদের মিলনমেলা।’

এই কর্মসূচির সার্বিক তত্ত্ববধানে ছিলেন- ফোরমের সাধারণ সম্পাদক হাজী রোমান ও কোষাধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন মোল্লা, বথুয়াদী সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. অহিদুল্লাহ প্রমুখ।

শাওন খন্দকার/সুমন/অমিয়

টেকনাফ পাহাড়ে বন্য হাতির মৃত্যু

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৪ পিএম
টেকনাফ পাহাড়ে বন্য হাতির মৃত্যু
টেকনাফের পাহাড়ে মৃত বন্য হাতি। ছবি: খবরের কাগজ

কক্সজারের টেকনাফে গহীন পাহাড় থেকে একটি বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। বনবিভাগ ধারণা করছেন মাদী হাতিটির আনুমানিক বয়স (১৫)। 

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা নুনাছড়া খাল নামক পাহাড়ি এলাকা থেকে মৃত হাতিটি উদ্ধার করা হয়। 

টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদ বলেন, শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাত ৯টার সময় হ্নীলা বিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুনা খাল নামক পাহাড়ি এলাকায় একটি বন্য হাতির মৃত্যুর সংবাদ পাই। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাটিতি পাহারা দেওয়া হয় এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে শনিবার সকালে গিয়ে ময়নাতদন্ত শেষে হাতিটি মাটিতে পুঁতে রাখা হয়। তাৎক্ষণিক মৃত্যুর কারণ জানা সম্ভব হয়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

মেহেদী/

বিনা খরচে যৌতুকবিহীন ৮ দম্পতির বিয়ে

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:১১ পিএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৮ পিএম
বিনা খরচে যৌতুকবিহীন ৮ দম্পতির বিয়ে
চট্টগ্রামে আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে যৌতুকবিহীন বিয়ে। ছবি: খবরের কাগজ

১৫শ বড় যাত্রীর খাবার আয়োজন, শরিয়তসম্মত নাচগান, লেপ তোষক উপহার ও ফ্রি হানিমুনেরসুবিধাসহ ৮ দম্পতির বিয়ে হয়েছে অতি ধুমধামে। ক্লাবে বর যাত্রীর খাবার ছাড়াও চা-কফি-পান সুপারির ব্যবস্থাও ছিল। কমতি ছিল না আধুনিক সাজসজ্জা, বিয়ের সানাইয়েরও।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন যৌতুকবিহীন ও বিনা খরচে ৮ দম্পতির বিয়ে আয়োজন করে।

ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ সমাজে যৌতুকের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি এবং একটি সুস্থ সম্মানজনক সম্পর্কের ধারণা প্রচার করার উদ্দেশে করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগরের বাকলিয়ার কে বি কনভেনশন সেন্টারে ৮ দম্পতির বিয়ে সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় প্রশাসন, সমাজকর্মী, সাংবাদিক এবং ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।

প্রতিটি বিয়ের খরচ এবং আনুষঙ্গিক আয়োজনের দায়িত্ব নিয়েছে ফাউন্ডেশন। যাতে কোন দম্পতিই আর্থিক সমস্যার কারণে বিয়ে করতে পিছিয়ে না পড়ে।

আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার নাসির উদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, আমাদের সমাজে এখনও যৌতুকের দাবিতে অনেক বিয়ে ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। মানুষের সচেতনতা বাড়াতে ৮ দম্পতির বিয়ে দিয়েছি আমরা। যা আগামীতে চলমান থাকবে। আমাদের ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবে দম্পতিরা। সম্প্রতি এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে একাধিক সামাজিক আন্দোলন এবং কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। বিশেষত, যৌতুকবিহীন বিয়ের প্রতি আগ্রহ এবং প্রতিশ্রুতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ধরনের বিয়েগুলি শুধু দুজন মানুষের মধ্যে সম্পর্কের একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নয় বরং সমাজে একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের অগ্রদূত। জেলা শহর এবং গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় সমাজসেবী সংগঠনগুলি যৌতুকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য নানা কর্মসূচি আয়োজন করছে।

