ঢাকা ২৭ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১

রাজশাহীর ১৪ পৌরসভা : সেবা না মিললেও দিতে হয় কর-বিল

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৭ পিএম
আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:০৫ পিএম
রাজশাহীর ১৪ পৌরসভা : সেবা না মিললেও দিতে হয় কর-বিল
রাজশাহী

রাজশাহী জেলার ১৪টি পৌরসভায় পানি, বিদ্যুৎ, পয়োনিষ্কাশন, মশক নিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মতো জরুরি নাগরিক সেবা দেওয়া না হলেও সেবার নামে কর ও বিল আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে এসব অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। 

ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে এবং সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজশাহীর বেশ কিছু পৌরসভায় পানির পাইপলাইনই বসানো হয়নি, অথচ পৌরকরের সঙ্গে পানি সরবরাহ বিল আদায় করা হচ্ছে। এ ছাড়া রাস্তা আলোকায়নের বিদ্যুৎ বিল, পরিচ্ছন্নতা বিল আদায় করা হলেও এসব সুবিধা পাচ্ছেন না তারা। 

রাজশাহীর ৯টি উপজেলার পৌরসভাগুলো হচ্ছে বাঘা উপজেলার বাঘা ও আড়ানী, চারঘাট উপজেলায় চারঘাট, পুঠিয়া উপজেলার পুঠিয়া, পবা উপজেলার কাটাখালী ও নওহাটা, গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট ও গোদাগাড়ী, তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা ও তানোর, দুর্গাপুর উপজেলার দুর্গাপুর, বাগমারার ভবানীগঞ্জ ও তাহেরপুর এবং মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট। 

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেশ কয়েকটি উপজেলায় একাধিক পৌরসভা রয়েছে। নাগরিক সেবা দেওয়ার কথা বলে এসব পৌরসভা প্রতিষ্ঠা করা হলেও বাস্তবে এসব পৌরসভা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক। সেবা প্রদান তো দূরের কথা, পৌরসভাগুলোর বেশির ভাগই নিজেদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে। বেশির ভাগ নাগরিকের পাইপলাইনে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা নাই। আবার পানি না দিলেও বেশ কয়েক জায়গায় নেওয়া হয় পানির বিল। সড়কে বাতি না থাকায় রাতের বেলা ভুতুড়ে অবস্থা বিরাজ করে। অথচ আদায় করা হয় রাস্তা আলোকায়নের বিদ্যুৎ বিল। আবার পৌরসভার রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কোনো ব্যবস্থা নেই। কিন্তু পরিচ্ছন্নতা বিলের অর্থ আদায় করা হয়। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌরসভায় পানির পাইপলাইনের সংযোগ নেই। তবে বাড়ির ট্যাক্সের সঙ্গে বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হচ্ছে পানির বিলের অর্থ। এই পৌরসভার বেশির ভাগ এলাকাতেই সড়ক আলোকায়নের ব্যবস্থাও নেই। কিন্তু পৌরবাসীর কাছ থেকে আদায় করা হয় বিল।
 
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার বাসিন্দা অলিমুদ্দিন বলেন, ‘আমাদের এলাকায় পানির লাইন দেওয়া হয়নি। শুকনো মৌসুমে পানির অসুবিধায় পড়ি। পশু পালন থেকে নিজেদের সব ধরনের পানির জন্যই সমস্যা হয়। গরিব মানুষ বলে একটি পানির মোটরও বসাতে পারি না। কিন্তু আমাকে প্রতিবছর পৌরসভার পানির ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। ট্যাক্স দিলেও পাচ্ছি না পানি। রাস্তাও অন্ধকার থাকে। কিন্তু পৌরসভা থেকে শুধু টাকা নেয়।’ 

তানোর পৌরসভার বাসিন্দা নাজমুল বলেন, ‘আমার বাড়িতে পানির লাইন আছে। তবে পানি পাওয়া যায় না। আবার বিল তো ঠিকই দিতে হয়। কিছু করার থাকে না। বিলের অর্থ পরিশোধের বিষয়টি বাধ্যতামূলক।’

নওহাটা পৌরসভার বাসিন্দা আরমান হোসেন বলেন, ‘পানির লাইন সবাই পাইনি। সবাই সব সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। তবুও সবার কাছ থেকে টাকা আদায় করা হচ্ছে।’

পুঠিয়া পৌরসভার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বলেন, পুঠিয়া পৌরসভা নামেই শুধু পৌরসভা। এখানে না আছে লাইটের ব্যবস্থা, না আছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ। শুধু বছর শেষে ট্যাক্স আদায় করে। 

এ বিষয়ে রাজশাহীর কাঁকনহাট পৌরসভার প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখনো পানির সংযোগ সব জায়গাতে দিতে পারিনি। বিদ্যুৎ লাইনও সব জায়গায় দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শুধু হোল্ডিং ট্যাক্স ও বিদ্যুৎ বিল নিয়ে থাকি, অন্য বিল নয়। আমাদের সব জায়গাতেই বিদ্যুৎ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’

