ঢাকা ৪ ফাল্গুন ১৪৩১, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১

মানিকগঞ্জে পরিত্যক্ত ভবনে পাঠদান

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৪ এএম
মানিকগঞ্জে পরিত্যক্ত ভবনে পাঠদান
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার উভাজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

মানিকগঞ্জ জেলার ২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন এখন ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ। শ্রেণিকক্ষের সংকট ও ভবনের অবকাঠামোগত দুরবস্থার কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

প্রাথমিক শিক্ষার মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এদিকে জেলার পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবনগুলোর তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

বিদ্যালয়ের ভবনের পিলারে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে, স্তম্ভ থেকে বেরিয়ে এসেছে মরিচা ধরা রড। ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারাও খসে পড়ছে। কয়েক মাস আগে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও এখনো সেখানে ক্লাস চলছে। শ্রেণিকক্ষের সংকটের কারণে অনেক শিক্ষার্থীকে বাইরে বসে ক্লাস করতে হচ্ছে। এই চিত্র মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়নের বাঠইমুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

উপজেলার উভাজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্রও একই। শ্রেণিকক্ষসংকটে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুরোনো টিনশেড ঘরে কোনো রকমে ক্লাস নিচ্ছেন। তবে ঘরটির অবস্থাও ঝুঁকিপূর্ণ। এর ফলে শিশুরা প্রতিনিয়ত শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে। রয়েছে টয়লেটসংকটও।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলায় মোট ৬৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি উপজেলার ২৬টি বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ। তার মধ্যে ঘিওর উপজেলায় ১৬টি, সিংগাইর উপজেলায় চারটি, হরিরামপুর উপজেলায় দুটি, সাঁটুরিয়া উপজেলায় দুটি, শিবালয় ও দৌলতপুর উপজেলায় একটি করে বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ।

বাঠইমুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুগ্ধ জানায়, ‘আমাদের বিদ্যালয়ের ভবনের অবস্থা খুব খারাপ। একতলা ভবনের দুটি রুমে ক্লাস করা যায় না। ছাদ ফেটে গেছে। তাই আমরা বারান্দায় ক্লাস করি।’

একই বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী রত্না বলে, ‘আমাদের বিদ্যালয় ভাঙাচোরা। পড়াশোনা করতে খুব কষ্ট হয়। আমার আম্মাকে বলছি, আমাকে সুন্দর স্কুলে ভর্তি করতে।’

উভাজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শান্তা জানায়, তাদের বিদ্যালয়ের অনেক সমস্যা। ভবন ভাঙাচোরা। বৃষ্টির দিন পানি পড়ে, গরমের দিনে প্রচণ্ড গরম সহ্য করতে হয়। ক্লাস রুমে ফ্যান থাকলেও সেটি চালানো যায় না। তাছাড়া সব ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীর জন্য মাত্র একটি টয়লেট।

অভিভাবক আখি আক্তার বলেন, ‘আমার ছেলে উভাজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। স্কুলের যে অবস্থা, খুব ভয় হয়, কখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে। তাই প্রতিদিন আমি সঙ্গে করে নিয়ে আসি। শীতকালে কোন রকম পড়াশোনা হলেও গরম আর বৃষ্টির দিনে ওদের অনেক ক্লাস করতে কষ্ট হয়।’

একই বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীর মা রোকেয়া খাতুন বলেন, ‘মেয়ে প্রতিদিন বলে অন্য স্কুলে ভর্তি করতে। কিন্তু দূরে যাওয়া আমার জন্য কষ্টকর। তাই বাধ্য হয়ে এখানেই পড়াচ্ছি। প্রায় ৩০০ ছাত্র-ছাত্রীর জন্য মাত্র একটি টয়লেট।’

উভাজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ের টিনশেড ভবনটির অবস্থা খুবই নাজুক। দেয়াল ও মেঝে ভেঙে গেছে। এক কথায় এই ভবনটি সম্পূর্ণ ব্যবহারের অনুপযোগী। শ্রেণিকক্ষসংকটের কারণে বাধ্য হয়ে পুরোনো টিনশেডের ঘরেই শিশুদের কোনোরকমে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। টিনশেড এই ঘরের দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ও টিনের চালায় মরিচা পড়ে ফুটো হয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় গরম ও বৃষ্টির দিনে। বৃষ্টির দিনে চাল দিয়ে পানি পড়ে। আর গরমের দিনে ফ্যান চালানো সম্ভব হয় না, যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

বাঠইমুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নবনীতা সেন জানান, ‘আমাদের বিদ্যালয়ের অবস্থা খুবই খারাপ। এ জন্য আমরা শিশুদের সুন্দর পরিবেশ দিতে ব্যর্থ হচ্ছি। তাদের পরিপাটি শ্রেণিকক্ষে ক্লাস নিলে মানসিক যে বিকাশ ঘটে, সেটা এখন আর হচ্ছে না।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা আখতার খবরের কাগজকে বলেন, ‘জেলায় মোট ৬৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে যেসব বিদ্যালয়ের ভবন পরিত্যক্ত, ঝুঁকিপূর্ণ কিংবা শ্রেণিকক্ষসংকট আছে, তার তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার পর গুরুত্ব অনুসারে বিদ্যালয়গুলোতে আবার ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

রাঙামাটিতে পৃথক দুটি অগ্নিকাণ্ডে ৬ বসতঘর পুড়ে ছাই

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০১ পিএম
রাঙামাটিতে পৃথক দুটি অগ্নিকাণ্ডে ৬ বসতঘর পুড়ে ছাই
রাঙামাটিতে পৃথক দুটি অগ্নিকাণ্ডে ৬ বসতঘর পুড়ে ছাই। ছবি: খবরের কাগজ

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি ও নানিয়ারচরে পৃথক দুটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৬টি বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে, এতে প্রায় ৩২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাঘাইছড়ি উপজেলার বটতলী পশ্চিম পাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ৫টি বসতঘর পুড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন মো. লাবলু, নুর জামাল, রহমত আলী, আজগর ও মো. হোসেন।

ক্ষতিগ্রস্ত আজগর ও রহমত আলী জানান, হঠাৎ করেই আগুন লেগে যায়, মুহূর্তেই সব ছাই হয়ে গেছে। আনুমানিক ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন আমরা খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছি।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা আশিকুর রহমান বলেন, ‘একসঙ্গে পাঁচটি কাঁচা ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে, সবাই মিলে চেষ্টা করেও কিছুই বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এলাকায় ফায়ার সার্ভিস থাকলে এত বড় ক্ষতি হতো না।’

স্থানীয়দের ধারণা, বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে।

এদিকে একইদিন সকালে নানিয়ারচর উপজেলার বগাছড়ি কৈলাশচন্দ্র পাড়ায় মন্টু চাকমার (৩৮) বসতঘরে অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
পুলিশের ধারণা, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজির আলম বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে একটি বিস্ফোরিত গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আগুনের ঘটনায় কারও সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে আনুমানিক ২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

এই দুটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে। স্থানীয়রা দ্রুত পুনর্বাসনের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

জুয়েল/তাওফিক/ 

কুষ্টিয়া সীমান্তে অস্ত্রসহ যুবক আটক

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম
কুষ্টিয়া সীমান্তে অস্ত্রসহ যুবক আটক
ছবি: খবরের কাগজ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত এলাকা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও দুটি ম্যাগাজিনসহ নান্টু মিয়া (৩২) নামে এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার সীমান্তবর্তী চিলমারী ইউনিয়নের ক্লিকের মাঠ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চিলমারী বিওপির সদস্যরা তাকে আটক করে। আটক নান্টু উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বালিদিয়ার গ্রামের মৃত আদালত প্রামাণিকের ছেলে। এ ঘটনায় পলাতক রুহুল একই ইউনিয়নের মাঝদিয়া গ্রামের হাফিজের ছেলে।

বিজিবি ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব মুর্শেদ রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান, পিএসসির সার্বিক দিক নির্দেশনায় সোমবার দুপুরের দিকে দৌলতপুরের চরচিলমারী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ৮৪/১-এস হতে বাংলাদেশের আনুমানিক আড়াই কিলোমিটার অভ্যন্তরে ক্লিকের মাঠ নামক স্থানে বিশেষ টহল দল একটি মোটরসাইকেলকে থামার সংকেত দেয়। এ সময় বাইকের চালক একটি পিস্তল পার্শ্ববর্তী গম ক্ষেতে ছুড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিক টহল দল ঘটনাস্থল হতে মোটরসাইকেল চালক মো. নান্টু মিয়াকে আটক করে পিস্তল, গুলি ও ম্যাগাজিন জব্দ করে। 

এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে আটক নান্টুকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

মিলন উল্লাহ/নাইমুর/

ফেনীতে কাভার্ডভ্যান-পিকআপ সংঘর্ষ, নিহত ৫

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৯ পিএম
ফেনীতে কাভার্ডভ্যান-পিকআপ সংঘর্ষ, নিহত ৫
ছবি: সংগৃহীত

ফেনীতে কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে পিকআপভ্যানের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ মাইজবাড়িয়া হাফেজি মাদ্রাসা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

মহীপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

বিস্তারিত আসছে...

