ঢাকা ১ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
English

সুনামগঞ্জে বিভিন্ন জায়গায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৫ এএম
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১৬ এএম
সুনামগঞ্জে বিভিন্ন জায়গায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর
ছবি: খবরের কাগজ

সুনামগঞ্জে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করেছে ছাত্র-জনতা।

গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে পৌর শহরের চারটি প্রতিষ্ঠানে এসব ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থী ও জনতা পৌর শহরের ঐতিহ্যবাহী জাদুঘর প্রাঙ্গণে আসেন। পরে বড় হাতুড়ি দিয়ে সেখানে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করেন।

এ সময় তারা ‘দিল্লি না ঢাকা?’ স্লোগান দেন। তারা সংখ্যায় ২০-২৫ জন ছিলেন। এর মধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরাই বেশি ছিলেন। এরপর তারা পাশের পৌর ভবন চত্বরে প্রবেশ করেন। সেখানে থাকা আরেকটি ম্যুরালে একইভাবে ভাঙচুর চালান। পরে জেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও জেলা পরিষদ চত্বরে বুলডোজার দিয়ে আরও দুটি ম্যুরাল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর গভীর রাতে পৌর শহরের ডংকাশাহের মাজার ভেঙে দেন তারা।

জেলার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমন দোজা জানান, ঢাকার কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ছিল ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাড়ি ভাঙার। এরই অংশ হিসেবে সুনামগঞ্জে ম্যুরাল ভাঙা হয়। শেখ হাসিনা ভারতে বসে ছাত্র-জনতার উদ্দেশে তামাশা করে বক্তব্য দিয়েছেন। তাকে বাংলার মানুষ কতটা ঘৃণা করে, সেটা দেশের ছাত্রসমাজ দেখাতে চায়। স্বৈরাচারের কোনো চিহ্ন এ দেশে রাখা হবে না। তাদের সব ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া হবে।

সুনামগঞ্জ জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতা ত্বোহা হোসাইন বলেন, ‘ইসলাম মূর্তি পূজার বিরুদ্ধে। এ কারণে স্বৈরশাসক চলে যাওয়ার পরও শেখ মুজিবুরের ম্যুরাল কালো কাপড়ে ঢেকে রাখা হয়। স্বৈরাচারের কোনো চিহ্ন আর রাখা হবে না। আর মূর্তি রাখার তো প্রশ্নই ওঠে না। তাই বুলডোজার দিয়ে সব গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনার পর জেলা শহরের বিভিন্ন জায়গায় দেয়ালে আঁকা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিগুলো কালো ও সাদা রং দিয়ে মুছে দেওয়া হয়। পরে সেগুলো কালোকাপড়ে ঢেকে রাখা হয়। বুধবার রাতে ছাত্র-জনতা বুলডোজার দিয়ে শহরের ৪টি ম্যুরালে ভাঙচুর চালায়।

দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে বেনাপোলে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৩০ পিএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম
দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে বেনাপোলে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ছবি : খবরের কাগজ

ভারতে দোলযাত্রা বা দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে সরকারি ছুটির কারণে আজ বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। তবে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দু-দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীর যাতায়াত অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে।
 
শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আগমীকাল রবিবার (১৬ মার্চ) সকাল থেকে পুনরায় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানির স্বাভাবিক কার্যক্রম চলবে।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আলহাজ মহসিন মিলন জানান, ভারতীয় পেট্রাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন থেকে পত্র দিয়ে জানিয়েছে, ভারতে দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় আজ আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। রবিবার পুনরায় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে।

ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, দোলযাত্রা বা দোল পূর্ণিমা উৎসবটি ‘হোলি’ নামে পরিচিত। অশুভ শক্তির বিনাশ হিসেবে ‘হোলি উৎসব’ হয়ে থাকে। এই উৎসবের কারণে আমদানি-রপ্তানিসংক্রান্ত কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত সিঅ্যান্ডএফ মালিক, কর্মচারী, হ্যান্ডলিং শ্রমিক, ট্রাকচালকরা নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যান। ফলে আজ এ বন্দর দিয়ে কোনো আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম হবে না।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া ও বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নজরুল ইসলাম/জোবাইদা/

পিরোজপুরে পাওনা টাকা না পেয়ে ছেলেকে অপহরণ

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:১৩ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:২৯ এএম
পিরোজপুরে পাওনা টাকা না পেয়ে ছেলেকে অপহরণ
পিরোজপুর

পিরোজপুরের সদর উপজেলা শারিকতলা গ্রামের পূর্ব হরিণা গাজীপুর এলাকায় বাবার কাছে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ছেলেকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহৃত ফয়সাল হাওলাদার ওই এলাকার মিজান হাওলাদারের ছেলে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে হরিণা স্লুইসগেট এলাকার সামনে থেকে আলিমসহ ৩/৪ জন ফয়সালকে ধরে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়।

অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সোবাহান।

জানা যায়, দক্ষিণ গাজীপুর এলাকার বাসিন্দা আলিম খান ফয়সালের বাবা মিজান হাওলাদারের কাছে টাকা পেত। পাওনা টাকা আদায়ের জন্য মিজান হাওলাদারের ছেলে ফয়সালকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে মারধর করে। 

