ঢাকা ২ চৈত্র ১৪৩১, রোববার, ১৬ মার্চ ২০২৫
English

হইচইয়ের অভিযোগে প্রশিক্ষণরত ৮ এসআইকে শোকজ

প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৯ পিএম
আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৬ পিএম
হইচইয়ের অভিযোগে প্রশিক্ষণরত ৮ এসআইকে শোকজ
ছবি: খবরের কাগজ

নির্দেশনা না মেনে মাঠে ‘উচ্চস্বরে হইচই’ করার অভিযোগে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে এবার প্রশিক্ষণরত পুলিশের ৮ আউট ক্যাডেট এসআইকে শোকজ করা হয়েছে।

রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তাদের হাতে শোকজের চিঠি দেওয়া হয়। তাদের আগামী তিন দিনের মধ্যে শোকজের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হলে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

সারদা পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান ভুঞার পক্ষে নোটিশে স্বাক্ষর করেন একাডেমির পুলিশ সুপার (বেসিক ট্রেনিং-২) মো. তানভীর সালেহীন ইমন। এ সংক্রান্ত একাধিক চিঠির কপি এই প্রতিবেদকের কাছে এসেছে।

এর আগে, ৪০তম ক্যাডেট এসআই ব্যাচে প্রশিক্ষণের জন্য মোট ৮২৩ জন এসআই ছিলেন। তারা গত বছরের ৪ নভেম্বর থেকে সারদায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শুরু করেন। মাঠে ও ক্লাসে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ তুলে তিন ধাপে ৩১৩ জন এসআইকে শোকজ করে একাডেমি। ইতোমধ্যে তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত ২১ অক্টোবর ২৫২ জন, ৪ নভেম্বর ৫৮ জন এবং সর্বশেষ ১৮ নভেম্বর তিনজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এবার চতুর্থ ধাপে প্রায় একই ধরনের অভিযোগে আরও আটজনকে শোকজ করা হলো।

শোকজ পাওয়া উপপরিদর্শকরা জানান, ১২ মাসের জায়গায় তারা ১৪ মাস ধরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। নিয়মানুযায়ী চলতি বছরের ৪ নভেম্বর তাদের প্রশিক্ষণ শেষ করে বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটে যোগদানের কথা ছিল।

শোকজের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘গত ২৭ ডিসেম্বর বৈকালিক কার্যক্রমে নিয়মিত সাপ্তাহিক গেইম প্যারেড ছিল। গেইম প্যারেড শুরুর পূর্বে কোম্পানিভিত্তিক প্রশিক্ষণার্থীদের ফল-ইন করানোর জন্য কোম্পানির সিএএসআই থাকেন। ফল-ইনের সময় অ্যালাইনমেন্টে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রত্যেক কোম্পানির কমান্ডার ও আরআই উপস্থিত হন। প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে মাইকে বলা হয়, আজকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্যারেড মাঠ পরিদর্শনে আসবেন। মাইকে সকল কোম্পানির প্রশিক্ষণার্থীদের সুশৃঙ্খলভাবে গেইম প্যারেড করার জন্য বলা হয়। এই নির্দেশনা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনি উচ্চস্বরে হইচই করতে থাকেন এবং আপনার উসকানিমূলক কথাবার্তায় অন্যান্য ক্যাডেট উত্তেজিত হয়ে হইচই করেন। আরআই আপনাকে শান্ত থাকার জন্য নির্দেশনা দেন এবং ঘটনার বিষয়টি এএসপি (পিটি) এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (ফিল্ড) মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্যারেড গ্রাউন্ডে আসার জন্য জানান। ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এএসপি (পিটি) এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ফিল্ড) প্যারেড মাঠে আসেন এবং আপনাকে শান্ত থেকে সুশৃঙ্খলভাবে প্যারেড অনুশীলন করার জন্য দিকনির্দেশনা দেন। গেইম প্যারেড চালু হওয়ার সময় আপনার উসকানিতে অন্যান্য প্রশিক্ষণার্থী ক্যাডেট কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে দৌড়ে না গিয়ে হেঁটে হেঁটে চলতে থাকে এবং শান্ত না হয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে।’