তিনি বলেন, এখনও সমাজে যৌতুক একটি দীর্ঘদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এক্ষেত্রে, স্থানীয় প্রশাসন, এনজিও এবং সমাজকর্মীরা যৌতুককে একটি অবাঞ্ছিত সামাজিক ব্যাধি হিসেবে তুলে ধরতে পারে। সবচেয়ে ভূমিকা রাখতে পারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউব, টেলিভিশন এবং পত্রিকা।

ফাউন্ডেশন আরও জানায়, তারা নিয়মিতভাবে এই ধরনের আয়োজন করবে এবং সমাজের অন্যান্য অংশের সঙ্গে একযোগে যৌতুকবিরোধী প্রচারণা চালাবে। অনুষ্ঠানে সকল দম্পতির কাছে যৌতুকের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করা হয় এবং সবাইকে যৌতুক মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখার জন্য উৎসাহিত করা হয়।

নবদম্পতি লোকমান হাকিম ও ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেন, আমরা খুব আনন্দিত যে আমাদের বিয়ে একটি সামাজিক উদ্যোগের অংশ হয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে। আমাদের পরিবার যৌতুকের জন্য কখনো চাপ সৃষ্টি করেনি, তবে এই উদ্যোগে অংশ নিয়ে আমরা খুশি যে আমাদের বিয়েকে একটি সামাজিক আন্দোলনের অঙ্গ হিসেবে তুলে ধরা হলো।

অপর দম্পতি শফিকুল ইসলাম ও শিফা মনি বলেন, আমরা ২০ হাজার টাকা দেনমোহর পরিশোধের মাধ্যমে বিয়ে করেছি। আমাদের বিয়ে আয়োজন এতো সুন্দরভাবে হবে তা কখনও কল্পনাও করিনি। এমন বিয়ে সমাজে ছড়িয়ে পড়ুক আমরা এটায় কামনা করি। আমাদের এ বিয়ের আয়োজনের জন্য শামসুল হক ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানাই।

ওই দুই দম্পতি ছাড়াও জুলফিকার আলী- খাদিজা খাতুন, শহিদুল ইসলাম - সালমা আক্তার, মোহাম্মদ ইলিয়াস- সাজকিয়াতুন জান্নাত, মেহেরাজুল ইসলাম- নাহিদা সুলতানা, মামুনুল রশিদ-মায়েদা আক্তার, রিয়াদ হোসেন- জান্নাতি দম্পতির বিয়ে সম্পন্ন হয়।

চট্টগ্রামের এ উদ্যোগের পর, পুরো বাংলাদেশের বিভিন্ন শহর এবং গ্রামাঞ্চলে যৌতুকবিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এমন উদ্যোগের বিস্তার আশা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সমাজসেবীরা জানান, এ ধরনের কর্মসূচি সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়ক হবে এবং তরুণদের মাঝে যৌতুকবিহীন বিয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়াবে।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি যা সমাজের মধ্যে সম্পর্কের পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সমতার ভাবনা নষ্ট করে। আমরা চাই, আমাদের যুব সমাজ  এই ধরনের প্রথাকে ত্যাগ করুক এবং বিয়েকে এক ধরনের সম্প্রীতি ও ভালোবাসার বন্ধনে পরিণত করুক।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই এ ধরনের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন এবং একযোগে যৌতুকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।

আয়োজনের সব খরচ, যেমন- মেহমানদারি, সাজসজ্জা, পাত্র-পাত্রীর, উপহার, হানিমুন, খাবার, পোশাকসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন সরবরাহ করেছে।

খাবারের মেন্যুতে ছিল পোলাও ভাত, খাসির মাংস, মুরগির রোস্ট, চনার ডাল ও মাংস। সচরাচর একটি বিয়েতে এভাবে খাবার মেন্যু হয়ে থাকে।

