ঢাকা ২৭ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১

উদ্বোধনের অপেক্ষায় খাদ্যশস্য সংরক্ষণাগার

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৮ এএম
উদ্বোধনের অপেক্ষায় খাদ্যশস্য সংরক্ষণাগার
ক্যাপশন: বরিশালে নির্মাণ করা হয়েছে খাদ্যশস্য সংরক্ষণাগার (সাইলো)। খবরের কাগজ

বরিশালে ৪৮ হাজার টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন দ্বিতীয় বৃহত্তর দীর্ঘমেয়াদি খাদ্যশস্য সংরক্ষণাগার (সাইলো) উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা এবং বিজ্ঞানসম্মত সংরক্ষণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রায় ৩৬২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে আধুনিক সাইলোটি নগরীর ৩০ গোডাউন এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে। পুষ্টিগুণ অটুট রেখে সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত সাইলোতে চাল সংরক্ষণ করা যাবে। খাদ্যসংকট মোকাবিলা ও দক্ষিণাঞ্চলের খাদ্য সংরক্ষণে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব। চট্টগ্রামের পরে এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর দীর্ঘমেয়াদি আধুনিক খাদ্যশস্য সংরক্ষণাগার হিসেবে পরিচিত হবে। চলতি মাসের ১৩ তারিখ খাদ্য উপদেষ্টাসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সাইলোটি পরিদর্শন করেছেন। 

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাসুদুল হাসান বলেন, বিভাগের ছয় জেলায় বর্তমানে ৪৬টি এলএসডি গোডাউনের মাধ্যমে প্রায় এক লাখ টন খাদ্য মজুতের ব্যবস্থা রয়েছে। ৪৮ হাজার টন ধারণক্ষমতার অত্যাধুনিক খাদ্য মজুত সিস্টেম হিসেবে স্টিল সাইলো হবে বাড়তি শক্তি। খরা, ঝড়, বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের পর ফসল ওঠা পর্যন্ত এই সাইলোর মাধ্যমে খাদ্যসহায়তা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।

সাইলো নির্মাণ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২১ সালের জুনে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে ‘মডার্ন ফুড স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিজ প্রজেক্ট’-এর আওতায় সাইলো নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ২০২১ সালে ত্রিশ গোডাউন এলাকায় আমর্ড ব্যাটালিয়ানের দক্ষিণ পাশে ৫২০ শতাংশ জমিতে সাইলো নির্মাণকাজ শুরু হয়। ওই জমির ওপরে থাকা একটি পুকুর ভরাট করা হয়। পুকুর রক্ষায় তখন নগরীর সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মীরা প্রতিবাদ জানালে সাইলো নির্মাণ প্রকল্পটি স্থগিত করা হয়। পরে ২০২২ সালের জুনে ৩০ গোডাউন অভ্যন্তরের পশ্চিমাংশে সাইলো নির্মাণকাজ শুরু হয়। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে জয়েন্ট ভেঞ্চার অব কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড বাংলাদেশ এবং দি জিএসআই গ্রুপ এলএলসি, ইউএসএ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

প্রকল্প প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘স্টিল রাইস সাইলোতে স্বয়ংক্রিয় তাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের মাধ্যমে আর্দ্রতা এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এতে দুই বছর পর্যন্ত চালের পুষ্টিগুণ অটুট রেখে সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। সংরক্ষিত চাল প্যাকেটজাত ও বস্তাবন্দি করতে ঘণ্টায় ৫০০ টন স্পিডের বেল্ট কনভেয়িং এবং চেইন কনভেয়িং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নদী ও সড়কপথে আসা চাল জেটি থেকে কনভেয়ার বেল্টের মাধ্যমে অটোমেশনে সংরক্ষণাগারে মজুত করা হবে। অত্যাধুনিক ব্যাগে প্যাকেট করে খাদ্য প্রস্তুতসহ খাদ্যসংকট মোকাবিলায় এই সাইলো ভূমিকা রাখবে।’

কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক তনুশ্রী রঞ্জন দাস বলেন, ‘সাইলোর ১৬টি বিন, বধ্যভূমি-সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর তীর থেকে সাইলো পর্যন্ত জেটি, টপ সাইলো স্টিল ব্রিজ, টপ সাইলো স্টিল কলাম, অবকাঠামো ও ট্রাক স্কেল ল্যাব ওয়েট নির্মাণ এবং আধুনিক সব যন্ত্রপাতির স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। তিনি জানান, ইতোমধ্যে পরীক্ষার জন্য সাইলোতে প্রায় দেড় শ টন চাল রাখা হয়েছে। প্রবেশদ্বারের কিছু কাজ বাকি রয়েছে। এটি তিন-চার দিনের মধ্যে শেষ হবে। চলতি মাসের মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাইলোটি খাদ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করবে, আশা করা হচ্ছে।’

আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মামুনুর রসিদ বলেন, ‘বরিশাল অঞ্চলে ব্যাপক ধানের উৎপাদন হয়। তবে এই অঞ্চলে রাইস মিলের অভাব রয়েছে। সাইলো চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বরিশাল নগরীসহ বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় নতুন রাইস মিল গড়ে উঠবে। এতে কয়েক হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।’ 

তিনি আরও জানান, এই সংরক্ষণাগারে (সাইলো) কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই পুষ্টিমান বজায় রেখে দুই থেকে তিন বছর চাল মজুত করা সম্ভব হবে। বরিশালসহ দক্ষিণ উপকূলে প্রতিবছর ধানের উৎপাদন ইতিবাচক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমন, আউশ ও বোরো মিলিয়ে তিন মৌসুমে প্রায় ৪০ লাখ টন ধান উৎপাদন হয়। তবে আধুনিক সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় এসব ধান উত্তরের জেলাগুলোর দিকে চলে যায়। সেগুলো চাল হয়ে আবার দক্ষিণের জেলাগুলোর দিকে ফিরে আসে। এর ফলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য চালের দাম বেশি হয়ে থাকে। এ ছাড়া ঝড়, জলোচ্ছ্বাসসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দক্ষিণ উপকূলে খাদ্য মজুতের বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিবছর গুদামে বিপুল পরিমাণ চাল পচে যায়। আধুনিক এই খাদ্য সংরক্ষণাগারটি নির্মিত হওয়ায় এসব সমস্যার সমাধান হবে।

মঞ্চ ভাঙচুর তিন-চার মিনিটে তামিম মুশফিকদের বিদায়

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৫ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১৬ পিএম
তিন-চার মিনিটে তামিম মুশফিকদের বিদায়
মঞ্চ ভাঙচুর করে দর্শকরা। ছবি: খবরের কাগজ

মঞ্চে ছিলেন তামিম-মুশফিকরা। কিন্তু কেউ কোনো বক্তব্য রাখলেন না। কোনো সেলফি তোলার সুযোগও পেলেন না দর্শকরা। খেলোয়াড়রা শুধু হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্রফি উঁচিয়ে দেখালেন, তারপর বিদায়! মুহূর্তেই উচ্ছ্বাস বদলে গেল হতাশায়। কষ্ট করে অপেক্ষা করা দর্শকদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়ে এবং সেই হতাশাই রূপ নেয় ক্ষোভে। ক্ষোভ থেকে শুরু হয় চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি। পরে মঞ্চ ভাঙচুর করে।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বরিশালে বিপিএল চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল দলের সংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা ঘটে। এ সময়ে গণমাধ্যমকর্মীসহ অর্ধশত আহত হন। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফরচুন বরিশাল দলের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উপভোগ করতে এবং প্রিয় খেলোয়াড়দের কাছ থেকে দেখতে দুপুর ১টা থেকেই বরিশালের ঐতিহ্যবাহী বেলস পার্ক জনসমুদ্রে পরিণত হয়। তীব্র রোদ উপেক্ষা করে ক্রিকেটপ্রেমীরা ভিড় জমাতে থাকেন। কিন্তু মঞ্চে উঠে হাত নেড়ে আর ট্রফি দেখিয়ে খেলোয়াড়রা মাত্র তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যে বিদায় নেন। এরপরই দর্শকরা চেয়ার ছুঁড়তে শুরু করেন। চলে ভাঙচুর।

মো. রাসেল হোসেন খবরের কাগজকে বলেন, ‘অনুষ্ঠানটি পুরোপুরি উপভোগের জন্য ঝালকাঠী থেকে এসেছি। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শান্তকে কাছ থেকে দেখার জন্য। কিন্তু আয়োজকরা প্রতিশ্রুতি বজায় রাখেননি। প্রিয় খেলোয়াড়রা মঞ্চে খুবই অল্প সময় অবস্থান করেছেন। এতে দর্শকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পরে তারা মঞ্চ ভাঙচুর করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আয়োজকদের গাফিলতির কারণে এমনটি ঘটেছে।’ তবে এ বিষয়ে ফরচুন কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অপারেশন ডেভিল হান্টে কুমিল্লায় গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৬ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৭ পিএম
অপারেশন ডেভিল হান্টে কুমিল্লায় গ্রেপ্তার ৩
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