তবে  নোটিশ পাওয়া প্রশিক্ষণরত এসআইদের দাবি অন্যায়ভাবে তাদের শোকজ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান ভূঞার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

এনায়েত করিম/এমএ/

হামজা চৌধুরীর আগমনে হবিগঞ্জে উৎসবের আমেজ

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৬:০৯ পিএম
হামজা চৌধুরীর আগমনে হবিগঞ্জে উৎসবের আমেজ
ছবি: খবরের কাগজ

লাল-সবুজের জার্সিতে খেলতে দেশে আসছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ফুটবলার হামজা চৌধুরী। ১৭ মার্চ লন্ডন থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সিলেটে পৌঁছানোর কথা রয়েছে এই লেস্টার সিটি তারকার। সাথে থাকবেন তার মা, স্ত্রী ও সন্তান। এরপর সিলেট থেকে সরাসরি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে নিজ বাড়িতে যাবেন হামজা।

হামজার আগমনকে ঘিরে পুরো হবিগঞ্জজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। বিশেষ করে বাহুবলের স্নানঘাট গ্রামে চলছে নানা প্রস্তুতি।  গ্রামের প্রবীণ থেকে তরুণ, সবাই ব্যস্ত প্রিয় সন্তানের বরণ আয়োজন নিয়ে। ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে স্নানঘাট গ্রাম ও আশপাশের রাস্তা-ঘাট। বিকেলে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। গ্রামজুড়ে বাঁধভাঙা আনন্দ, সবাই অপেক্ষায় আছে কবে প্রিয় সন্তান হামজা সবার মাঝে এসে দাঁড়াবেন।

স্নানঘাট গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হান্নান বলেন, ‘এত বড় একজন আন্তর্জাতিক তারকা আমাদের গ্রামের সন্তান, এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। আমরা তার জন্য যা করতে পারি, তা আমাদের জন্য সৌভাগ্য। যে কারণে আমরা গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।’

গ্রামের তরুণ রুবেল মিয়া বলেন, ‘হামজা চৌধুরী শুধু আমাদের গ্রামের গর্ব নয়, তিনি পুরো বাংলাদেশের গর্ব। এতোদিন হয়তো আমরা তাকে ওইভাবে চিনিনি। এখন তিনি দেশের হয়ে খেলবেন ঘোষণা দেওয়ার পর আমরা চিনতে পারছি। নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে, যে এমন একজন ফুটবল তারকা আমাদের দেশের সন্তান।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। কিন্তু নানা কারণে আমাদের দেশ ফুটবলে পিছিয়ে আছে। আমরা আশা করি, হামজা চৌধুরী এখন দেশের হয়ে খেলবেন। বাংলাদেশের ফুটবল এখন অনেত দূর এগিয়ে যাবে।’

হামজার বাবা দেওয়ান মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, ‘হামজার জন্ম হয়েছে লন্ডনে। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই আমি তাকে মাঝে মধ্যে দেশে নিয়ে আসতাম। সে কয়েক মাস সময় এখানে থাকত। দেশের মাঠ-ঘাট ঘুরে বেড়াত। গ্রামের ছেলেদের সাথে খেলাধুলা করত। যে কারণে দেশের প্রতি তার একটা আলাদা ভালোবাসা আছে। এই ভালোবাসা থেকেই হামজা বাংলাদেশের জাতীয় দলে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, যদি হামজার মতো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বাকি খেলোয়াড়রা দেশে চলে আসেন, তাহলে ধরে রাখেন ২০১৬ সালে না হোক আগামী ২০৩০ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলবে।’

হামজা চৌধুরীর চাচা দেওয়ান গোলাম মাসুদ বলেন, ‘সবচেয়ে বড় বিষয় হলো বাংলাদেশের ক্রিড়াঙ্গনে রাজনীতির প্রভাব বিদ্ধমান। দেশের খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে হলে রাজনীতি মুক্ত করতে হবে। এতে দেশেই অনেক হামজা তৈরী হবে।’

