ঢাকা ৩ ফাল্গুন ১৪৩১, রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১

মায়ানমার থেকে ১৯ দিন পর এলো ১৫৬০ বস্তা ফেলন ডাল

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৫ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৬ পিএম
মায়ানমার থেকে ১৯ দিন পর এলো ১৫৬০ বস্তা ফেলন ডাল
টেকনাফ জেটিঘাটে ডালবোঝাই ট্রলার। ছবি: খবরের কাগজ

মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা সরকারের সঙ্গে আরাকান আর্মির চলমান সংঘাতের কারণে ব্যাপক বিরূপ প্রভাব পড়েছে টেকনাফ স্থল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিতে। গত ১৯ দিন পর মায়ানমার মংডু শহর থেকে আরাকান আর্মির তত্ত্বাবধানে জানুয়ারি মাসে তিনটি কাঠের ট্রলারে করে এসেছে মাত্র ১ হাজার ৫৬০ বস্তা ফেলন ডাল। 

টেকনাফ স্থলবন্দরের ম্যানেজার ছৈয়দ আনোয়ার হোসেন জানান, মায়ানমারে জান্তা সরকার ও আরকান আর্মি সঙ্গে সংঘাত চলছে। সংঘাতের কারণে টেকনাফ স্থল বন্দরের সকল স্টেকহোল্ডাররা নীরবতার দিন পার করছে। সর্বশেষ গেল ১৪ ডিসেম্বর একটি মাছভর্তি ট্রলার এসেছিল। 

তিনি জানান, চলিত বছরের ৩ জানুয়ারি জিন্নাহ এন্টারপ্রাইজের কাছে ১ হাজার বস্তা ফেলন ডাল এসেছিল, ৫ জানুয়ারি একই সিএন্ডএফের কাছে আসছে ২৬০ বস্তা ডাল এবং সর্বশেষ ১২ জানুয়ারি আসছে ৩০০ বস্তা ফেলন ডাল। আগের মতো পণ্যবোঝাই কোনো জাহাজ আসতে না পারার ফলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। পাশাপাশি কাজ না থাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে শ্রমিকদেরও। 

টেকনাফ স্থলবন্দর কাস্টমস কর্মকর্তা বি.এম আবদুল্লাহ আল মাসুম জানান, মায়ানমারে চলমান সংঘাতের কারণে গত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৭ হাজার মেট্রিক টন মালামাল আমদানির বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৫৭ কোটি টাকা। এছাড়া রপ্তানি হয়েছে ৬৩৬ মেট্রিক টন পণ্য। কিন্তু ২০২৪-২০২৫ চলতি অর্থ বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পণ্য আমদানি হয়েছে মাত্র ১১ হাজার মেট্রিক টন। রাজস্ব আদায় ৮৭ কোটি টাকা এবং রপ্তানি হয়েছে ৬৯১ মেট্রিক টন মালামাল। গেল অর্থবছরের তুলনায় রাজস্ব কমেছে ১৭০ কোটি টাকা। 

উল্লেখ্য, টেকনাফ স্থলবন্দরের মাস খানেক আগেও আমদানি পণ্যের ভিড় আর শ্রমিকদের সুরগোলে মুখরিত থাকত বন্দরের জেটি আর গাড়ির দীর্ঘ লাইনে। সেখানে আজ খালি পড়ে আছে বন্দরের জেটি, অলস বসে আছে শ্রমিকরা। কালেভদ্রে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি পণ্য নিয়ে দু-একটা ট্রলার গেলেও মায়ানমার থেকে আসছে না কোনো মালামালবাহী ট্রলার। ফলে ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি অর্থাভাবে ভয়ংকর শঙ্কায় দিন কাটছে শ্রমিকদের।

মো. শাহীন/মাহফুজ

 

নদীবক্ষে ভিন্নরকম পাঠচক্র

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৭ এএম
নদীবক্ষে ভিন্নরকম পাঠচক্র
যশোরের ঝিকরগাছার কাটাখালের কপোতাক্ষ নদের মাঝে গত শুক্রবার নৌকায় ভিন্নধর্মী এক পাঠচক্রের আয়োজন করা হয়। ছবি: খবরের কাগজ

