
জামালপুরের মাদারগঞ্জে চাচার সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ফরিদপুরে পুলিশে কর্মরত ভাতিজা রফিকুল ইসলামের (৪২) বিরুদ্ধে চাচি নুরুন্নাহার বেগমের (৬০) মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করে গুরুত্বর আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার জাঙ্গালিয়া পূর্বপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আহতের স্বামী আবুল মনছুর (৭৪) মাদারগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, মাদারগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত খোকা মণ্ডলের ছেলে পুলিশের এএসআই রফিকুল ইসলামের সঙ্গে তার চাচা আবুল মনছুরের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। কিছুদিন আগে আবুল মনছুর বসতবাড়িতে পাকা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করলে ভাতিজা রফিকুল ইসলাম বাধা দেন। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সালিশ-বৈঠক ডাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিকেলে রফিকুল ইসলাম তার বড় বোনের ছেলে এনামুল হক (২৪) ও রনি মিয়াকে (২০) সঙ্গে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চাচা আবুল মনছুরের বাড়িতে হামলা চালায় এবং বসতঘরের টিনের বেড়ার ক্ষতিসাধন করে। এ সময় রফিকুল ইসলাম তার চাচি নুরুন্নাহার বেগমকে মারধর করে একপর্যায়ে মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে ও চাচাতো বোন সুইটি আক্তার শুভাকে মারধর করে আহত করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে নুরুন্নাহার বেগম ও সুইটি আক্তার শুভাকে মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
পরে নুরুন্নাহার বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, জমি নিয়ে বিরোধে চাচিকে মারধরের ঘটনায় পুলিশের এএসআই রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দিয়েছেন তার চাচা আবুল মনছুর। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আসমাউল আসিফ/মেহেদী