ইংল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লেস্টার সিটির হয়ে খেলা হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে পরিচিত নাম। সম্প্রতি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আমন্ত্রণে তিনি জাতীয় দলে খেলার সিদ্ধান্ত নেন। তার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের ফুটবলপ্রেমীরা।

হামজার আগমনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সিলেট বিমানবন্দরে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবে বাফুফের কর্মকর্তারা। এছাড়া, তার নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করতে বাফুফের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ টিম নিয়োজিত থাকবে।

হবিগঞ্জে একদিন অবস্থান শেষে হামজা চৌধুরী ঢাকায় যাবেন। সেখানে জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলন করে ২০ মার্চ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে দেশ ছাড়বেন তিনি। সবকিছু ঠিক থাকলে, আগামী ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠে নামবেন এই প্রতিভাবান মিডফিল্ডার।

কাজল/সিফাত/

নিখোঁজের ৭ দিন পর কৃষকের মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৫ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪৫ পিএম
নিখোঁজের ৭ দিন পর কৃষকের মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার
ছবি: খবরের কাগজ

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় জমিতে সেচ দিতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার সাতদিন পর আলতাফ শাহ (৫২) নামে এক কৃষকের মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে মোহনপুরের তুলশিক্ষেত্র বিলের ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত আলতাফ হোসেন মোহনপুর উপজেলার ধুরইল মন্ডলপাড়ার মৃত কুদ্দুস আলী শাহ'র ছেলে।

জানা গেছে, রবিবার বেলা ১১টার দিকে তুলশিক্ষেত এলাকার কালভাটের পাশের ডোবায় আলতাফের মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। শরীরের সঙ্গে মাথা না থাকায় পোষাক দেখে আলতাফের মরদেহ শনাক্ত করে পরিবার। পরে পুলিশ মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এর আগে গত ৯ মার্চ আলতাফ হোসেন নিখোঁজ হন। এর পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে প্রথমে আলতাফের পরিবার মোহনপুর থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন। পরে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগ তুলে ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করে পরিবার। এর সাতদিন পর ডোবা থেকে আলতাফের মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধার হলো।

এ বিষয়ে মোহনপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

মেহেদী/

নোয়াখালীতে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫০ পিএম
নোয়াখালীতে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর গ্রেপ্তার
পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার আহসান উল্যাহ। ছবি: খবরের কাগজ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পুত্রবধূকে (২১) ধর্ষণের দায়ে শ্বশুর আহসান উল্যাহকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে ভুক্তভোগী নারী শ্বশুরের বিরুদ্ধে মামলা করার পর রাতেই কোম্পানীগঞ্জের চরপার্বতী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কেটিএমহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযুক্ত আহসান উল্যাহ চরপার্বতী গ্রামের মৃত আলী আহমদের ছেলে। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

মামলা সূত্র জানা গেছে, ভুক্তভোগীর স্বামী দুবাই থাকেন। ঘরে তিনি তিন বছরের মেয়ে, শাশুড়ী ও অভিযুক্ত আহসান উল্যাহসহ বসবাস করেন। শনিবার রাত সোয়া ৩টার দিকে আহসান উল্যাহ পুত্রবধূর কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে রাতে শ্বশুরের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বিষয়টি নিশ্চিত করে খবরের কাগজকে বলেন, আসামিকে আদালতে সোপর্দ এবং ভুক্তভোগীকে ২২ ধারায় জবানবন্দি ও ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। 

আদালতের পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) মো. শহীদুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ধর্ষণ মামলার আসামি আহসান উল্যাহকে বিচারকের নির্দেশের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 


মজনু/মেহেদী/ 

ভোলায় মসজিদে মুখ-হাত বেঁধে শিশুকে বলাৎকারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩৫ পিএম
ভোলায় মসজিদে মুখ-হাত বেঁধে শিশুকে বলাৎকারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
ছবি: খবরের কাগজ

ঘুরতে নেওয়ার কথা বলে ভোলার চরফ্যাশন খাসমহল জামে মসজিদের ৩য় তলায় এক মাদরাসাছাত্রকে (১০) বলাৎকারের ঘটনায় অভিযুক্ত মো. তালহাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