বিভিন্ন পাখির কিচিরমিচির ডাক শোনা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে পানকৌড়ির ডানা ঝাপটানো ছুটে চলা। কানে বাজছে কপোতাক্ষ নদের কলকল জলরাশির মৃদু শব্দ। সঙ্গে রয়েছে নদের দুই পাশের সবুজ প্রকৃতির স্নিগ্ধময় আবেশ।

এমনই এক মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কবি’ উপন্যাস নিয়ে পাঠচক্র।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পড়ন্ত দুপুরে যশোরের ঝিকরগাছার কাটাখালের কপোতাক্ষ নদের মাঝে নৌকায় ভিন্নধর্মী এ পাঠচক্রের আয়োজন করে ‘সপ্তাহে একটি বই পড়ি’ নামে সাহিত্য চর্চা সংগঠন।

পাঠচক্রে অংশগ্রহণকারীরা জানান, ‘কবি’ বইটির পাঠ চলাকালে সদস্যদের মধ্যে উপন্যাসের তিনটি চরিত্র নিতাই, ঠাকুরঝি ও বসন্তের ভালোবাসা নিয়ে নানা মত প্রকাশ পায়। বইয়ের চরিত্রকেন্দ্রিক যুক্তি-আশ্রয়ী রোমান্টিক আলোচনায় উপভোগ্যময় হয়ে ওঠে পাঠচক্র। এ ধরনের উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট বইয়ের বিষয়বস্তু জানা ও পাঠে আনন্দের সুযোগ সৃষ্টি হয়।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহ্জাহান কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় পাঠচক্র। পাঠ-প্রতিক্রিয়া পর্বে অংশগ্রহণ করেন অভিজিৎ কুমার তরফদার, খাদিজা একরাম এষা, সোনিয়া আফরিন, অপু দেবনাথ, জান্নাতুল ফেরদৌস ইলা, হামিদা হিমু, আনিকা প্রমুখ। প্রতিবেশ অধ্যয়ন সঞ্চালনা করেন মুরাদ হোসেন। 

সালেহা সুলতানা ঊষার কণ্ঠে সংগীত দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। আর শেষ হয় ৫ মিনিটের মেডিটেশন দিয়ে। আলোচনার মাঝে মাঝে রুবাই পাঠ করেন কবি মামুন আজাদ। কবিতা শোনান মনিরা খাতুন এবং লোকোজ গান পরিবেশন করেন স্থানীয় বাউলশিল্পী সোহরাব হোসেন।

‘কবি’ উপন্যাস নিয়ে মনোজ্ঞ আলোচনা এবং প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন যশোর সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোফাজ্জেল হোসেন ও পাঠচক্রের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শাহ্জাহান কবীর।

আলোচনার একপর্যায়ে ‘কবি’ উপন্যাসকেন্দ্রিক রম্য বিতর্কে অংশগ্রহণ করেন পাঠচক্র সদস্যরা। বিতর্কের বিষয় ছিল ‘বসন্ত নয়, ঠাকুরঝিই ছিল নিতাইয়ের প্রকৃত ভালোবাসা’। পক্ষ দলে অংশগ্রহণ করেন মুরাদ হোসেন, সায়মা আক্তার তৌফা, অভিজিৎ তরফদার ও সোনিয়া আফরিন এবং বিপক্ষ দলে অপু দেবনাথ, সালেহা সুলতানা ঊষা, খাদিজা একরাম এশা ও জান্নাতুল ফেরদৌস ইলা। 

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কবি মামুন আজাদ, সাংবাদিক সালমান হাসান রাজীব ও সংগঠনের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ও কবি সুমন রেজা। বিতর্কে পক্ষ দল বিজয়ী হন এবং শ্রেষ্ঠ বক্তা হন অভিজিৎ তরফদার।

