ঢাকা ৩০ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১

কাভার্ডভ্যানের চাকায় পিষ্ট সাংবাদিকসহ ২ জন

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৭ পিএম
আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:১০ পিএম
কাভার্ডভ্যানের চাকায় পিষ্ট সাংবাদিকসহ ২ জন
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

গাজীপুরে কাভার্ডভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল চালক সাংবাদিকসহ দুইজন নিহত হয়েছে। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জেলার সদর উপজেলার হোতাপাড়া এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিমান বাহিনী মূল ফটকের উল্টো পাশের ইউটার্নে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মিনহাজুল কবির মাসুদ (৪০) জেলার শ্রীপুর উপজেলার বাউনি গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি দৈনিক একুশের বাণী পত্রিকায় শ্রীপুর প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অপরজন শ্রীপুরের আইউব আলীর ছেলে সম্রাট (৩৫)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার বিকেলে ঢাকার দিক থেকে একটি কাভার্ডভ্যান উল্টো পথে হোতাপাড়ার দিকে আসছিল। কাভার্ডভ্যানটি বিমান বাহিনী মেসের মূল ফটকের সামনে ইউটার্ন নেওয়ার সময় মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী মহাসড়কে পড়ে যান। পরে তারা হাত তুলে কার্ভাডভ্যানটি থামাতে বললেও চালক না থামিয়ে চালাতে থাকে। এসময় কাভার্ডভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে দুইজনই ঘটনাস্থলে মারা যান।

গাজীপুরের সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ্ আহমদ বলেন, হোতাপাড়ায় বিমান বাহিনী গেইটের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ইউটার্ন এলাকায় কাভার্ডভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী দুইজন নিহত হয়েছে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। ঘাতক কাভার্ডভ্যানসহ চালককে আটক করা হয়েছে। এবিষয়ে পরর্বতী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

পলাশ প্রধান/মাহফুজ

 

সিরাজদিখানে দুর্ঘটনায় পথচারী নিহত

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:০৯ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:১৩ পিএম
সিরাজদিখানে দুর্ঘটনায় পথচারী নিহত
মুন্সীগঞ্জ

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় অজ্ঞাত এক বৃদ্ধ ভিক্ষুকের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল সাতটার দিকে সদর উপজেলার নিমতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

ঘটনার সতত্য প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছে হাইওয়ে পুলিশ।

হাসারা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের জিলানী বলেন, ‘ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ঢাকামুখী সার্ভিস লেনে রাস্তা পার হওয়ার সময় অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই ব্যক্তি।

তিনি বলেন, ‘বেপরোয়া ও দ্রুতগতির ফলে দুর্ঘটনাটি ঘটতে পারে। মরদেহ হাসাড়া হাইওয়ে থানায় রয়েছে। নিহতের পরিচয় সনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। এক্সপ্রেসওয়েতে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।’

সুমন/

শেরপুরে জোড়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৯ পিএম
শেরপুরে জোড়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
ছবি: খবরের কাগজ

শেরপুর সদরে জোড়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. এমদাদ মাস্টার (৫৮) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ময়মনসিংহ র‌্যাব-১৪ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে জামালপুর সদর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মো. এমদাদ শেরপুর সদর উপজেলার গৌরীপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে।

র‌্যাব জানায়, শেরপুর সদর এলাকার মমতাজ বেগমের পরিবারের সঙ্গে মো. এমদাদের পরিবারের বিরোধ ছিল। গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে এমদাদের নেতৃত্বের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মমতাজ বেগমের ছেলে আশরাফুল আলম মিজানকে (৩৫) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও দেলোয়ার হোসেন মিন্টুর ছেলে আরিফুল ইসলাম শ্রাবণকে (২৮) পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের শেরপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিজানকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মারা যান শ্রাবণও। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে শেরপুর সদর থানায় দুটি মামলা করা হয়।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ র‌্যাব-১৪ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা বলেন, ঘটনাটি আমাদের নজরে আসলে ছায়াতদন্ত করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রধান আসামি এমদাদের পালিয়ে থাকার অবস্থান জানতে পেরে জামালপুর সদর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মিন্টু/মেহেদী/

