
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে তিন সাঁওতাল হত্যার বিচার গত দশ বছরেও হয়নি। বাস্তবায়িত হয়নি কোনো আশার বাণী। নির্যাতনের শিকার আদিবাসী সাঁওতালরা বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ ছাড়া ভূমিদস্যুরা নতুন করে সাঁওতালদের বাড়িতে আক্রমণ করছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (গানাসাস) সামনে অনুষ্ঠিত এ প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা জানান। এ ছাড়া সাঁওতাল পল্লিতে সশস্ত্র হামলা, নিপীড়ন, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত সাবেক এমপি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
বক্তারা আরও বলেন, শ্যামল, মঙ্গল ও রমেশ হত্যাকাণ্ড ঘটনার পর থমাস হেমব্রম বাদী হয়ে স্থানীয় তৎকালীন সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদসহ ৩৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। কিন্তু বিচার হওয়া তো দূরের কথা মামলার আসামি আওয়ামী লীগের দলীয় সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বুলবুল আকন্দসহ অন্য মূল আসামিদের কেউই গ্রেপ্তার হননি।
বক্তারা আরও বলেন, সম্প্রতি রাজাহার ইউনিয়নের রাজাবিরাট এলাকায় আদিবাসী সাঁওতাল পল্লির ব্রিটিশ সরেনের বাড়িতে ভূমিদস্যু রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। তারা ব্রিটিশ সরেনের বৃদ্ধ মাকে মারপিট করে গুরুতর আহত করেন। কিন্তু ‘রফিকুল চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার হলেও অন্য দুর্বৃত্তরা এখনো গ্রেপ্তার হননি। অবিলম্বে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান বক্তারা।
আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কে, পরিবেশ আন্দোলনের নেতা ওয়াজিউর রহমান রাফেল, বিশিষ্ট আইনজীবী মোহাম্মদ আলী প্রামাণিক প্রমুখ।