অপারেশন ডেভিল হান্টে কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের তিন কর্মী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে কুমিল্লার মুরাদনগর, সদর দক্ষিণ ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে যৌথবাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করে।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- মুরাদনগর উপজেলার ৫ নং পূর্বধইর (পশ্চিম) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক জীবন মিয়া (৪৫), দাউদকান্দি উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের যুবলীগের সদস্য আলাউদ্দিন অজি (৪৮) এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সদর দক্ষিণ উপজেলার একটি ইউনিয়নের সদস্য ফয়সাল তানভীর তামিম (১৭)।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সাল তানভীর তামিমকে শিশু আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতা জীবন মিয়ার বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। আর যুবলীগ কর্মী আলাউদ্দিন অজি ৫ আগস্ট উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে গুলি করে বাবু নামের একজনকে হত্যার মামলায় এজাহারনামীয় আসামি।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম বলেন, নিয়মিত অভিযানের সঙ্গে অপারেশন ডেভিল হান্টের যৌথ অভিযান ছিল। ওই অভিযানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পূর্বে তাদের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যা মামলাসহ থানায় বিভিন্ন মামলা রয়েছে।

জহির শান্ত/মাহফুজ

নাটোর জেলা বিএনপির সকল ইউনিট বিলুপ্ত

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩২ পিএম
নাটোর জেলা বিএনপির সকল ইউনিট বিলুপ্ত
ছবি: খবরের কাগজ

নাটোর জেলা বিএনপির সকল উপজেলা, পৌর,ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি কমিটি  বিলুপ্ত করা হয়েছে। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ।

রহিম নেওয়াজ জানান, রবিবার সকালে ঢাকা নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয়ে নাটোর জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির মতবিনিময় ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভা সঞ্চালনা করেন সদস্য সচীব আসাদুজ্জামান। ওই সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজশাহী বিভাগীয় উপদেষ্টা কাউন্সিল সমন্বয়ক আব্দুস সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহীন শওকত ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম।

সভায় আলোচনা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে নাটোর জেলার সকল উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়। তিনি আরও জানান, শীঘ্রই নতুনভাবে সকল ইউনিট কমিটি গঠিত হবে।

কামাল মৃধা/মাহফুজ

 

তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নে ভারতের সঙ্গে মাথা উঁচু করে কথা বলবে সরকার: আসিফ মাহমুদ

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৬ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৭ পিএম
তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নে ভারতের সঙ্গে মাথা উঁচু করে কথা বলবে সরকার: আসিফ মাহমুদ
রংপুরে ‘তিস্তা নদী নিয়ে করণীয় শীর্ষক’ গণশুনানিতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: খবরের কাগজ

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, আন্তর্জাতিক পানি আইনের ভিত্তিতে কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হবে, যাতে ভারত বাধ্য হয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে। ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশ তিস্তার পানি ন্যায্য হিস্যা আদায়ের জন্য একটি খসড়া নিয়ে ঘুরছে। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার ভারতকে শুধু ছবি তোলার সুযোগ দিয়েছে, কিন্তু তিস্তার ব্যাপারে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে শিরদাঁড়া উচ্চ করে দাঁড়িয়েছে। তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নে এবং পানির হিস্যা আদায়ের ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে মাথা উচ্চ করে কথা বলবে বাংলাদেশ।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তা রেল সেতু এলাকায় ‘তিস্তা নদী নিয়ে করণীয় শীর্ষক’ গণশুনানিতে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, পতিত হাসিনা সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে তারা ভারতের কাছে কিছুই আদায় করতে পারেনি। এসময় উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া এবং কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া তিস্তা নদী নিয়ে স্থানীয় জনগণের উদ্বেগ ও চাহিদা শোনা যায়, যেখানে তারা বর্তমান সরকারের আমলে এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানান। 

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এছাড়াও রংপুর বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম তারিকুল ইসলাম, নদী গবেষক নজরুল ইসলাম হক্কানী, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আতিক মুজাহিদসহ অন্যান্য নেতারা গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।

সেলিম সরকার/মাহফুজ

নওগাঁয় শহিদ জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৬ পিএম
নওগাঁয় শহিদ জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁয় শহিদ জিয়াউর রহমান আন্ত:উপজেলা ফুটবল-২৫ টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঐতিহাসিক মঙ্গলবাড়ী ফুটবল মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ-২ আসনে বিএনপির এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মো. খাজা নাজিবুল্লাহ্ চৌধুরী।

উদ্বোধনী খেলায় অংশ নেয় জয়পুরহাট উপজেলা বনাম পাঁচবিবি উপজেলা। ৪-৩ গোলে জয়লাভ করে জয়পুরহাট উপজেলা।

খেলার আয়োজন করে মঙ্গলবাড়ী নওগাঁর ধামইরহাট সবুজ সংঘ ও পাঠাগার। খেলা পরিচালনা করে জাহানপুর ইউনিয়ন ছাত্রদল। 

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ধামইরহাট থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার কায়সার বুলবুল, নওগাঁ জেলা কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তুষার হোসেন ফিরোজ, ধামইরহাট উপজেলা মহিলা দলের সহ-সভানেত্রী মৌসুমী চৌধুরী প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/