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধ কার্তুজসহ ২ গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৫১ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:০১ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধ কার্তুজসহ ২ গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার
ছবি: খবরের কাগজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শর্টগানের অবৈধ ৬৭টি কার্তুজসহ জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের দুই কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পাঁচটার দিকে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ।

এর আগে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে পৌর এলাকার কাউতলীর ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- শাখাওয়াত হোসেন (২৯) ও সোহরাব হোসেন (৩০)। তারা দুজনেই জেলা ডিবি পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল আহমেদ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে সদর থানায় এই মামলা করেন।

তবে এসব কার্তুজ কোথা থেকে কিংবা কিভাবে তাদের কাছে এলো এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের ভাড়া বাসায় অভিযান চালানো হয় বলে জানায় পুলিশ।

পুলিশের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অভিযান) মো. ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলামের সঙ্গে পুলিশের অন্য সদস্যরা পৌর এলাকার কাউতলীর নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মো. তাহসিনের বাসার চতুর্থ তলায় অভিযান চালায়। চতুর্থ তলার ডিবির কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেন ও সোহরাব হোসেনের ভাড়া বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ১২ বোর শর্টগানের ৬৭টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জব্দ করা মালামাল নিজেদের হেফাজতে রাখার বিষয়ে কোনো যৌক্তিক কারণ ও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি দুই কনস্টেবল। 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গোয়েন্দা পুলিশের কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আছে বলে জানান তিনি।

গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শহীদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ইকবাল হোসাইন সাংবাদিকদেরকে বলেন, ডিবি পুলিশ কোনোভাবে ওইসব কার্তুজ তাদের দুই সদস্যের কাছে রয়েছে জানতে পারে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন স্যারকে তারা অবহিত করে ওনার নির্দেশেই গ্রেপ্তার করেন। নিয়মানুসারে তারা চাকরিচ্যুত হবেন এবং ঘটনার তদন্ত হবে।


জুয়েল/মেহেদী/

কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া দম্পতি পেলেন অটোরিকশা

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৭ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৩ এএম
কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া দম্পতি পেলেন অটোরিকশা
ছবি: খবরের কাগজ

সম্প্রতি ঋণগ্রস্ত হয়ে নিজেদের কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া নবীউল্লাহ ও জাহানারা দম্পতিকে অটোরিকশা কিনে দিয়েছেন পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক সাবেত আলী।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা প্রশাসক সাবেত আলী তার কার্যালয়ে ওই দম্পতির হাতে অটোরিকশার চাবি তুলে দেন।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল কাদের, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন ও কামাত কাজলদীঘি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফায়েল প্রধান উপস্থিত ছিলেন।

নবীউল্লাহ ও জাহানারা দম্পতির বাড়ি জেলার সদর উপজেলার কামাত কাজলদীঘি ইউনিয়নের তালমা এলাকায়৷

জানা গেছে,, নবীউল্লাহ ও জাহানারা দম্পতির মেয়ে নিতু আক্তার থ্যালাসেমিয়া এবং ছেলে জিহাদ অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত। দুই ছেলে-মেয়ের চিকিৎসা করাতে তারা ইতোমধ্যে সব শেষ করেছেন। সর্বশেষে সন্তানদের চিকিৎসা করাতে তারা বিভিন্ন এনজিও থেকে বড় অঙ্কের টাকা তুলে ঋণে পড়েন। পাশাপাশি খেয়ে না খেয়ে অভাবে দিন-রাত পার করছিলেন। পরে তারা কোনো উপায় না পেয়ে বিভিন্ন দেয়ালে কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপন সাঁটান। পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে দৃষ্টিগোচর হয় জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক সাবেত আলীর। পরে তিনি এই পরিাবারটির পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন। 

এদিকে নতুন অটোরিকশা পেয়ে খুশি নবীউল্লাহ ও জাহানারা দম্পতি। এ বিষয়ে নবীউল্লাহ বলেন, ছেলে-মেয়ের চিকিৎসার খরচ জোগাতে গিয়ে আমার যা ছিল সব খরচ করেছি। এখন রিকশা চালিয়ে অন্তত দুইবেলা খাবার জোগানো যাবে। জেলা প্রশাসকসহ যারা আমাকে এভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। সবাই আমাদের দুজনকে দোয়া করবেন। আমি যেন এই রিকশা চালিয়ে নিজে চলতে পারি এবং ছেলে-মেয়ের চিকিৎসা খরচ ও ঋণ পরিশোধ করতে পারি৷ 


