ঢাকা ১ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
English

শামীম ওসমানের পৈতৃক বাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৯ পিএম
শামীম ওসমানের পৈতৃক বাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
ছবি: খবরের কাগজ

নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ায় অবস্থিত সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পৈতৃক বাড়ি বাইতুল আমান ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এসময় বুলডোজার দিয়ে দু’তলা ভবনটিকে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে কয়েক’শ মানুষ জড়ো হয়ে ভাঙচুর শুরু করে। এর আগে শহরের বিবি রোডে মিছিল বের করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি চাষাড়া চত্বর পার হয়ে বাইতুল আমানের সামনে গেলে বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে মিলিত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত ৭টায় প্রথমে কয়েকজন যুবক ভবনের ভেতরে গিয়ে বারান্দায় উঠে ঘুরাঘুরি করতে থাকে। পরে কয়েকশ মানুষ জড়ো হলে ভাঙচুর শুরু হয়। এক পর্যায়ে সেখানে বুলডোজার ভবনের পূর্বপাশ দিয়ে ভাঙ্গতে শুরু করে। পরে মুল ফটক ভেঙ্গে বুলডোজার ভিতরে ঢুকে ভবন ভাঙচুর করে। এসময় দু’তলার বারান্দায় থাকা যুবকরা আগুন ধরিয়ে দেয়।

এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে নানা শ্লোগান দেয়। ভবনের চারপাশে ও আশপাশের ভবনগুলোতে দাঁড়িয়ে শত শত লোকজন দেখেন।

মহানগর বিএনপির মিছিলে অংশ নেওয়া সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু জানান, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল শুরুর আগেই বিক্ষুব্ধ জনতা বাইতুম আমানের সামনে গিয়ে জড়ো হযে ভাঙা শুরু করে। এখানে কোনো দল নয়, সর্বসাধারণ ওই বাড়ি ভেঙেছে। কারণ শামীম ওসমানদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ নগরবাসী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শামীম ওসমানের দাদা খান সাহেব ওসমান আলী ভবনটির মালিক। বায়তুল আমান নামের এই বাড়িতে ১৯৫২ সালে ২৯ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের বৈঠক হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধসহ রাজনৈতিকসহ নানা কারণে বায়তুল আমান আলোচিত ছিল। খান সাহেব ওসমান আলীর ছেলে শামসুজ্জোহা ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। তার তিন সন্তান সাবেক সংসদ সদস্য নাসিম ওসমান, সেলিম ওসমান, শামীম ওসমানরা একসময় এই বাড়িতে থাকতেন। তবে নব্বই দশক থেকে ওই বাড়িতে কেউ না থাকলেও ওসমান পরিবারের যাতায়াত ছিল।

এর আগে নারায়ণগঞ্জে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ এবং জেলা আদালতের সামনে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তিনটি ম্যুরাল ভাঙচুর করে বিএনপিপন্থী আইনজীবী ও স্থানীয় জনতা। বৃহস্পতিবার দুপুরে আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের নেতৃত্বে আইনজীবী ও স্থানীয়রা হাতুরী, শাবল দিয়ে ম্যুরাল ভাঙচুর করে। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু কর্নারেও ভাঙচুর চালানো হয়।

বিল্লাল হোসাইন/মাহফুজ

 

কুড়িগ্রাম সীমান্তে ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:০৫ এএম
কুড়িগ্রাম সীমান্তে ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
ছবি : খবরের কাগজ

সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাচারের সময় পাচটি ভারতীয় গান (এয়ার গান), একটি ভারতীয় পিষ্টন অ্যাসেম্বলি ও ৩৩ হাজার ১০০ পিস ভারতীয় সিসাগুলি উদ্ধার করেছে বিজিবির কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাত ১২টার দিকে ২২ বিজিবির অধীনস্থ দিয়াডাংগা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার মেইন পিলার-৯৮৫/৩-এস এর নিকট দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের সময় এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। তবে এগুলোর মালিক পালিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জানিয়েছে বিজিবি।

বিজিবি জানায়, অস্ত্র গোলাবারুদ পাচারের গোপন খবর পেয়ে শুক্ববার রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে সদর ও দিয়াডাংগা বিওপির ১৯ সদস্যের বিশেষ টহলদল ওই এলাকায় গোপনে অবস্থান নেন। এ সময় কয়েকজন ব্যক্তি ভারত হতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসতে দেখে তাদের সন্দেহ হলে বিজিবির টহলদল তাদের আটক করতে এগিয়ে গেলে এসব অস্ত্র গোলাবারুদ ফেলে ভারতের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।

পরে তল্লাশী ভারতীয় পাঁচটি গান, একটি পিষ্টন অ্যাসেম্বলি, ৩৩,১০০ পিস সিসা গুলি পায়। এ সময় পাচাকারীদের ফেলে যাওয়া একটি ভারতীয় হিরো ইগনেটর মোটরসাইকেল জব্দ করে বিজিবি।

বিজিবি জানায়, মোটরসাইকেলসহ এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদের মূল্য ৮লাখ ২৬ হাজারেরও বেশি টাকা। এসব এয়ার গান পাখি মারার কাজে ব্যবহার করা হয়।

