ঢাকা ৪ ফাল্গুন ১৪৩১, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১

খুলনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে জনমনে শঙ্কা

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৯ এএম
খুলনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে জনমনে শঙ্কা
খুলনা

খুলনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই সংঘাত ও সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। গত চার মাসে ১০টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে জনমনে উদ্বেগ ও শঙ্কা ছড়াচ্ছে। 

এদিকে বুধবার (২২ জানুয়ারি) আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিতে উদ্বেগ জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে মহানগর ও জেলা বিএনপি। কেডি ঘোষ রোডে অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ের সামনে করা সমাবেশে নগরীর সব থানার ওসিকে অপসারণের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় তারা জেলা প্রশাসক ও মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তর ঘেরাওসহ খুলনা অচল কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন।

সমাবেশে বলা হয়, গত পাঁচ মাসে পুলিশ প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। একের পর এক খুন, জখম, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ-প্রবণতা বাড়লেও পুলিশ অপরাধীদের গ্রেপ্তার করছে না। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, খুলনার অলিগলিতে মাদকে সয়লাব হয়ে গেছে। কিন্তু পুলিশ এ অপরাধ দমনে কোনো ভূমিকা রাখছে না।

জানা যায়, সর্বশেষ ১৯ জানুয়ারি পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় চাকুর আঘাতে ২১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সহসভাপতি মানিক হাওলাদার নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয়রা কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও আসবাবপত্রে অগ্নিসংযোগ করে।

একই দিন নগরীর কমার্স কলেজের মধ্যে নওফেল নামে ছাত্রদল কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সজীব শিকদার নামে আরেক যুবক গুরুতর আহত হন। এ ছাড়া ১৮ জানুয়ারি মিস্ত্রিপাড়া রসুলবাগ মসজিদের সামনে ২৭ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীনকে হত্যার উদ্দেশ্যে কয়েকটি গুলি করা হয়। একটি গুলি কান দিয়ে বের হয়ে গেলেও ডান বুকে বিদ্ধ হওয়া গুলিটি চিকিৎসক বের করতে পারেননি। বর্তমানে তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গত ৩ নভেম্বর রাতে মাদক বেচাকেনায় আধিপত্য বিস্তার দ্বন্দ্বে রাসেল নামের যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়। ৩০ নভেম্বর রাতে সন্ত্রাসীরা ৩০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্যসচিব আমিন হোসেনকে কুপিয়ে জখম করে। ৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তার মৃত্যু হয়। ১৩ ডিসেম্বর রাতে পূর্ব বানিয়াখামার এলাকায় আকাশ নামের একজনকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। একটি গুলি তার কোমরে বিদ্ধ হয়। 

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, ‘সমাজে অস্থিরতা বাড়া, মাদকের প্রভাব ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সহিংসতা বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ও জনসচেতনতা তৈরি করতে বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করা হচ্ছে। এর মধ্যে কয়েকজন শীর্ষ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 

চালকের ঘুমে দুই ঘণ্টা দেরি, ক্ষুব্ধ যাত্রীদের বিক্ষোভে ছাড়ল ট্রেন

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪৩ পিএম
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪৫ পিএম
চালকের ঘুমে দুই ঘণ্টা দেরি, ক্ষুব্ধ যাত্রীদের বিক্ষোভে ছাড়ল ট্রেন
ছবি: সংগৃহীত

সিলেট রেলস্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল কালনী এক্সপ্রেসের। তবে অবিশ্বাস্য এক কারণে ট্রেনটি দুই ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে যায়, চালক ঘুমাচ্ছিলেন! কন্ট্রোল রুম থেকে যাত্রীদের জানানো হয়, চালক সকাল ১০টায় ঘুম থেকে উঠবেন, তারপর ট্রেন ছেড়ে যাবে। এই ঘোষণায় যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং ব্যাপক হট্টগোল শুরু করেন। যাত্রীদের চাপে শেষ পর্যন্ত সকাল সাড়ে ৮টায় ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

