
উত্তরের জেলা পঞ্চগড় আবারও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে। উত্তরে হিমেল হাওয়া এই জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার কারণে কমেছে তাপমাত্রা, বাড়ছে শীত। আর এই কনকনে শীতের কারণে চরম বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। এ ছাড়া তাপমাত্রা হ্রাসের কারণে এ জেলায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আজ সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড।
সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত এ জেলার ওপর দিয়ে হিমেল হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি কনকনে শীত, ঘন কুয়াশা আর শিশি পড়ে রাতভর। ফলে কনকনে শীতের দাপটে চরম বিপাকে পড়েছেন এ জেলার খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ৷ অনেকেই শীতের কারণে সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না।
অন্যদিকে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিন দিন শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যারা আক্রান্ত হচ্ছে তাদের বেশির ভাগই শিশু ও বয়স্ক। চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে কথা হয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকার পাথর শ্রমিক শাহিনুর ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, কয়েক দিন থেকে অনেক শীত অনুভূত হচ্ছে। আমাদের কাজে আসতে অনেক সময় লাগছে। শীতের কারণে তেমন কাজ করতে পারছি না। আমাদের আয় কমে গেছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। উত্তরের হিমেল হওয়ার কারণে তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, দেশের সবচেয়ে বেশি শীত অনুভূত হয় এই পঞ্চগড় জেলায়। তাই আমরা আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। এ পর্যন্ত ৪৫ হাজারের মতো শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আমাদের শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
রনি মিয়াজী/জোবাইদা/