বিজিবির ২২ কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মাহবুব-উল-হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সীমান্তে পর্যাপ্ত টহল অব্যাহত রয়েছে।

মওলা সিরাজ/জোবাইদা/

প্লাস্টিক জমা দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে নিত্যপণ্য

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:০০ এএম
প্লাস্টিক জমা দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে নিত্যপণ্য
চট্টগ্রামে প্লাাস্টিক জমা দিয়ে বিনিময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী গ্রহণ। ছবি: খবরের কাগজ

ক্লিন বাংলাদেশের উদ্যোগে এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সহযোগিতায় নগরের কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারে প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার উদ্বোধন করা হয়েছে। সামনে চসিকের ৪১টি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুরে নগরের কাজীর দেউরি কাঁচাবাজারের সামনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘ক্লিন বাংলাদেশের উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সার্বক্ষণিক সহযোগিতা থাকবে। পাশাপাশি ক্লিন সিটি, গ্রিন সিটি, হেলদি সিটি বাস্তবায়নে এবং প্লাস্টিক ও পলিথিনের ফলে জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করবে এই উদ্যোগ। সামনে ক্লিন বাংলাদেশ সংগঠনকে নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার চালু করা হবে।’ 

নগরীর জলাবদ্ধতা ও প্লাস্টিকদূষণ রোধে ক্লিন বাংলাদেশ এই উদ্যোগটি নিয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় রমজান উপলক্ষে ‘প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার’ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। নগরের চকবাজার, বহদ্দারহাট ও আগ্রাবাদ কাঁচাবাজারের পর এবার কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারে চতুর্থ নতুন বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সাধারণ জনগণ ব্যবহৃত প্লাস্টিক ও পলিথিন জমা দিয়ে বিনিময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী- ছোলা, খেজুর, চিড়া, আলু, পেঁয়াজ, ডিম ইত্যাদি সংগ্রহ করতে পারবেন।

ক্লিন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শওকত হোসেন জনি বলেন, “শহরকে প্লাস্টিক ও পলিথিন নিয়ে আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় ক্লিন বাংলাদেশ এভাবে নগরীর প্রত্যেকটা পয়েন্টে চালু রাখার চেষ্টা থাকবে। আমরা চেয়েছি সমস্যার একটি কার্যকর সমাধান দিতে- যেখানে পরিবেশ রক্ষা ও মানবিক সহায়তা একসঙ্গে করা যায়। তাই ‘প্লাস্টিক আনুন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিন’ এই ধারণা নিয়ে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। এটি শুধু প্লাস্টিকদূষণ রোধ করবে না, বরং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য রমজানের সময়ে সহায়তা হিসেবে কাজ করবে।”

প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার প্রোগ্রামটি পরিচালনা করছেন ক্লিন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক তানভীর রিসাত। তিনি বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মের হাত ধরেই পরিবর্তন হবে আমাদের লাল-সবুজের বাংলাদেশ। এই প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নারের মাধ্যমে শুরু হোক পরিবর্তন ও সচেতনতা। যেখানে সেখানে প্লাস্টিক ও পলিথিন না ফেলে জমা দিয়ে নিতে পারছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস, যা মানুষকে একদিকে যেভাবে সচেতন করা হচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশকে রক্ষা করতে ভূমিকা রাখছে। রমজান মাসজুড়ে প্রতি শুক্র ও শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।’ 

পটিয়ার শেভরণ হাসপাতাল: ইনজেকশন দিতেই মারা গেল ৪ মাসের শিশু

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫১ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫৭ এএম
পটিয়ার শেভরণ হাসপাতাল: ইনজেকশন দিতেই মারা গেল ৪ মাসের শিশু
চট্টগ্রামের পটিয়ার শেভরণ হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের পটিয়ার শেভরণ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় চার মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে। নিহত শিশুর নাম নুর আফসা। শিশুটির বয়স তিন মাস। এ ঘটনায় হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সকাল ৯টায় ওই শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটির কানে সমস্যা ছিল, একই সঙ্গে নিউমোনিয়া আক্রান্ত ছিল। 

ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ করে শিশু আফসার চাচা মো. কাদের খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমার ভাতিজির নিউমোনিয়া ও হালকা কানের সমস্যা ছিল। তাই তাকে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে পটিয়া পৌরসভার পটিয়া শেভরণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় তাকে একটি ইনজেকশন দিতে হবে জানিয়ে ডাক্তার দেলোয়ার লিখে দেন। আমরা সেই অনুযায়ী পটিয়া শেভরণ হাসপাতালের ফার্মেসি থেকেই সেটি কিনে নিই। এরপর নার্স সেটি পুশ করার পর পরই আমার ভাতিজি মারা যায়। অন্য চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি ইনজেকশনটি ছিল বয়স্ক মানুষের। আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছি। তারা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবে বলেছে। আমরা এখন শিশুটির ময়নাতদন্ত করতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এসেছি।’ 

