
বরগুনায় ১৬ বছর ধরে ভাড়া বাকি থাকা সেই জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে ছাত্র-জনতা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় বরগুনা শহরের ফার্মেসিপট্টিতে অবস্থিত ওই কার্যালয়টিতে ভাঙচুর করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিক্ষুব্ধ ছাত্র ও জনতা তালাবদ্ধ জেলা আওয়ামী লীগের ওই কার্যালয়টিতে লাঠি ও হাতুড়ি দিয়ে ভাঙচুর চালান। এ সময় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগানও দিতে থাকেন।
এ বিষয় বরগুনার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের মধ্যে মুঈদ হাসান নিলয় বলেন, এটি ছিল আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের আঁতুড়ঘর। ক্ষমতায় থাকা অস্থায় এখান থেকে জেলাভিত্তিক নির্দেশনা দেওয়া হতো কার কার বাসায় হামলা হবে এবং কাকে কাকে গুম করা হবে। তাই মুজিববাদ ও ফ্যাসিবাদকে কবর দেওয়ার জন্য এ মুখ্য ঘরগুলোকে আগে ধ্বংস করা হচ্ছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা যেভাবে নেমেছিল, আজও ঠিক একইভাবে একত্রিত হয়ে সবাই নেমে এসেছে।
ববরগুনা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আরেক নেতা মীর রিজন মাহমুদ নিলয় বলেন, '৫ আগস্টের আগে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ এবং তাদের দোসররা ছাত্রদের নির্বিচারে হত্যা করেছে। এখনো তাদের বিচার হয়নি, তার পরও তারা আবারও রাজনৈতিক কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। আমরা এর প্রতিবাদেই মুজিববাদের কবর রচনা করব। সব জায়গা থেকে শেখ মুজিব ও হাসিনাকে বয়কট করা হবে এবং মুজিববাদের কোনো কিছু আর বাংলার মাটিতে রাখা হবে না।'
বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের ওই কার্যালয়টি ভাড়ার চুক্তিতে ৫৫২ স্কয়ার ফিট আয়তনের সরকারি জমি বরাদ্দ নিয়ে একটি টিনের ঘর নির্মাণ করা হয় এবং ২০০৯ সালের পর থেকে কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা ওই ঘরের কোনো ভাড়া পরিশোধ করেনি বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এতে দীর্ঘ ১৬ বছরের ভাড়া বকেয়া থাকায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলা প্রশাসন ভাড়া আদায়ের জন্য একটি নোটিশ দিয়ে ঘরটিকে তালাবদ্ধ করে দেয়।
মহিউদ্দিন অপু/জোবাইদা/