ভিন্নতর আয়োজন নিয়ে সংগঠনের সভাপতি শাহ্জাহান কবীর বলেন, ‘পাঠচক্রের গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এর মধ্যে অনন্য আয়োজন হচ্ছে ‘প্রতিবেশ অধ্যয়ন’। বইয়ের বিষয়ের সঙ্গে মিল রেখে আবহ সৃষ্টির মাধ্যমে পাঠচক্র করার নামই ‘প্রতিবেশ অধ্যয়ন’। সাধারণত ১০টি সাপ্তাহিক পাঠচক্র সম্পন্ন করার পর ‘প্রতিবেশ অধ্যয়ন’র আয়োজন করে সংগঠনটি।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাঠচক্রে বই আলোচনার পাশাপাশি থাকে গান, কবিতা আবৃত্তি, স্বরচিত কবিতা পাঠসহ নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। উপস্থিত সবাই পাঠচক্রে পূর্বনির্ধারিত বইয়ের ওপর পাঠ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার সুযোগ পান। কোনো কোনো বইয়ের জন্য প্রধান আলোচকও রাখা হয়। বইটির ওপর বিশদ আলোচনার পাশাপাশি প্রধান আলোচক বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।’

শাহজাহান কবীর বলেন, ‘সপ্তাহে একটি বই পড়ি’ বই পড়ার একটি নিত্য আন্দোলনের নাম। উন্নত, কল্যাণকর, নান্দনিক ও উদার চিন্তা-চেতনাসমৃদ্ধ মানুষের সমাজ বিনির্মাণে বই পাঠের বিকল্প নেই। মানবিক ও নান্দনিক মানুষের সমাজ গঠনে কাজ করছি আমরা।’

ফরিদপুরে কুকুরের মাংস বিক্রির অভিযোগ

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৩ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৮ পিএম
ফরিদপুরে কুকুরের মাংস বিক্রির অভিযোগ
অভিযুুক্ত সুুজন। ছবি: খবরের কাগজ

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় এক যুবকের বিরুদ্ধে কুকুর জবাই করে মাংস বিক্রি অভিযোগ উঠেছে। 

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা বুড়াইচ ইউনিয়নের হেলেঞ্চা গ্রামে সুজন (২৩) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে কুকুর জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।

গত শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা দুইটার দিকে তাকে হেলেঞ্চা বাজারের পাশে ঘাসখেতে বসে কুকুরের মাংস কাটতে দেখতে পায় স্থানীয়রা। 

অভিযুক্ত সুজন হেলেঞ্চা গ্রামের পূর্বপাড়া আবু বক্কর শেখের ছেলে।

ওই এলাকায় গিয়ে জানা গেছে, সুজন এর আগেও কুকুর জবাই করে অন্য এলাকায় মাংস বিক্রি করেছে। তিনি একজন মাদকাসক্ত ও মাদক বিক্রিতা। বিগত সরকারের আমলে পুলিশের সোর্স হয়ে বহু নিরীহ যুবকদের পকেটে মাদক ঢুকিয়ে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

এলাকায় মোবাইল, টিউবওয়েলের মাথা, ছাগল, বাড়িঘরের আসবাবপত্র চুরির সঙ্গে জড়িত ছিল এমন অভিযোগও তুলছে স্থানীয়রা।

পোল্ট্রি ব্যবসায়ী লাভলু মিয়া বলেন, মুরগির নাড়ি-ভূড়ি নিয়মিত কয়েকটি কুকুরকে খেতে দেই কিন্তু কয়েকদিন হলো এদের মধ্যে একটি কুকুরকে দেখতে পাইনা। ধারণা করা হচ্ছে সুজন হয়তো ওই কুকুরটি জবাই করেছে।
 
এ বিষয়ে সুজন শেখের বক্তব্য নিতে তার বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি এবং প্রতিবেশীরা মুখ খুলতে রাজি হয়নি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল বাসার বলেন, 'ঘটনাটি সত্যি' আমি মাঠে গেলে শব্দ শুনতে পাই। খোঁজ করে দূর থেকে দেখতে পাই সুজন ধারালো ছুরি দিয়ে মাংস কাটছে। সে মাদকাসক্ত হওয়ায় হাফিজুর গাজিকে ফোন করে আসতে বলি। সে টের পেয়ে পালিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে কুকুরের মাংস, মাথা, পা দেখতে পাই। পরে তার স্ত্রীকে খবর দিয়ে নাড়ি-ভুড়ি সরাতে বলি।

এ বিষয়ে বুড়াইচ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব পান্নু বলেন, বিষয়টি শুনেছি। বাজারেও এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সুজন গাঁজা খায়, বাড়ির কাউকে মানে না, কথাও শুনে না। পুলিশ ওকে একবার ধরেছিল। আমাদের সামনে আসে না আর দেখতেই তো মাদকাসক্ত লাগে।