জানা গেছে, নিহত শিশু নুর আফসা উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের সাকিব আল হাসানের মেয়ে। এ ঘটনায় শিশুটির বিক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতাল ভাঙচুর করেছে বলে জানা গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করে বলে, শিশুটির মৃত্যুর পর হাসপাতালে ভাঙচুর চালান রোগীর স্বজনরা। তারা হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষের গ্লাস, জানালা ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন। পরে পটিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

শেভরণ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াহিদ হাসান বলেন, ‘শিশুটিকে ডা. দেলোয়ার দেখছিলেন। নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীকে কোনো কিছু খাওয়ানোর নিয়ম নেই। কিন্তু রোগীর মা চিকিৎসা চলাকালে বাচ্চাটিকে বুকের দুধ খাওয়ালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এ অবস্থায় চিকিৎসক ইনজেকশন পুশ করেন। পরে বাচ্চাটি মারা যায়।’

এ সময় তিনি শিশু মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘রোগীর স্বজনদের অভিযোগ তদন্ত করা হবে। তদন্তে কারও গাফিলতির প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুন নুর বলেন, ‘হাসপাতালে হট্টগোল হচ্ছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ সুরুহাল রিপোর্ট করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

বখাটের অত্যাচারে চিরকুট লিখে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪১ এএম
বখাটের অত্যাচারে চিরকুট লিখে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
ছবি : খবরের কাগজ

"আমি আমার নিজের ইচ্ছায় কিছু করিনি, আমাকে বাধ্য করা হয়েছে। ওই ছেলের জন্য ওর পরিবারের জন্য আমার জীবন থেকে মনে হয় সব সুখ সাতি (শান্তি) চলে (গেছে)" এভাবেই চিরকুট লিখে রেখে আত্মহত্যা করেছেন এক শিক্ষার্থী। নিহত শিক্ষার্থীকে পথেঘাটে ইভটিজিংসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে ছবি পাঠিয়ে  ব্ল্যাকমেইল করায় তিনি আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের। 

শনিবার (১৪ মার্চ) পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের শৌলা গ্রামে খান বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত শিক্ষার্থী নাজনিন জাহান কুমকুম (১৪) ওই বাড়ির নজরুল খানের মেয়ে ও পূর্ব কালাইয়া হাসান সিদ্দিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত কিশোর রিয়াদুল ইসলাম তৌসিফ (১৬) একই বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও শৌলা গ্রামের রিয়াজ চৌকিদারের ছেলে। 

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নিহত কিশোরীকে পথেঘাটে ইভটিজিং করে আসছিলো প্রতিবেশী কিশোর তৌসিফ। বিষয়টি তারা তৌসিফের চাচা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জানায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গতকাল শুক্রবার নিহত কিশোরী ও তার এক সহপাঠী কিশোরের একসঙ্গে তোলা একটি ছবির সঙ্গে নোংরা মন্তব্য লিখে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় অভিযুক্ত তৌসিফ। এরপরে খাতায় একটি চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেন কুমকুম। 

পুলিশ জানায়, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। প্রথমে পরিবার নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত করাতে চায়নি। তাই বিষয়টিকে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনাজনিত অপমৃত্যু বলে স্থানীয়দেরকে ও পুলিশকে জানায়। মরদেহ হাসপাতাল থেকেই বাড়িতে নিয়ে রাতে দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল পরিবার। তখন স্থানীয়রা মরদেহের গলায় ফাঁসের মত চিহ্ন দেখতে পায়। অন্যদিকে, মেয়ের রুমে খাতায় লেখা চিরকুটের সন্ধান পায় পরিবারের সদস্যরা। পরে ঘটনাটি থানা পুলিশকে অবহিত করে পরিবার। রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ নিহত শিক্ষার্থীর বাড়িতে যায় এবং মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানায় পুলিশ। 

অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, 'একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় এক কিশোরের ইভটিজিং এর কারণে ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে ধারণা পরিবারের। এখনো লিখিত অভিযোগ করেনি ভুক্তভোগী পরিবার। তবুও অভিযোগের বিষয় গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের অভিযান চলমান রয়েছে।' 

মশিউর মিলন/জোবাইদা/ 

বড়লেখায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৮ এএম
বড়লেখায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক
ছবি : খবরের কাগজ

মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখায় ধর্ষণের অভিযোগে রাজেন রায় (২৪) নামে এক যুবককে আটক করেছে বড়লেখা থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেলে বড়লেখার নিউ সমনবাগ চা বাগানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত রাজেন রায়কে আটক করা হয়।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম সরকার বলেন, 'গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) নিউ সমনবাগ চা বাগানের এক তরুণীকে (২১) ধর্ষণ করা হয়েছে বলে একটি সংবাদ পাই। তার ভিত্তিতে আজ অভিযুক্ত রাজেন রায়কে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন পিপিএম জানান, নারীদের প্রতি যেকোনো যৌন হয়রানি বা সহিংসতার বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। নারী ও শিশু নির্যাতনকারীদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।

পুলক পুরকায়স্থ/জোবাইদা/