গোদাগাড়ী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোহা. সারওয়ার জাহান বলেন, ‘আমাদের এটি সফটওয়্যারের বিল। সেখানে পানি ও বিদ্যুতের উল্লেখ আছে। তবে ইউএনর সঙ্গে বসে এগুলোর সমাধান করা হয়েছে। এসব বিল আর পৌরবাসীর কাছ থেকে গ্রহণ করা হবে না।’

আড়ানী পৌরসভার প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবিহা সুলতানা ডলি বলেন, ‘সেবা না দিয়ে বিল আদায়সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে কেউ কোনো সেবা না পেয়ে বিল দেবে এমনটি নয়। আমি এখনই নির্বাহীকে বলে দিচ্ছি, কীভাবে চলছে সেটা আমাকে জানাতে।’

এদিকে পৌরসভাগুলোর সার্বিক সেবা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা নিয়ে কাজ হচ্ছে জানিয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জাকিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি এসেই বেশ কিছু পৌরসভা ভিজিট করেছি। নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার বিষয়টি নিয়ে আমরা সবখানে কথা বলেছি। পৌরসভাগুলোর যে নাগরিক সেবা দেওয়ার কথা, সব সময় সেই সেবা দিতে পারছে না। তাদের ফান্ডের সংকট থাকলে আয় বাড়াতে হবে। তাদের আয় বাড়ানোর কর্মপরিকল্পনা স্মার্ট না। পৌরসভাতে পানি সরবরাহ, আলোকায়ন, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করা- সবই পৌরসভাগুলোর কাজ।’
 
বেশির ভাগ পৌরসভার এসব নিশ্চিত করতে না পারা প্রসঙ্গে তিনি একমত হয়ে বলেন, ‘এর পেছনের দুটি কারণের একটি হচ্ছে তারা আয় বাড়াতে পারছে না। আরেকটা হলো তারা যে আয় বাড়াতে পারছে না, এটা এক্সপোজও করতে পারছে না। সরকারের কাছে তারা এই প্রস্তাবও দিতে পারেনি যে এসব সেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কী কী সাপোর্ট লাগবে।’ 

মঞ্চ ভাঙচুর তিন-চার মিনিটে তামিম মুশফিকদের বিদায়

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৫ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১৬ পিএম
তিন-চার মিনিটে তামিম মুশফিকদের বিদায়
মঞ্চ ভাঙচুর করে দর্শকরা। ছবি: খবরের কাগজ

মঞ্চে ছিলেন তামিম-মুশফিকরা। কিন্তু কেউ কোনো বক্তব্য রাখলেন না। কোনো সেলফি তোলার সুযোগও পেলেন না দর্শকরা। খেলোয়াড়রা শুধু হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্রফি উঁচিয়ে দেখালেন, তারপর বিদায়! মুহূর্তেই উচ্ছ্বাস বদলে গেল হতাশায়। কষ্ট করে অপেক্ষা করা দর্শকদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়ে এবং সেই হতাশাই রূপ নেয় ক্ষোভে। ক্ষোভ থেকে শুরু হয় চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি। পরে মঞ্চ ভাঙচুর করে।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বরিশালে বিপিএল চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল দলের সংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা ঘটে। এ সময়ে গণমাধ্যমকর্মীসহ অর্ধশত আহত হন। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফরচুন বরিশাল দলের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উপভোগ করতে এবং প্রিয় খেলোয়াড়দের কাছ থেকে দেখতে দুপুর ১টা থেকেই বরিশালের ঐতিহ্যবাহী বেলস পার্ক জনসমুদ্রে পরিণত হয়। তীব্র রোদ উপেক্ষা করে ক্রিকেটপ্রেমীরা ভিড় জমাতে থাকেন। কিন্তু মঞ্চে উঠে হাত নেড়ে আর ট্রফি দেখিয়ে খেলোয়াড়রা মাত্র তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যে বিদায় নেন। এরপরই দর্শকরা চেয়ার ছুঁড়তে শুরু করেন। চলে ভাঙচুর।

মো. রাসেল হোসেন খবরের কাগজকে বলেন, ‘অনুষ্ঠানটি পুরোপুরি উপভোগের জন্য ঝালকাঠী থেকে এসেছি। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শান্তকে কাছ থেকে দেখার জন্য। কিন্তু আয়োজকরা প্রতিশ্রুতি বজায় রাখেননি। প্রিয় খেলোয়াড়রা মঞ্চে খুবই অল্প সময় অবস্থান করেছেন। এতে দর্শকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পরে তারা মঞ্চ ভাঙচুর করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আয়োজকদের গাফিলতির কারণে এমনটি ঘটেছে।’ তবে এ বিষয়ে ফরচুন কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অপারেশন ডেভিল হান্টে কুমিল্লায় গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৬ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৭ পিএম
অপারেশন ডেভিল হান্টে কুমিল্লায় গ্রেপ্তার ৩
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

