ঢাকা ২ চৈত্র ১৪৩১, রোববার, ১৬ মার্চ ২০২৫
English

‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেওয়ায় সিলেটে প্রধান শিক্ষককে শোকজ

প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৪ পিএম
আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৪ পিএম
‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেওয়ায় সিলেটে প্রধান শিক্ষককে শোকজ
ছবি: সংগৃহীত

মহান বিজয় দিবসে বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলিতে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেওয়ার কারণে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। সেই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত তাকে বিদ্যালয়ে না যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রধান শিক্ষক ফরিদ আহমদকে শোকজ করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

এর আগে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীখেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলিতে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেওয়া হয়।

জানা যায়, সোমবার সকালে শ্রীখেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে শিক্ষার্থীদের অ্যাসেম্বলিতে ‘জয় বাংলা’ ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ ও ‘শেখ শেখ শেখ মুজিব, লও লও লও সালাম’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে মহান বিজয় দিবস পালন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদ আহমদ ও সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পরে ১৭ ডিসেম্বর এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নজরে এলে মঙ্গলবার প্রধান শিক্ষক ফরিদ আহমদকে শোকজ করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (চ. দা.) মো. আবেদ হোসেন বলেন, বিজয় দিবসের দিন শিক্ষক ফরিদ আহমদ নিজেই শিক্ষার্থীদের দিয়ে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেন। এ সময় একটা লোক ভিডিও করেছে। বিষয়টি জানতে পেরে তাকে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে ও তার বিরুদ্ধে সিলেট প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, আমি ১৬ ডিসেম্বর রাতে ঘটনাটি জানতে পেরে শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছিলাম। ১৭ ডিসেম্বর উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাকে শোকেজ করেছেন। সেই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না যাওয়ার জন্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মাহফুজ/এমএ/মেহেদী

রাজশাহীতে নিখোঁজের ৭ দিন পর কৃষকের মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৫ পিএম
রাজশাহীতে নিখোঁজের ৭ দিন পর কৃষকের মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার
ছবি: খবরের কাগজ

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় জমিতে সেচ দিতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার সাতদিন পর আলতাফ শাহ (৫২) নামে এক কৃষকের মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে মোহনপুরের তুলশিক্ষেত্র বিলের ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত আলতাফ হোসেন মোহনপুর উপজেলার ধুরইল মন্ডলপাড়ার মৃত কুদ্দুস আলী শাহ'র ছেলে।

জানা গেছে, রবিবার বেলা ১১টার দিকে তুলশিক্ষেত এলাকার কালভাটের পাশের ডোবায় আলতাফের মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। শরীরের সঙ্গে মাথা না থাকায় পোষাক দেখে আলতাফের মরদেহ শনাক্ত করে পরিবার। পরে পুলিশ মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এর আগে গত ৯ মার্চ আলতাফ হোসেন নিখোঁজ হন। এর পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে প্রথমে আলতাফের পরিবার মোহনপুর থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন। পরে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগ তুলে ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করে পরিবার। এর সাতদিন পর ডোবা থেকে আলতাফের মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধার হলো।

এ বিষয়ে মোহনপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

মেহেদী/

নোয়াখালীতে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫০ পিএম
নোয়াখালীতে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর গ্রেপ্তার
পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার আহসান উল্যাহ। ছবি: খবরের কাগজ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পুত্রবধূকে (২১) ধর্ষণের দায়ে শ্বশুর আহসান উল্যাহকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে ভুক্তভোগী নারী শ্বশুরের বিরুদ্ধে মামলা করার পর রাতেই কোম্পানীগঞ্জের চরপার্বতী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কেটিএমহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযুক্ত আহসান উল্যাহ চরপার্বতী গ্রামের মৃত আলী আহমদের ছেলে। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

মামলা সূত্র জানা গেছে, ভুক্তভোগীর স্বামী দুবাই থাকেন। ঘরে তিনি তিন বছরের মেয়ে, শাশুড়ী ও অভিযুক্ত আহসান উল্যাহসহ বসবাস করেন। শনিবার রাত সোয়া ৩টার দিকে আহসান উল্যাহ পুত্রবধূর কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে রাতে শ্বশুরের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বিষয়টি নিশ্চিত করে খবরের কাগজকে বলেন, আসামিকে আদালতে সোপর্দ এবং ভুক্তভোগীকে ২২ ধারায় জবানবন্দি ও ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। 

আদালতের পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) মো. শহীদুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ধর্ষণ মামলার আসামি আহসান উল্যাহকে বিচারকের নির্দেশের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 


মজনু/মেহেদী/ 

ভোলায় মসজিদে মুখ-হাত বেঁধে শিশুকে বলাৎকারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩৫ পিএম
ভোলায় মসজিদে মুখ-হাত বেঁধে শিশুকে বলাৎকারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
ছবি: খবরের কাগজ

ঘুরতে নেওয়ার কথা বলে ভোলার চরফ্যাশন খাসমহল জামে মসজিদের ৩য় তলায় এক মাদরাসাছাত্রকে (১০) বলাৎকারের ঘটনায় অভিযুক্ত মো. তালহাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

আটক মো. তালহা চরফ্যাশন পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ডের নুরু মাস্টার বাড়ীর বাসিন্দা।

রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে ভোলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'চরফ্যাশন রেসিডেন্সিয়াল মডেল মাদরাসার চতুর্থ শ্রেনীর এক ছাত্রকে মটরসাইকেলে ঘোরানোর প্রলোভন দেখিয়ে এবং মসজিদের সৌন্দর্য্য দেখার কথা বলে চরফ্যাশন পৌরসভা ০৫নং ওয়ার্ডের নুরু মাস্টার বাড়ীর মো. তালহা গত ১৪ তারিখ রাত আটটার দিকে চরফ্যাশন কেন্দ্রীয় খাস মহল জামে মসজিদের ৩য় তলার ছাদের সিড়িতে বলাৎকারের ঘটনা ঘটায়। এ সময় ভিকটিমের চিৎকারে আসামি মটরসাইকেলযোগে পালাইয়া যায়।'

তিনি আরও বলেন, 'উক্ত ঘটনার সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়িলে মাননীয় পুলিশ সুপার, তাৎক্ষণিক নির্দেশে সহকারী পুলিশ সুপার, চরফ্যাশন সার্কেলের নেতৃত্বে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান হাওলাদার ও এসআই (নিরস্ত্র) মো. হারুন অর রশিদসহ একাধিক চৌকস টিম চরফ্যাশন পৌরসভার বিভিন্ন পয়েন্টে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে চরফ্যাশন উপজেলার শরীফ পাড়া এলাকা থেকে আসামি মো. তালহাকে গ্রেপ্তার করে।' 

এ সংক্রান্তে চরফ্যাশন থানায় ভিকটিমের বাবা বাদি হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলা নং০৮।

এর আগে গত শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাত ৯টার দিকে খাসমহল মসজিদে তারাবি নামাজ আদায় করতে আসা এক প্রতিবেশী ৩য় তলার সিঁড়িতে শিশুটিকে নগ্ন ও গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তিনি শিশুটির বাবা-মাকে খবর দেন। পড়ে তারা শিশুটিকে প্রথমে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে শনিবার (১৫ মার্চ) ভোরে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


ইমতিয়াজুর/মেহেদী/

চুয়াডাঙ্গায় মৃদু তাপপ্রবাহ

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪৮ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫৮ পিএম
চুয়াডাঙ্গায় মৃদু তাপপ্রবাহ
চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। ছবি: খবরের কাজ

চুয়াডাঙ্গা জেলায় বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে।

রবিবার (১৬ মার্চ) বিকেল ৩টায় এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে জেলা আবহাওয়া অফিস।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান খবরের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বিকেল ৩টায় এ জেলার সর্ব্বোচ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৪ শতাংশ। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি ও তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে অতিরিক্ত গরমে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। রমজান মাসে প্রখর রোদ ও তাপ প্রবাহে তাদের জীবন যেন দুর্বিষহ হয়ে ওঠেছে।

আব্দুল কাদের নামে এক দিনমজুর বলেন,  ‘ভাই, ৩৮ ডিগ্রি গরমে কাজ করা খুব কষ্টের। রোজা রেখে বোঝা টানা যায় না। গলা শুকিয়ে যাচ্ছে, তারপরও পেটের দায়ে কাজ করতে হয়। আল্লাহর ভরসায় চলতেছি।’

সাইফুল ইসলাম নামে এক ভ্যানচালক বলেন,  ‘সকাল থেকে রাস্তায়, মাথার উপর আগুন ঝরতেছে। রোজা রাখছি, পানি খাইতেও পারি না। মাঝেমধ্যে মনে হয় বেহুশ হয়ে পড়ব। তবুও ঘরে চাল তুলতে হলে ভ্যান টানতেই হয়।’

রিকশাচালক রহিম উদ্দিন বলেন, ‘গরমে শরীর ভেঙে পড়তেছে। রিকশা চালানোই দায়। আবার রোজা না রাখলেও মন মানে না। যাত্রীও কম, রোজগারও কম। গরম আর অভাব দুইটা একসঙ্গে মারতেছে। 

মিজানুর/পপি/

লালমনিরহাটে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বৃদ্ধকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৯ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম
লালমনিরহাটে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বৃদ্ধকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ
ছবি: খবরের কাগজ

লালমনিরহাটে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মেহের আলী (৫৭) নামে এক বৃদ্ধকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।

রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের কাশিরঝাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় লালমনিরহাট সদর থানায় মামলা হয়েছে।

গ্রেপ্তার মেহের আলী একই এলাকার গ্রামের মৃত বশির উদ্দিনের ছেলে। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রবিবার সকালে ওই ছাত্রী আলু তোলার জন্য আলুখেতে যাচ্ছিল। এ সময় পাশে তামাক ক্ষেতে কাজ করতে থাকা মেহের আলী ওই স্কুলছাত্রীকে তামাক ক্ষেতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা কররে শিশুটির চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে মেহেরকে হাতেনাতে আটক করে গণপিটুনি দেয়।  গ্রামে তার বিরুদ্ধে একাধিক নারী নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে বলেও জানান স্থানীয়রা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরনবী।

তিনি জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। খুব দ্রুত তার বিরুদ্ধে  আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে।

মেহেদী/