সরজমিনে দেখা যায়, বাকলিয়া কনভেনশন সেন্টারের প্রবেশ পথেও আলোকসজ্জা করা হয়েছে। সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়েছে। ভিতরের প্রবেশ করতে দুপাশে সাজানো হয়েছে। ভিতরের করা হয়েছে বর ও কনেদের জন্য বিয়ের স্টেজ। করা হয়েছে ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন। বরদের খাবার টেবিল আলাদা করে সাজানো হয়েছে। বরের স্বজনরা একসঙ্গে বসে খাবার গ্রহণ করেছেন। খাবার শেষে কাবিননামায় স্বাক্ষর করে ক্লাব থেকে বিদায় জানানো হয়েছে দম্পতিদের।

আয়োজকদের আশা, এমন উদ্যোগ দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ুক। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ যৌতুকের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করুক। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্ম যৌতুকবিহীন বিয়ে এবং সম্পর্কের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হোক। 

এ আয়োজনের মাধ্যমে যৌতুকমুক্ত বিয়ের ধারণা সমাজে আরও বিস্তার লাভ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আয়োজকরা।

নাবিল/এমএ/

ফরিদপুরে ঋণের চাপে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫১ পিএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৭ পিএম
ফরিদপুরে ঋণের চাপে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা
নিহত মো. শফিকুল ইসলাম উকিল। ছবি: খবরের কাগজ

ফরিদপুরের সালথায় নিজ দোকানের ভেতর থেকে মো. শফিকুল ইসলাম উকিল (৫০) নামে এক ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে ঋণের চাপে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। 

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বড়দিয়া বাজারের  দোকানের আড়া থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত শফিকুল বাজারের পাশের ভাটপাড়া গ্রামের মৃত লতিফ শেখের ছেলে। সে মা জবেদা হার্ডওয়্যার স্টোর নামে একটি দোকান চালাতেন।

নিহতের পরিবার জানায়, শফিকুল প্রায় একযুগ ধরে বড়দিয়া বাজারে রড-সিমেন্টে ও হার্ডওয়্যারের ব্যবসা করতেন। রাতে দোকানেই থাকতেন তিনি। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে তিনি দোকানেই ঘুমিয়ে ছিলেন। পরদিন সকালে তিনি দোকান না খোলায় পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হলে তারা দোকানের সার্টার ভেঙে ভেতরে গিয়ে শফিকুলের মরদেহ দোকানের আড়ার সঙ্গে ঝুলতে দেখেন।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে আনা হয়েছে। জানতে পেরেছি শফিকুল ব্যবসা করতে গিয়ে ক্রেতাদের ২০-২৫ লাখ টাকা টাকা বাকি দেন। সম্প্রতি হালখাতা করেও ওই টাকা তুলতে পারেনি। অন্যদিকে দোকানের পুঁজি ঠিক রাখতে ব্যাংক থেকে অনেক টাকা ঋণ নেন শফিকুল। তবে দেনাদাররা টাকা না দেওয়ায় ওই ঋণের টাকাও পরিশোধ করতে পারছিলেন না। ঋণের বিষয়টি নিয়ে কয়েকমাস ধরে তিনি চিন্তিত ছিলেন তিনি। ধারনা করা হচ্ছে ঋণের চাপেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

সঞ্জিব দাস/মেহেদী

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে সংঘর্ষ, আহত ২ বাংলাদেশি

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:০৬ পিএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:০৪ পিএম
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে সংঘর্ষ, আহত ২ বাংলাদেশি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে উত্তেজনা। ছবি: খবরের কাগজ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে গাছ ও ফসল কাটাকে কেন্দ্র করে ভারত ও বাংলাদেশিদের সংঘর্ষে দুজন বাংলাদেশি নাগরিক আহত হয়েছেন।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে শুরু হয়ের চলে ৩টা পর্যন্ত। উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের চৌকা ও কিরণগঞ্জ বিজিবি সীমান্ত ফাঁড়ির মাঝামাঝি 'নো ম্যানস ল্যান্ড’ এলাকায় এ উত্তেজনা দেখা দেয়।