আটক মো. তালহা চরফ্যাশন পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ডের নুরু মাস্টার বাড়ীর বাসিন্দা।

রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে ভোলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'চরফ্যাশন রেসিডেন্সিয়াল মডেল মাদরাসার চতুর্থ শ্রেনীর এক ছাত্রকে মটরসাইকেলে ঘোরানোর প্রলোভন দেখিয়ে এবং মসজিদের সৌন্দর্য্য দেখার কথা বলে চরফ্যাশন পৌরসভা ০৫নং ওয়ার্ডের নুরু মাস্টার বাড়ীর মো. তালহা গত ১৪ তারিখ রাত আটটার দিকে চরফ্যাশন কেন্দ্রীয় খাস মহল জামে মসজিদের ৩য় তলার ছাদের সিড়িতে বলাৎকারের ঘটনা ঘটায়। এ সময় ভিকটিমের চিৎকারে আসামি মটরসাইকেলযোগে পালাইয়া যায়।'

তিনি আরও বলেন, 'উক্ত ঘটনার সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়িলে মাননীয় পুলিশ সুপার, তাৎক্ষণিক নির্দেশে সহকারী পুলিশ সুপার, চরফ্যাশন সার্কেলের নেতৃত্বে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান হাওলাদার ও এসআই (নিরস্ত্র) মো. হারুন অর রশিদসহ একাধিক চৌকস টিম চরফ্যাশন পৌরসভার বিভিন্ন পয়েন্টে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে চরফ্যাশন উপজেলার শরীফ পাড়া এলাকা থেকে আসামি মো. তালহাকে গ্রেপ্তার করে।' 

এ সংক্রান্তে চরফ্যাশন থানায় ভিকটিমের বাবা বাদি হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলা নং০৮।

এর আগে গত শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাত ৯টার দিকে খাসমহল মসজিদে তারাবি নামাজ আদায় করতে আসা এক প্রতিবেশী ৩য় তলার সিঁড়িতে শিশুটিকে নগ্ন ও গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তিনি শিশুটির বাবা-মাকে খবর দেন। পড়ে তারা শিশুটিকে প্রথমে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে শনিবার (১৫ মার্চ) ভোরে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


ইমতিয়াজুর/মেহেদী/

চুয়াডাঙ্গায় মৃদু তাপপ্রবাহ

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪৮ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫৮ পিএম
চুয়াডাঙ্গায় মৃদু তাপপ্রবাহ
চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। ছবি: খবরের কাজ

চুয়াডাঙ্গা জেলায় বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে।

রবিবার (১৬ মার্চ) বিকেল ৩টায় এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে জেলা আবহাওয়া অফিস।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান খবরের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বিকেল ৩টায় এ জেলার সর্ব্বোচ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৪ শতাংশ। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি ও তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে অতিরিক্ত গরমে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। রমজান মাসে প্রখর রোদ ও তাপ প্রবাহে তাদের জীবন যেন দুর্বিষহ হয়ে ওঠেছে।

আব্দুল কাদের নামে এক দিনমজুর বলেন,  ‘ভাই, ৩৮ ডিগ্রি গরমে কাজ করা খুব কষ্টের। রোজা রেখে বোঝা টানা যায় না। গলা শুকিয়ে যাচ্ছে, তারপরও পেটের দায়ে কাজ করতে হয়। আল্লাহর ভরসায় চলতেছি।’

সাইফুল ইসলাম নামে এক ভ্যানচালক বলেন,  ‘সকাল থেকে রাস্তায়, মাথার উপর আগুন ঝরতেছে। রোজা রাখছি, পানি খাইতেও পারি না। মাঝেমধ্যে মনে হয় বেহুশ হয়ে পড়ব। তবুও ঘরে চাল তুলতে হলে ভ্যান টানতেই হয়।’

রিকশাচালক রহিম উদ্দিন বলেন, ‘গরমে শরীর ভেঙে পড়তেছে। রিকশা চালানোই দায়। আবার রোজা না রাখলেও মন মানে না। যাত্রীও কম, রোজগারও কম। গরম আর অভাব দুইটা একসঙ্গে মারতেছে। 

মিজানুর/পপি/