সঞ্জিব/মেহেদী/ 

ভারতের জনগণ নয়, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান: মাহমুদুর রহমান

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৮ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৯ পিএম
ভারতের জনগণ নয়, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান: মাহমুদুর রহমান
সিলেট প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ড. মাহমুদুর রহমান। ছবি: খবরের কাগজ

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান বলেছেন, একুশে পদক অর্জন আমার একার নয়, দৈনিক আমার দেশের সকল সাংবাদিকের এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করেছিলেন তাদের সকলের। সিলেটের প্রতি আমার দুর্বলতা রয়েছে। কারণ, সিলেটের মানুষ সবসময়ই আমার দেশ পত্রিকাকে ভালবেসেছেন। সিলেটবাসীর এ সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিলেট প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, দৈনিক আমার দেশের লড়াই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে। আমাদের ঘাড়ের ওপর যে ফ্যাসিবাদ চেপে বসেছিল এবং ভারতের পুতুল সরকারের ভূমিকা পালন করেছিল তাদের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং এদেশে থাকা তাদের এজেন্টদের বিরুদ্ধে। 

তিনি আরও বলেন, ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু ভারত সরকারের আধিপত্যবাদী পলিসির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। ১৯৪৭ সালে এই সিলেটবাসীই গণভোট দিয়ে পাকিস্তানের অংশ হয়েছিল। কাজেই স্বাধীনতার জন্য সিলেটবাসীর ঐতিহাসিক যে ভূমিকা এটি রক্ষা করে যেতে হবে। 

জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ সাংবাদিক এটিএম তুরাবকে স্মরণ করে তিনি বলেন, দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হওয়ার পেছনে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। 

সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকরামুল কবিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি খালেদ আহমদ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সাবেক সহসভাপতি এনামুল হক জুবের, মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বদর, মুহাম্মদ আমজাদ হোসাইন, আবদুল কাদের তাপাদার, হুমায়ূন রশিদ চৌধুরী ও এম এ হান্নান, সহসাধারণ সম্পাদক শুয়াইবুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আনিস রহমান, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক শেখ আব্দুল মজিদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আব্দুল রাজ্জাক, সদস্য কামকামুর রাজ্জাক রুনু, জিয়াউস-শামস-শাহীন, চৌধুরী দেলওয়ার হোসেন জিলন, মো. ফয়ছল আলম, মো. আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এহিয়া, আনাস হাবিব কলিন্স, এম এ মতিন, ফয়সাল আমীন, নাজমুল কবীর পাভেল, সজল ছত্রী, দিগেন সিংহ, সিন্টু রঞ্জন চন্দ, গোলজার আহমেদ, খালেদ আহমদ, মো. দুলাল হোসেন, মো. মারুফ হাসান, শফিক আহমদ শফি প্রমূখ। 
   
শাকিলা ববি/মাহফুজ

 

বাংলাদেশি ৫ কৃষককে মারধরের ঘটনায় বিএসএফের দুঃখ প্রকাশ

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৭ পিএম
বাংলাদেশি ৫ কৃষককে মারধরের ঘটনায় বিএসএফের দুঃখ প্রকাশ
বিজিবি-বিএসএফের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ৫ বাংলাদেশি কৃষককে মারধরের ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকে দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে। 

বিজিবির প্রতিবাদের পর শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করে বিএসএফ। 

পতাকা বৈঠক ও দুঃখ প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করে তথ্য দিয়েছেন লালমনিরহাট বিজিবি ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ মো. শাকিল আলম।

বিজিবি তথ্য বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শনিবার বিকেল ৪টার দিকে ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙা ইউনিয়নের গোরকমন্ডপ সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯২৯-এর সাব পিলার ৪ এসের কাছে বাংলাদেশি নাগরিক আব্দুল্লাহ নামে এক ব্যক্তির উঠানে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহ্ মো. শাকিল আলম। ভারতের বিএসএফর পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিএসএফ এর ৩ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার অমিত কুমার। 