আহতরা হলেন- বিনোদপুর ইউনিয়নের ঘন্টোলা বিশ্বনাথপুর গ্রামের জিয়ারুল ইসলামের ছেলে রনি এবং কারিগঞ্জ গ্রামের সেরাজুল ইসলামের ছেলে ফারুক।

দুপুর থেকে সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকরা বিক্ষোভ করেন। এ সময় ভারতীয় নাগরিকদের হামলায় তিন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ সময় ভারতীয় উত্তেজিত জনগণ বাংলাদেশের জনগণকে লক্ষ্য করে হাত-বোমা নিক্ষেপ করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সীমান্তবাসীরা লাঠি সোটা এবং হাসোয়া নিয়ে সীমান্ত অবস্থান করেছে।

এ সংবাদ লিখা পর্যন্ত দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, চৌকা সীমান্ত এলাকায় অন্তত ৩০টি আমগাছ ও শতাধিক বরইগাছ বাংলাদেশি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে কেটে ফেলেছে ভারতীয়রা।

কালিগঞ্জ ঘুমটোলা গ্রামের রবু জানান, ফারুক মোটরসাইকেলে সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি দেখার জন্য আসলে ভারতীয়দের ছোড়া পাথরে মাথায় গুরুতর আহত হন।

স্থানীয় মিঠুন জানান, রনি সীমান্তে বাঁশ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার সময় ভারতীয় আট-দশজন বাংলাদেশ ঢুকে রনির উপর আক্রমণ করে এতে রনি আহত হন।

৫৯ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের উপ-অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।এছাড়া  তলব করা হয়েছে অতিরিক্ত ফোর্স।  অপরদিকে ভারতীয় সীমান্তে অতিরিক্ত বিএসএফের অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।

মহানন্দা ব্যাটালিয়ন (৫৯ বিজিবি) অধিনায়ক গোলাম কিবরিয়া জানান, সীমান্ত এলাকায় গাছ কাটলে বিজিবি ও সাধারণ মানুষ বাঁধা দেয়। এতে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ উত্তেজিত হয়। এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান গাছসহ ফসল কেটে নিয়ে যাচ্ছে ভারতীয়রা। তারা ইট পাটকেল ও বোমা মেরে আতংক সৃষ্টি করছে।

জহির/মেহেদী

চাঁদপুরে ভাসমান সেচ প্রকল্প উদ্বোধন

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৪ পিএম
চাঁদপুরে ভাসমান সেচ প্রকল্প উদ্বোধন
ছবি: খবরের কাগজ

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে আসন্ন বোরো মৌসুমে রাগৈ বিল-খাল ভাসমান সেচ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। 

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর তিনটার দিকে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। 

জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন, আমদের নিজেদের জমিতে পেঁয়াজ, আলুসহ বিভিন্ন খাদ্যশস্য চাষাবাদ করে আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে।  কৃষি জমির টপ সয়েল বিক্রি বন্ধ করতে হবে। এটা অন্যায়, এ মাটিই আপনার মা-বাবা। মৃত্যুর পর এই মাটির বুকেই আপনাকে ফিরে যেতে হবে। তাই মা ও মাটি রক্ষার কৃষি জমির টপ সয়েল বিক্রি বন্ধ করতে হবে। না হলে আগামী দিনে কৃষি উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। যার জন্য আগামী প্রজন্ম আপনাদের অভিশাপ দিবে। 

তিনি আরও বলেন, নদী-খাল দখলের মাধ্যমে এ প্রকৃতিকে আগামী দিনের জন্য আপনারা মেরে ফেলছেন। নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করছেন। মা, মাটি কৃষক ও পরিবেশকে বাঁচাতে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়াসির আরাফাতের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের জেনারেল ম্যানেজার হাসান আহমেদ টিপু, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাকসুদ আলম, কৃষি কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল বাসার, বিএডিসির প্রকৌশলী মো. মামুনুর রশিদসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

মেহেদী/