
পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রীনিবাস থেকে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে ছাত্রীনিবাসের ২০০১ নম্বর কক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত রিয়ামনি আক্তার মিলা (১৮) বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং দশমিনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের মো. মনিরুল ইসলামের মেয়ে।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল ৮টার দিকে মিলা ছাত্রীনিবাসে আসেন। সকাল ১০টার দিকে তার রুমমেটরা রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকার সময় মিলা ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে সহপাঠীরা দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
অন্যদিকে, দুপুর ১২টার দিকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মো. আবু নাহিয়ান অর্পন নামে এক যুবক নিজেকে মিলার স্বামী দাবি করেন। তিনি জানান, গতকাল (শনিবার) তাদের বিয়ে হয়েছে। উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে বিয়ের তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। স্বামী দাবি করা নাহিয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মোদাচ্ছের বিল্লাহ্ বলেন, ‘মিলা আমার কলেজের একজন মেধাবী ছাত্রী। সে কেন এ ধরনের কাজ করেছি বুঝতে পারছি না। এ ঘটনায় পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। আশা করি তদন্তে সব বের হয়ে আসবে।’
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু হয়েছে এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
হাসিবুর/সালমান/