ফয়সাল হাওলাদারের ভাই কাওসার হাওলাদার জানান, শুক্রবার সকালে আলিমসহ ৩/৪ জন ফয়সালকে ধরে তুলে নিয়ে যায়। এর পর আমার ভাই (ফয়সাল) বাবাকে ফোন দিয়ে জানায় আলিমকে ২০ লাখ টাকা দিয়ে দিতে। এ সময় ফয়সাল আরও জানায় আলীম তাকে মারধর করছে। টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলবে। বিষয়টি পুলিশকে জানাই ও স্থানীয় বিভিন্ন লোকজনকেও জানানো হয়। অপহরণের বিষয়টি জানাজানি হলে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে পাড়েরহাট এলাকার নাসির উদ্দিন মল্লিকের বাড়ির কাছে ফয়সাল ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ফয়সালকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানার ওসি আব্দুস সোবাহান জানান, দেনাপাওনার একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে ফয়সাল হাওলাদার নামে একজনকে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ খবর পেয়ে ফয়সালকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে রাতেই মামলা হয়।

হাসিবুল হাসান/জোবাইদা/

কালিয়াকৈরে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৩

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৩ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:১১ এএম
কালিয়াকৈরে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৩
দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে গেছে সিএনজচালিত অটোরিকশা। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কের নামাশুলাই এলাকায় ট্রাক-সিএনজিচালিত অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকসহ এক নারী ও এক বৃদ্ধ রয়েছেন।

শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা থেকে অটোরিকশাটি যাত্রী নিয়ে কালিয়াকৈরের উদ্দেশে রওনা দেয়। পথে নামাশুলাই এলাকায় পৌঁছালে কালিয়াকৈর থেকে আসা ইটভর্তি একটি ট্রাকের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে চালক ওবায়দুল (৩৫), অজ্ঞাত এক নারী (৫৬) এবং অজ্ঞাত এক বৃদ্ধ (৭০) ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত আরও একজনকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ঘাতক ট্রাকচালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে।

কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান জানান, নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে এবং ঘাতক চালকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পলাশ/তাওফিক/

সুনামগঞ্জে মাদরাসার ভিতরে ৯ বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৮ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:২৭ এএম
সুনামগঞ্জে মাদরাসার ভিতরে ৯ বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর
ছবি : সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের ছাতকে ৯ বছরের ছাত্রীকে মাদরাসার ভিতরে একা পেয়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের যুবক সাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে। খবর শুনে অভিযুক্ত জহিরপুর তোঁতানগরের ছমরু মিয়ার ছেলে সাবুল মিয়া (৩৫) বাড়ি ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। 

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতেই অভিযুক্ত সাবুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সকাল ৮টায় মাদরাসায় একটু আগে চলে যায় ভুক্তভোগী শিশু। এ সময় মাদরাসার পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে বারান্দায় একা দেখে ভিতরে ঢুকে শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সাবুল মিয়া। পরে শিশুটি তার বাবাকে গিয়ে জানালে বাবা গ্রামের মাতব্বরদের বিষয়টি জানানোর পর রাতে সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত হয়। রাতে সালিশ বসার আগেই স্থানীয় গ্রামবাসীর মধ্যে খবর জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই অভিযুক্ত সাবুল মিয়াকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আটক করে। পরে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণচেষ্টা মামলা করেন। 

এদিকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি ভাঙচুর করেছে জামেয়া মাদানিয়া তাহফিজুল কোরআন মাদরাসার শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে, স্থানীয় যুবসমাজ ধর্ষকের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। 

ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, 'সকালের ঘটনা রাতে মাতব্বররা সালিশে শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সালিশ বসার আগে গ্রামবাসী ঘটনা জেনে যাওয়ায় অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর করলে পুলিশ এই ঘটনার খবর পায়। এর আগে কেউ পুলিশকে কিছু জানায়নি। রাতে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে রাতেই অভিযুক্ত সাবুল মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।' 

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জের তিন উপজেলায় ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় সচেতন নাগরিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার দিরাই উপজেলায় অটোরিকশায় এক তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে, মেয়েটি চলতি অটোরিকশা থেকে প্রাণে বাঁচতে লাফ দিলে গুরুতর আহত হয়। বর্তমানে মেয়েটি সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। অভিযুক্ত দুইজনকে দিরাই থানা পুলিশ রাতেই আটক করেছে। একইভাবে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

দেওয়ান গিয়াস/জোবাইদা/

টাঙ্গাইলে মহাসড়কে ট্রাক উল্টে শ্রমিক নিহত, ওসিসহ আহত ৬

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:২৬ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:১৩ এএম
টাঙ্গাইলে মহাসড়কে ট্রাক উল্টে শ্রমিক নিহত, ওসিসহ আহত ৬
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর বাইপাস এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে একটি আলুর ট্রাক উল্টে গেলে পেছন থেকে অন্য একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এর ফলে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন এবং গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসিসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উত্তরবঙ্গ থেকে আসা আলুর ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের ওপর উল্টে যায়। পরে ওই ট্রাক থেকে আলু অন্য একটি ট্রাকে তোলার সময় পেছন থেকে আরেকটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাকের পাশেই থাকা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ খান, সার্জেন্ট এবং দুই পুলিশ সদস্যসহ ছয়জন আহত হন।

নিহতের নাম ইলিয়াস (৪২), তার বাড়ি রংপুরে। আহতদের উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গোড়াই হাইওয়ে থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক সিরাজ জানান, দুর্ঘটনায় একজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন এবং পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা চলছে।

এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশি তৎপরতা চলছে।

জুয়েল/তাওফিক/