কামাত কাজলদীঘি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফায়েল প্রধান বলেন, পরিবারটি বিভিন্ন কারণে একেবারেই অসহায় হয়ে পড়েছে। তার ওপর ঋণের চাপ। উপায়ান্তর না পেয়ে কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বিষয়টি নজরে এলে আমি খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি আসলেই তাদের করুণ অবস্থা। দীর্ঘদিন ধরে কর্মহীনও ছিল নবীউল্লাহ৷ তাকে যে রিকশা দেওয়া হলো আশা করি তিনি এটা চালিয়ে ভালোভাবে চলতে পারবেন।

জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে আমরা জানতে এই অসহায় দম্পতি ঋণে পড়ে তাদের কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। তখন পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই। আমরা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বুধবার বিকেলে ওই পরিবারটিকে একটি নতুন অটোরিকশা কিনে দিয়েছি। এই অটোরিকশায় তিনি সংসার চালাতে এবং ধীরে ধীরে ধীরে ঋণ পরিশোধ করতে পারেন। 


রনি/মেহেদী/

আগের নামে ফিরল পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশন

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩১ এএম
আগের নামে ফিরল পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশন
ছবি: খবরের কাগজ

জুলাই অভ্যুত্থানের ৬ মাস পর অবশেষে নাম পরিবর্তন হলো পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশনের নাম। স্টেশনের কোডও বদলে গেছে। 
 
বুধরবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলাদেশ রেলওয়ে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নোটিশের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি দেখা গেছে। 

বর্তমানে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশনের পরিবর্তন করে পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশন নামকরণ করা হয়েছে।

নোটিশ দেখা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল জোনের দুটি ও পূর্বাঞ্চলের জোনের একটি স্টেশনের বর্তমান পরবর্তিত নাম ও স্টেশনের কোড পরিবর্তন হয়েছে।বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশন কোড BMSM এর স্থলে পঞ্চগড় স্টেশন কোড PCGH দেখা যায়। দেখা যায় অপর  দুটি স্টেশনের নাম পরিবর্তন হওয়া স্টেশন গুলো হচ্ছে অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান তালুকদার ও উমেদ নগর স্টেশন। 

এদিকে স্টেশনের নাম পরিবর্তন করে পূর্বের নাম বহাল রাখার খবরে বুধবার রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অনেকেই পোস্ট দিয়েছেন। যদিও জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে স্টেশনের নাম পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ স্থানীয়রা। 
 


জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে পাবর্তীপুর-রুহিয়া এবং পাকিস্তান সময়ে ১৯৬৭ সালে রুহিয়া-পঞ্চগড় রেললাইনটি তৈরি হয়। আওয়ামীলীগ সরকার টানা ১৭ বছরের শাসনামলের সময় পঞ্চগড়-২ আসন থেকে টানা চারবার সংসদ নির্বাচিত হন জেলা আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন। রেলমন্ত্রী থাকাকালে ২০১৯ সালে স্টেশনটির নাম পরিবর্তন করে নতুন করে 'বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন’ রাখা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম ছিলেন রেলমন্ত্রীর বড় ভাই। তাই ভাইয়ের প্রতি সম্মান-শ্রদ্ধা জানাতে পঞ্চগড় রেলস্টেশন নাম পরিবর্তন করে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলস্টেশন নামকরণ করা হয়েছিল।

কিন্তু ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর স্টেশন নাম পরিবর্তনের দাবি ওঠে। এর ফলশ্রুতিতে সরকারি নীতিমালা ও নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত পূনর্বিবেচনা করা হয়। পরেে স্থানীয় জনগণের দাবি ও স্থানীয় ঐতিহ্য রক্ষার কথা ভেবে স্টেশনের নাম আবারও পূর্বের নামে পঞ্চগড় রেল স্টেশনে ফিরে আসে। 

বর্তমানে ঢাকা থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী এই রেলস্টেশন থেকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, দোলনচাঁপা, দ্রতযান, বাংলাবান্ধা ও একতা এক্সপ্রেস নিয়মিত চলাচল করছে।

রনি/মেহেদী/