এর আগে, শনিবার রাতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার পারাইচক এলাকায় একটি তেলবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আট ঘণ্টা পর রেল চলাচল স্বাভাবিক হলেও শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। এরই মধ্যে চালকের দায়িত্বহীনতার কারণে কালনী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও চরমে ওঠে।

সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের ট্রেন ধরতে ভোর ৪টা থেকেই যাত্রীরা সিলেট স্টেশনে আসতে থাকেন। কিন্তু ট্রেন না ছাড়ায় কয়েকজন যাত্রী কন্ট্রোল রুমে গিয়ে কারণ জানতে চাইলে কর্তৃপক্ষ জানায়, চালক ঘুমাচ্ছেন এবং সকাল ১০টায় ঘুম থেকে উঠলে ট্রেন ছাড়বে। এই কথায় যাত্রীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে হট্টগোল শুরু করেন।

এ ঘটনায় এক যাত্রী আলীম উদ্দিন রানা, ফেসবুকে লাইভ সম্প্রচার করেন। লাইভে দেখা যায়, যাত্রীরা কন্ট্রোল রুমের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং তারা চালকের দেরির কারণ জানতে চাইছেন। এক পর্যায়ে কন্ট্রোল রুমের এক কর্মকর্তা যাত্রীদের গালিগালাজ করে রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেন এবং প্রাণনাশের হুমকিও দেন, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে।

কালনী এক্সপ্রেসের যাত্রী রনজিত সিংহ খবরের কাগজকে বলেন, ‘সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের ট্রেন ধরতে আমরা অনেক আগেই চলে এসেছি। কিন্তু যখন ৭টা বেজে গেল, তখন জানতে চাইলাম কেন ট্রেন ছাড়ছে না। তখন বলা হলো, চালক ঘুমে আছেন, ১০টায় উঠবেন! এতে যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা বিক্ষোভের পর অবশেষে সকাল সাড়ে ৮টায় ট্রেন ছাড়ে।’

এ বিষয়ে জানতে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক নুরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তাওফিক/ 

গোপালগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সাংবাদিক নিহত

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:০৩ পিএম
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:২২ পিএম
গোপালগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সাংবাদিক নিহত
দুর্ঘটনায় নিহত রফিকুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় রফিকুল ইসলাম (৩৫) নামে এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মুকসুদপুর উপজেলার ভাঙ্গাপোল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রফিকুল ইসলামের বাড়ী মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রাম। তিনি দৈনিক ৭১ বাংলাদেশ পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক মো. রকিবুজ্জামান জানান, মুকসুদপুর উপজেলার ভাঙ্গাপোল এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের ওপর পড়ে যায় মোটরসাইকেলটি। এতে ঘটনাস্থলেই সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মারা যান। পরে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

বাদল/তাওফিক/ 

ত্রিমুখী সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন পিকআপচালক

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০০ পিএম
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৪ পিএম
ত্রিমুখী সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন পিকআপচালক
ত্রিমুখী সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন পিকআপ চালক। ছবি: খবরে কাগজ

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গড়মাটি এলাকায় বনপাড়া-কুষ্টিয়া মহাসড়কে তিনটি যানবাহনের সংঘর্ষে এক পিকআপচালকের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত চালক আকাশ প্রামাণিক নাহিদ (৩৪) নওগাঁ সদর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম শাহীন হোসেন।

পুলিশ জানায়, বেনাপোল থেকে নওগাঁগামী আঙ্গুরবোঝাই একটি পিকআপের সামনে ছিল সারবোঝাই ট্রাক আর পেছনে ছিল চিটাগুড়বোঝাই লরি। হঠাৎ সামনের ট্রাকের গতি কমে গেলে পিকআপটি সতর্কভাবে ব্রেক কষে নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু পেছন থেকে আসা লরিটি ধাক্কা দিলে পিকআপটি সামনের ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান পিকআপচালক।

বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। দুর্ঘটনাকবলিত তিনটি যানবাহন জব্দ করাসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।

কামাল/তাওফিক/ 

বান্দরবানে পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা!