অপারেশন ডেভিল হান্টে কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের তিন কর্মী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে কুমিল্লার মুরাদনগর, সদর দক্ষিণ ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে যৌথবাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করে।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- মুরাদনগর উপজেলার ৫ নং পূর্বধইর (পশ্চিম) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক জীবন মিয়া (৪৫), দাউদকান্দি উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের যুবলীগের সদস্য আলাউদ্দিন অজি (৪৮) এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সদর দক্ষিণ উপজেলার একটি ইউনিয়নের সদস্য ফয়সাল তানভীর তামিম (১৭)।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সাল তানভীর তামিমকে শিশু আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতা জীবন মিয়ার বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। আর যুবলীগ কর্মী আলাউদ্দিন অজি ৫ আগস্ট উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে গুলি করে বাবু নামের একজনকে হত্যার মামলায় এজাহারনামীয় আসামি।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম বলেন, নিয়মিত অভিযানের সঙ্গে অপারেশন ডেভিল হান্টের যৌথ অভিযান ছিল। ওই অভিযানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পূর্বে তাদের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যা মামলাসহ থানায় বিভিন্ন মামলা রয়েছে।

জহির শান্ত/মাহফুজ

নাটোর জেলা বিএনপির সকল ইউনিট বিলুপ্ত

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩২ পিএম
নাটোর জেলা বিএনপির সকল ইউনিট বিলুপ্ত
ছবি: খবরের কাগজ

নাটোর জেলা বিএনপির সকল উপজেলা, পৌর,ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি কমিটি  বিলুপ্ত করা হয়েছে। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ।

রহিম নেওয়াজ জানান, রবিবার সকালে ঢাকা নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয়ে নাটোর জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির মতবিনিময় ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভা সঞ্চালনা করেন সদস্য সচীব আসাদুজ্জামান। ওই সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজশাহী বিভাগীয় উপদেষ্টা কাউন্সিল সমন্বয়ক আব্দুস সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহীন শওকত ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম।

সভায় আলোচনা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে নাটোর জেলার সকল উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়। তিনি আরও জানান, শীঘ্রই নতুনভাবে সকল ইউনিট কমিটি গঠিত হবে।

কামাল মৃধা/মাহফুজ

 

তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নে ভারতের সঙ্গে মাথা উঁচু করে কথা বলবে সরকার: আসিফ মাহমুদ

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৬ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৭ পিএম
তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নে ভারতের সঙ্গে মাথা উঁচু করে কথা বলবে সরকার: আসিফ মাহমুদ
রংপুরে ‘তিস্তা নদী নিয়ে করণীয় শীর্ষক’ গণশুনানিতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: খবরের কাগজ

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, আন্তর্জাতিক পানি আইনের ভিত্তিতে কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হবে, যাতে ভারত বাধ্য হয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে। ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশ তিস্তার পানি ন্যায্য হিস্যা আদায়ের জন্য একটি খসড়া নিয়ে ঘুরছে। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার ভারতকে শুধু ছবি তোলার সুযোগ দিয়েছে, কিন্তু তিস্তার ব্যাপারে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে শিরদাঁড়া উচ্চ করে দাঁড়িয়েছে। তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নে এবং পানির হিস্যা আদায়ের ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে মাথা উচ্চ করে কথা বলবে বাংলাদেশ।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তা রেল সেতু এলাকায় ‘তিস্তা নদী নিয়ে করণীয় শীর্ষক’ গণশুনানিতে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, পতিত হাসিনা সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে তারা ভারতের কাছে কিছুই আদায় করতে পারেনি। এসময় উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া এবং কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া তিস্তা নদী নিয়ে স্থানীয় জনগণের উদ্বেগ ও চাহিদা শোনা যায়, যেখানে তারা বর্তমান সরকারের আমলে এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানান। 

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এছাড়াও রংপুর বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম তারিকুল ইসলাম, নদী গবেষক নজরুল ইসলাম হক্কানী, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আতিক মুজাহিদসহ অন্যান্য নেতারা গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।

সেলিম সরকার/মাহফুজ

নওগাঁয় শহিদ জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৬ পিএম
নওগাঁয় শহিদ জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁয় শহিদ জিয়াউর রহমান আন্ত:উপজেলা ফুটবল-২৫ টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঐতিহাসিক মঙ্গলবাড়ী ফুটবল মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ-২ আসনে বিএনপির এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মো. খাজা নাজিবুল্লাহ্ চৌধুরী।

উদ্বোধনী খেলায় অংশ নেয় জয়পুরহাট উপজেলা বনাম পাঁচবিবি উপজেলা। ৪-৩ গোলে জয়লাভ করে জয়পুরহাট উপজেলা।

খেলার আয়োজন করে মঙ্গলবাড়ী নওগাঁর ধামইরহাট সবুজ সংঘ ও পাঠাগার। খেলা পরিচালনা করে জাহানপুর ইউনিয়ন ছাত্রদল। 

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ধামইরহাট থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার কায়সার বুলবুল, নওগাঁ জেলা কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তুষার হোসেন ফিরোজ, ধামইরহাট উপজেলা মহিলা দলের সহ-সভানেত্রী মৌসুমী চৌধুরী প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/