
দীর্ঘ দিন থেকেই উত্তরবঙ্গের পার্বতীপুর হতে রাজশাহী পর্যন্ত চলাচল করতো লোকাল ট্রেন খ্যাত উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেন। ট্রেনটি যাতায়াত পথের সকল স্টেশনেই থামার কারণে মালামাল পরিবহণ ও কম খরচে যাতায়াত সুবিধা পেতো সংশ্লিষ্ট এলাকার অধিবাসী। শুধু তাই নয়, কৃষি অঞ্চলখ্যাত ওই অঞ্চলে বিভিন্ন শস্য কাটা ও রোপন কাজে বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকরা ওই ট্রেনে আসতো। ওই অঞ্চলের কৃষি ও অন্যান্য সামগ্রী রাজশাহীসহ বিভিন্ন জায়গায় কম খরচে পরিবহণের মাধ্যম ছিল ট্রেনটি। কিন্তু গত প্রায় ১ বছর থেকে বন্ধ রয়েছে ট্রেনটি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এমন অবস্থায় ট্রেনটি পুনরায় চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। আগামী জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে ট্রেনটি চালুর আলটিমেটামও ঘোষণা করেছেন তারা।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে নাটোরের নলডাঙ্গা রেলওয়ে প্লাটফর্মে ওই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
তথ্যমতে, পার্বতীপুর-রাজশাহী-পার্বতীপুর রুটে চলাচল করা ওই উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ২০২৩ সালে ২২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নলডাঙ্গা উন্নয়ন ফোরাম ও পজেটিভ নলডাঙ্গার ব্যানারে সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া ওই মানববন্ধনে নলডাঙ্গা উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নাটোর জেলা সভাপতি অধ্যাপক জিয়াউল হক জিয়া, নলডাঙ্গা বাজার মালিক ব্যবসায়ী-সমিতির সভাপতি নাসির উদ্দিন হক, নলডাঙ্গা স্টেশন মসজিদের ইমাম মো. সমসের আলী, নিরাপদ সড়ক চাই নলডাঙ্গা উপজেলা সভাপতি লতিফুর রহমান, সাবেক সেনা সদস্য মো. মুনছুর রহমান, নলডাঙ্গা উন্নয়ন ফোরামের সদস্য রাজ্জাক প্রামানিক ও ছাত্র মহাইমিনুল হক বক্তব্য রাখেন।
ট্রেনটি বন্ধ থাকায় স্থানীয় চাষীরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির জন্য স্বল্প খরচে নিয়ে যেতে পারছেন না, ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন, শিক্ষার্থীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্য পরিবহনে বেশি ভাড়ায় নিয়মিত যাতায়াত করতে পারছেন না, শ্রমিকরা অন্য জায়গা থেকে আসতে পারছেন না ইত্যাদি সমস্যার কথা তুলে ধরে স্বল্প সময়ের মধ্যে ট্রেনটি পুনরায় চালুর দাবি জানান। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ট্রেনটি চালু করা না হলে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকার সঙ্গে সকল রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং উপজেলা প্রতিটি স্টেশনে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে এমন হুঁশিয়য়ারিও ঘোষণা করেন বক্তারা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল কর্তৃপক্ষ জানান, লোকবল ও কোচ সংকটের কারণে ট্রেনটি বন্ধ রয়েছে। তবে ওই সমস্যা সমাধান সাপেক্ষে ট্রেনটি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
কামাল মৃধা/মাহফুজ/এমএ/