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৯ পিএম
বান্দরবানে পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা!
রুম্পা দাশ। ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানে রুম্পা দাশ (৩০) নামে এক পুলিশ কনস্টেবল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অ‌ভিযোগ পাওয়া গেছে।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে শহরের বনরূপা পাড়া এলাকার এক‌টি বাসায় তিনি আত্মহত্যা করেন বলে জানা গেছে।

নিহত রুম্পা দাশ বান্দরবান সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। তার স্বামী সৌরভ দাশও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। রুম্পার বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ধর্মপুরে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, স্বামীসহ দুই শিশুকে নিয়ে শহরের বনরূপা পাড়া এলাকার ভাড়ায় থাকতেন রুম্পা-সৌরভ দম্পতি। প্রতিদিনের মতো রবিবার রাতের খাবার খেয়ে সৌরভ দাশ সন্তানদের নিয়ে এক রুমে ও রুম্পা দাশ আলাদা রুম ঘুমায়। পরে দুই শিশু বাচ্চাসহ স্বামী ঘুমিয়ে পড়লে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন রুম্পা।

সোমবার সকালে স্বামী ঘুম থেকে উঠে ডাকাডাকি করলেও দরজা না খোলায় দরজার ফাঁক দিয়ে রুম্পার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় সৌরভ।

পারিবারিক কলহের জেরে এই আত্মহত্যা হতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

পরে সকালে পু‌লিশ রুম্পা দাশের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, গলায় ফাঁস দিয়ে রুম্পা দাশ আত্মহত্যা করেছেন। তিনি বান্দরবান সদর থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছেন তা এখনো জানা যায়নি।

রিজভী/অমিয়/

মৌলভীবাজারে বাবার হাতে ৭ বছরের শিশু খুন

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৮ পিএম
মৌলভীবাজারে বাবার হাতে ৭ বছরের শিশু খুন
মৌলভীবাজারে বাবার হাতে ৭ বছরের শিশু খুন। ছবি: খবরের কাগজ

মৌলভীবাজারে বাবার হাতে মাহিদ নামে সাত বছর বয়সী এক শিশু নির্মমভাবে খুন হয়েছে। ঘটনার পর শিশুর বাবা খোকন মিয়া ও দাদি নিজ ঘরে মরদেহ রেখে পালিয়ে যান। পরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ খোকনকে আটক করে।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের জগন্নাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খোকন মিয়া চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। এলাকায় দীর্ঘদিন মাদক ব্যাবসা করে আসছেন। রবিবার বিকেলে খোকনের দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভে জন্ম নেওয়া শিশু মাহিদ বিছানায় মলত্যাগ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরের বাইরে এনে ব্যাপকভাবে পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে শিশু মাহিদ সেখান থেকে পালিয়ে প্রতিবেশি যবেদা খাতুনের ঘরে আশ্রয় নিলে সেখান থেকে ধরে এনে আবারও মারতে থাকে খোকন। এ সময় শিশুটির অবস্থা সংকটাপন্ন দেখলে খোকন তাকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে দায়িত্বরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা আরও জানান, হাসপাতালে মৃত্যুও কারণ নিয়ে চতুরতার আশ্রয় নেন খোকন। গাছ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। মরদেহ বাড়ি নেওয়ার কথা বলে সে পালিয়ে যায়। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার জেলগেট এলাকা থেকে পুলিশ খোকনকে আটক করে।

মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মাহবুবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় সদর উপজেলার জেলগেট এলাকা থেকে শিশুর বাবা খোকন মিয়াকে আটক করা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানা নিয়ে আসা হয়েছে।

পুলক/তাওফিক/