প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার দুপুরে ফুলবাড়ীর নাওডাঙা ইউনিয়নের পশ্চিম বালাতারী সীমান্তের সীমান্ত পিলার ৯৩০-এর ৮ এস পিলারের কাছ দিয়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে প্রবেশ করেন বিএসএফের ১০ থেকে ১২ জন সদস্য। বারোমাসিয়া নদীর ধারে বাংলাদেশের পশ্চিম বালাতারী গ্রামে প্রবেশ করে পাঁচ বাংলাদেশিকে মারধর করে। একজনের হাতে জখম হয়। এ ঘটনায় সীমান্তবাসীরা উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ জানালে তোপের মুখে তারা ফিরে যায় বিএসএফ সদস্যরা। এরপরও ওই সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা ছিল। পরে বিজিবির টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এরপরের দিন (আজ) বিকেলে বৈঠকটি হলো।

বিজিবি জানায়, বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়। পরে সার্বিক ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিএসএফ। ঘটনা প্রসঙ্গে বিএসএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশে প্রবেশ করা বিএসএফ জওয়ানরা কাশ্মির ফ্রন্ট থেকে এ অঞ্চলে নতুন যোগ দিয়েছে। তারা সীমান্ত এলাকা দেখতে বের হয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। এ বিষয়টি তারা বুঝতে পারেননি। ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে নিজস্ব আইনে ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেয় বিএসএফ। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে বিএসএফের পক্ষ থেকে। 

মওলা সিরাজ/মাহফুজ

 

পঞ্চগড়ে ভারতীয় নারী আটক

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৪ পিএম
পঞ্চগড়ে ভারতীয় নারী আটক
ছবি: খবরের কাগজ

পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় বাংলাদেশ সীমান্তে ঢোকার দায়ে এক ভারতীয় নারীকে (৪২) আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের জয়ধরভাঙ্গা ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়।

জিজ্ঞাসাবাদে ওই ভারতীয় নারী হিন্দিতে কথা বলছিলেন। নিজের নাম  কখনো শান্তি আবার কখনও বাসন্তী এবং ঠিকানা দিল্লী ও শ্বশুর বাড়ি বাংলাদেশের বগুড়া জেলায় বলে জানান। তবে তার আচার-আচরণ মানসিক ভারসম্যহীনের মত বলে জানিয়েছে বিজিবি।

শনিবার সন্ধ্যায় নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, শনিবার সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের মেইন পিলার ৭৬০ এর ৬০ নম্বর সাব পিলার এলাকা দিয়ে ওই নারীকে বাংলাদেশের ১৫০ গজ ভিতরে দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পের টহল দল বিষয়টি জানতে পেরে তাকে আটক করে। পরে বিজিবি বিষয়টি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ৯৩ ব্যাটালিয়নের শ্যাম ক্যাম্পের কমান্ডারকে জানায়। এর পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ক্যাম্প কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে বিএসএস ওই নারী ভারতীয় মর্মে নিশ্চিত হয়ে ফেরত নিতে চায়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে বিএসএফের কাছে ওই ভারতীয় নারীকে হস্তান্তর করে বিজিবির জয়ধরভাঙ্গা ক্যাম্পের সদস্যরা। 

ভারতীয় নাগরিককে ফেরত দেওয়ায় বিজিবিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানায় বিএসএফ।

বিজিবির জয়ধরভাঙ্গা ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার শহিদুল ইসলাম বলেন, ভারতীয় এক নারীকে বাংলাদেশে ঢোকার পর আমাদের টহল দল আটক করে। নারীকে মানসিক ভারসমস্যহীন বলে মনে হয়েছে। পরে আমরা বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। এরই প্রেক্ষিতে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ হলে তারা পতাকা বৈঠকে এসে ভারতীয় নাগরিক নিশ্চিত করেন। পরে তাকে ফেরত নিতে চাইলে আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করেছি।

নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক শেখ মো. বদরুদ্দোজা বলেন, বিজিবি সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে সদা তৎপর। বিজিবি সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির অভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সীমান্ত এলাকা দিয়ে পার্শবর্তী দেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে বিজিবি শক্ত অবস্থানে রয়েছে। যে কোন মূল্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে ৫৬ বিজিবি কঠোর নজরদারি নিশ্চিতের পাশাপাশি অনুপ্রবেশ বন্ধে সদা প্রস্তুত।

রনি/মেহেদী/