চালকের ঘুমে দুই ঘণ্টা দেরি, ক্ষুব্ধ যাত্রীদের বিক্ষোভে ছাড়ল ট্রেন

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪৩ পিএম
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪৫ পিএম
চালকের ঘুমে দুই ঘণ্টা দেরি, ক্ষুব্ধ যাত্রীদের বিক্ষোভে ছাড়ল ট্রেন
ছবি: সংগৃহীত

সিলেট রেলস্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল কালনী এক্সপ্রেসের। তবে অবিশ্বাস্য এক কারণে ট্রেনটি দুই ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে যায়, চালক ঘুমাচ্ছিলেন! কন্ট্রোল রুম থেকে যাত্রীদের জানানো হয়, চালক সকাল ১০টায় ঘুম থেকে উঠবেন, তারপর ট্রেন ছেড়ে যাবে। এই ঘোষণায় যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং ব্যাপক হট্টগোল শুরু করেন। যাত্রীদের চাপে শেষ পর্যন্ত সকাল সাড়ে ৮টায় ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

এর আগে, শনিবার রাতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার পারাইচক এলাকায় একটি তেলবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আট ঘণ্টা পর রেল চলাচল স্বাভাবিক হলেও শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। এরই মধ্যে চালকের দায়িত্বহীনতার কারণে কালনী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও চরমে ওঠে।

সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের ট্রেন ধরতে ভোর ৪টা থেকেই যাত্রীরা সিলেট স্টেশনে আসতে থাকেন। কিন্তু ট্রেন না ছাড়ায় কয়েকজন যাত্রী কন্ট্রোল রুমে গিয়ে কারণ জানতে চাইলে কর্তৃপক্ষ জানায়, চালক ঘুমাচ্ছেন এবং সকাল ১০টায় ঘুম থেকে উঠলে ট্রেন ছাড়বে। এই কথায় যাত্রীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে হট্টগোল শুরু করেন।

এ ঘটনায় এক যাত্রী আলীম উদ্দিন রানা, ফেসবুকে লাইভ সম্প্রচার করেন। লাইভে দেখা যায়, যাত্রীরা কন্ট্রোল রুমের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং তারা চালকের দেরির কারণ জানতে চাইছেন। এক পর্যায়ে কন্ট্রোল রুমের এক কর্মকর্তা যাত্রীদের গালিগালাজ করে রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেন এবং প্রাণনাশের হুমকিও দেন, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে।

কালনী এক্সপ্রেসের যাত্রী রনজিত সিংহ খবরের কাগজকে বলেন, ‘সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের ট্রেন ধরতে আমরা অনেক আগেই চলে এসেছি। কিন্তু যখন ৭টা বেজে গেল, তখন জানতে চাইলাম কেন ট্রেন ছাড়ছে না। তখন বলা হলো, চালক ঘুমে আছেন, ১০টায় উঠবেন! এতে যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা বিক্ষোভের পর অবশেষে সকাল সাড়ে ৮টায় ট্রেন ছাড়ে।’

এ বিষয়ে জানতে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক নুরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তাওফিক/ 

গোপালগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সাংবাদিক নিহত

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:০৩ পিএম
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:২২ পিএম
গোপালগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সাংবাদিক নিহত
দুর্ঘটনায় নিহত রফিকুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় রফিকুল ইসলাম (৩৫) নামে এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মুকসুদপুর উপজেলার ভাঙ্গাপোল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রফিকুল ইসলামের বাড়ী মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রাম। তিনি দৈনিক ৭১ বাংলাদেশ পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক মো. রকিবুজ্জামান জানান, মুকসুদপুর উপজেলার ভাঙ্গাপোল এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের ওপর পড়ে যায় মোটরসাইকেলটি। এতে ঘটনাস্থলেই সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মারা যান। পরে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

বাদল/তাওফিক/