
এক মাস তিন দিন বন্ধ থাকার পর ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে কড়ইতলী ও গোবরাকুড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় কয়লা এসেছে। এতে আবারও স্থলবন্দরে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে দুই স্থলবন্দর দিয়ে ১৮টি ট্রাকে ২১৬ টন ভারতীয় কয়লা আসে। এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ৯০ ট্রাকে ১ হাজার ৮০ টন কয়লা দেওয়ার পর হঠাৎ কয়লা রপ্তানি বন্ধ রাখে ভারতীয়রা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কড়ইতলী-গোবরাকুড়া আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক অশোক সরকার অপু।
তিনি বলেন, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বড়দিন ও নতুন বছরে কয়েক দিন ছুটির কথা বলে আমাদেরকে কয়লা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। আমরা নিয়মিত যোগাযোগ করেও কয়লা পাইনি। সম্প্রতি ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বলেছেন, শনিবার থেকে নিয়মিত কয়লা রপ্তানি করবেন। সে অনুযায়ী আজকে মাত্র ২১৬ টন কয়লা পেয়েছি। স্থলবন্দরে কয়লার সংকট থাকলে শ্রমিকদের অলস সময় কাটাতে হয়। পুরাতন কয়লা থাকলে ক্রেতারা নিতে চায় না। নতুন আমদানি করা কয়লা না পেলে ক্রেতা আসেন না। ফলে ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হন।
তিনি আরও বলেন, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খনি থেকে আমাদেরকে কয়লা দেওয়া হয়। আমাদের দুই স্থলবন্দর থেকে মেঘালয় খুব কাছে। ভারতীয়দের আমরা দাম কিছুটা কমানোর জন্য বারবার বললেও দাম কমানো হয় না। এমনিতেই ভারত কয়লা রপ্তানি যেকোনো সময় বন্ধ করে দেয়। তাই বাধ্য হয়ে বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ সরকার কয়লা আমদানিতে ট্যাক্স, ভ্যাট কমিয়ে দিলে ক্রেতারা কম দামে কয়লা কিনতে পারবে।
ভারত থেকে প্রতিদিন ৫০ ট্রাকে ৬০০ টন কয়লা রপ্তানি করার কথা। সপ্তাহে চার দিনও কয়লা এলে অন্তত ১৬ হাজার ৮০০ টন কয়লা আমদানি হতো। এতে স্থলবন্দরে ব্যবসা জমজমাট হতো।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কড়ইতলী-গোবরাকুড়া বন্দরের সহকারী পরিচালক পার্থ ঘোষ বলেন, মাত্র ১৮টি ট্রাকে কয়লা আসার মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি আবারও শুরু হয়েছে। আমরাও চাই ভারতীয়রা নিয়মিত কয়লা রপ্তানি করুক। কারণ, কয়লা রপ্তানি বন্ধ হলে স্থলবন্দরে স্থবিরতা দেখা দেয়।
গত বছরের এপ্রিলে ভারত থেকে মাত্র ৯৬৪ টন কয়লা আমদানি হয়। এর পর আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। ৪ ডিসেম্বর দুই স্থলবন্দর দিয়ে ৮ ট্রাকে ৯৬ টন কয়লা বাংলাদেশে প্রবেশের মধ্য দিয়ে আবারও কার্যক্রম শুরু হয়। সে সময় থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯০ ট্রাক কয়লা বাংলাদেশে আসে।
কামরুজ্জামান মিন্টু/মেহেদী/