
গোপালগঞ্জে মাদক ব্যবসা না করতে চাওয়ায় সারারাত পানিতে চুবিয়ে নাহিদ মিনা (২২) নামে এক যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি তার গোপনাঙ্গেও আঘাত করে মারাত্মক আহত করা হয়।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফুকরা এলাকা থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে স্থানয়ীরা।
নির্যাতনের শিকার ওই যুবক গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাইকেরডাঙ্গা গ্রামের চাঁন মিয়া মিনার ছেলে। সে চন্দ্রদিঘলিয়া এলাকায় হোটেল ব্যবসা করে।
আহত যুবক নাহিদ মিনা জানায়, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুরের আমানত খান এবং তার সঙ্গী কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা গ্রামের আদম ও বাদশা তাদের সঙ্গে মাদক ব্যবসা করতে বলেন। কিন্তু সে রাজী না হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে যান। পরে একটি রুমের মধ্যে আটকে রেখে রাতভর তার ওপর নানাভাবে নির্যাতন চালায় এবং পানিতে চুবানো হয়। এর পরেও সে রাজি না হলে গোপনাঙ্গে আগুনের ছ্যাকা দেন। নির্যাতনের এক পর্যায়ে গুরুতর আহত হলে তাকে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সদর উপজেলার গোপীনাথপুর তদন্ত কেন্দ্রে পুলিশের কাছে রেখে যায়। এর পরে পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নির্যাতনের শিকার ওই যুবকের বাবা চাঁন মিয়া মিনা বলেন, 'বৃহস্পতিবার বাড়িতে না ফিরে আসলে তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখঁজি করি। মোবাইল ফোনও বন্ধ পাই। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ফুকরা থেকে স্থানয়িরা উদ্ধার করে। ওর ওপর মারাত্মক নির্যাতন করায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।'
গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের ইমারজেন্সী চিকিৎসক ডা. আবতাব জিলানী বলেন, নাহিদ মিনার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গোপীনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক আহম্মেদ আলী বিশ্বাস বলেন, ওই যুবকের বাবা আমাদের কাছে নিয়ে এসেছিলেন। তবে এখন পযর্ন্ত কোনো অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাদল সাহা/জোবাইদা/