ঢাকা ১ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
English

মুরাদের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম
মুরাদের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ
সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে‌ সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে সদর উপজেলার আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুরে তার গ্রামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

গত বছরের ৫ ই আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই পলাতক রয়েছেন ডা. মুরাদ হাসান।

ডা. মুরাদ হাসান ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে তাকে প্রথমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এবং পরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর মুরাদ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে মুরাদ হাসানের একটি অশ্লীল ফোনালাপ ভাইরাল হয়। এরপর প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন ডা. মুরাদ হাসান। সর্বশেষ ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করে পরাজিত হন।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. চাঁদ মিয়া জানান, ডা. মুরাদ হাসানের বাড়ি ভাঙচুর সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ তিনি পাননি।

আসমাউল আসিফ/সুমন/

পাওনা টাকা না পেয়ে ছেলেকে অপহরণ

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:১৩ এএম
পাওনা টাকা না পেয়ে ছেলেকে অপহরণ
পিরোজপুর

পিরোজপুরের সদর উপজেলা শারিকতলা গ্রামের পূর্ব হরিনা গাজিপুর এলাকায় বাবার কাছে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ছেলেকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহৃত ফয়সাল হাওলাদার ঐ এলাকার মিজান হাওলাদারের ছেলে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে হরিনা স্লুইচগেট এলাকার সামনে থেকে আলিমসহ ৩/৪ জন ফয়সালকে ধরে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়।

অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সোবাহান।

জানা যায়, দক্ষিণ গজিপুর এলাকার বাসিন্দা আলিম খান ফয়সালের বাবা মিজান হাওলাদারের কাছে টাকা পেত। পাওনা টাকা আদায়ের জন্য মিজান হাওলাদারের ছেলে ফয়সালকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে মারধর করে। 

ফয়সাল হাওলাদারের ভাই কাওসার হাওলাদার জানান, শুক্রবার সকালে আলিমসহ ৩/৪ জন ফয়সালকে ধরে তুলে নিয়ে যায়। এরপর আমার ভাই (ফয়সাল) বাবাকে ফোন দিয়ে জানায় আলিমকে ২০ লাখ টাকা দিয়ে দিতে। এ সময় ফয়সাল আরও জানায় আলীম তাকে মারধর করছে। টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলবে। বিষয়টি পুলিশকে জানাই ও স্থানীয় বিভিন্ন লোকজনকেও জানানো হয়। অপহরণের বিষয়টি জানাজানি হলে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে পাড়েরহাট এলাকার নাসির উদ্দিন মল্লিকের বাড়ির কাছে ফয়সাল ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ফয়সালকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানার ওসি আব্দুস সোবাহান জানান, দেনা পাওনার একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে ফয়সাল হাওলাদার নামে একজনকে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ খবর পেয়ে ফয়সালকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে রাতেই মামলা হয়।

হাসিবুল হাসান/জোবাইদা/

কালিয়াকৈরে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৩

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৩ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:১১ এএম
কালিয়াকৈরে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৩
দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে গেছে সিএনজচালিত অটোরিকশা। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কের নামাশুলাই এলাকায় ট্রাক-সিএনজিচালিত অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকসহ এক নারী ও এক বৃদ্ধ রয়েছেন।

শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা থেকে অটোরিকশাটি যাত্রী নিয়ে কালিয়াকৈরের উদ্দেশে রওনা দেয়। পথে নামাশুলাই এলাকায় পৌঁছালে কালিয়াকৈর থেকে আসা ইটভর্তি একটি ট্রাকের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে চালক ওবায়দুল (৩৫), অজ্ঞাত এক নারী (৫৬) এবং অজ্ঞাত এক বৃদ্ধ (৭০) ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত আরও একজনকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ঘাতক ট্রাকচালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে।

কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান জানান, নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে এবং ঘাতক চালকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পলাশ/তাওফিক/

সুনামগঞ্জে মাদরাসার ভিতরে ৯ বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৮ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:৪০ এএম
সুনামগঞ্জে মাদরাসার ভিতরে ৯ বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর
ছবি : সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের ছাতকে ৯ বছরের ছাত্রীকে মাদরাসার ভিতরে একা পেয়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের যুবক সাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে। খবর শুনে অভিযুক্ত জহিরপুর তোঁতানগরের ছমরু মিয়ার ছেলে সাবুল মিয়া (৩৫) বাড়ি ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। 

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতেই অভিযুক্ত সাবুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সকাল ৮ টায় মাদরাসায় একটু আগে চলে যায় ভুক্তভোগী শিশু। এ সময় মাদরাসার পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে বারান্দায় একা দেখে ভিতরে ঢুকে শিশুকে ধর্ষণেরচেষ্টা করে সাবুল মিয়া। পরে শিশুটি তার বাবাকে গিয়ে জানালে বাবা গ্রামের মাতব্বরদের বিষয়টি জানানোর পর রাতে সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত হয়। রাতে সালিশ বসার আগেই স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে খবর জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই অভিযুক্ত সাবুল মিয়াকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আটক করে। পরে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণচেষ্টা মামলা করেন। 

এদিকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি ভাঙচুর করেছে জামেয়া মাদানিয়া তাহফিজুল কোরআন মাদরাসার শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে, স্থানীয় যুব সমাজ ধর্ষকের বাড়িতে ভাঙ্গচুর চালায়। 

ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, 'সকালের ঘটনা রাতে মাতব্বররা সালিশে শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সালিশ বসার আগে গ্রামবাসী ঘটনা জেনে যাওয়ায় অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর করলে পুলিশ এই ঘটনার খবর পায়। এর আগে কেউ পুলিশকে কিছু জানায়নি। রাতে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে রাতেই অভিযুক্ত সাবুল মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।' 

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জের তিন উপজেলায় ধর্ষণের অভিযোগ উঠায় সচেতন নাগরিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার দিরাই উপজেলায় অটোরিকশায় এক তরুণীকে ধর্ষণেরচেষ্টা করলে, মেয়েটি চলতি অটোরিকশা থেকে প্রাণে বাঁচতে লাফ দিলে গুরুতর আহত হয়। বর্তমানে মেয়েটি সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। অভিযুক্ত দুইজনকে দিরাই থানা পুলিশ রাতেই আটক করেছে। একই ভাবে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণেরচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

দেওয়ান গিয়াস/জোবাইদা/

টাঙ্গাইলে মহাসড়কে ট্রাক উল্টে শ্রমিক নিহত, ওসিসহ আহত ৬

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:২৬ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:১৩ এএম
টাঙ্গাইলে মহাসড়কে ট্রাক উল্টে শ্রমিক নিহত, ওসিসহ আহত ৬
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর বাইপাস এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে একটি আলুর ট্রাক উল্টে গেলে পেছন থেকে অন্য একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এর ফলে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন এবং গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসিসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উত্তরবঙ্গ থেকে আসা আলুর ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের ওপর উল্টে যায়। পরে ওই ট্রাক থেকে আলু অন্য একটি ট্রাকে তোলার সময় পেছন থেকে আরেকটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাকের পাশেই থাকা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ খান, সার্জেন্ট এবং দুই পুলিশ সদস্যসহ ছয়জন আহত হন।

নিহতের নাম ইলিয়াস (৪২), তার বাড়ি রংপুরে। আহতদের উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গোড়াই হাইওয়ে থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক সিরাজ জানান, দুর্ঘটনায় একজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন এবং পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা চলছে।

এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশি তৎপরতা চলছে।

জুয়েল/তাওফিক/

রংপুরে বিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কথা জানে না অধিকাংশ শিক্ষার্থী

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:১৫ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:১৯ এএম
রংপুরে বিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কথা জানে না অধিকাংশ শিক্ষার্থী
রংপুর নগরীর কেন্দ্রে অবস্থিত বিদ্যালয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। ছবি: খবরের কাগজ

রংপুর নগরীর কেন্দ্রে অবস্থিত বিদ্যালয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। নামসর্বস্ব সাইনবোর্ড আর পরিত্যক্ত ভবনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ চিকিৎসাসেবা। প্রচারবিমুখ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসে হাতেগোনা কয়েক শিক্ষার্থী। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশাপাশি বিদ্যালয় কলেজ থাকলেও বেশির ভাগ শিক্ষার্থী জানে না এই বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের চিকিৎসাসেবা সম্পর্কে।

স্বাস্থ্যসেবা শিক্ষার্থীদের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে ১৯৭৩ সালে প্রায় ৩৭ শতক জমির ওপর রংপুরে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। দেশে বিদ্যালয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র রয়েছে ২৩টি। এর মধ্যে রংপুর বিভাগে রয়েছে তিনটি। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসা কর্মকর্তারা প্রতি মাসে ১০-১২টি বিদ্যালয় পরিদর্শন করার কথা থাকলেও তারা এক বা দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন।

বিদ্যালয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালে ২ হাজার ৯০০ শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে চিকিৎসা নিয়েছে ২৩১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৮৫, মার্চে ১৯৯, এপ্রিলে ১৬০, মে মাসে ২৬৮, জুনে ১৮১, জুলাইয়ে ১১৯, আগস্টে ১৯০, সেপ্টেম্বরে ২৮৩, অক্টোবরে ৩৪৯, নভেম্বরে ৪১৯ ও ডিসেম্বরে ২৬৪ জন চিকিৎসা নেয়। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে চিকিৎসা নিয়েছে ২১৯ শিক্ষার্থী। ফেব্রুয়ারিতে ১৮৩ জন চিকিৎসা নিয়েছে।

বিদ্যালয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানান, প্রতি মাসে যে পরিমাণ বরাদ্দ আসে, তাতে ওষুধ ছাড়া শিক্ষার্থীদের অন্য কোনো কিছু দেওয়া সম্ভব হয় না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের জন্য আলাদা কোনো বরাদ্দ নেই। ফলে চাইলেও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাওয়া সম্ভব হয় না। ৩০ ধরনের ওষুধ থাকলেও আরও কিছু ওষুধ পাশাপাশি বেশি করে ন্যাপকিন বরাদ্দের দাবি জানান।

রংপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর রায়হান হোসেন বলে, ‘আগে কিছুই জানতাম না। শুধু আমি না, আমাদের স্কুলের অনেকেই জানে না। হঠাৎ এক বন্ধুর কাছে শুনে চিকিৎসা নিতে এলাম।’ অন্য শিক্ষার্থী হাসানুর রহমান বলে, ‘দীর্ঘদিন ধরে চর্মরোগ হয়েছে। আমার স্কুলের বন্ধুরা এ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানে না। একটু প্রচার-প্রচারণা করলে সবাই জানতে পারত। বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পেলে সবাই উপকৃত হতো।’

বিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. সকিনা বলেন, ‘আমাদের অনেক সংকট রয়েছে, তারপরও চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। বিশেষ করে এখানে কোনো ধরনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই। নিজের খরচে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যাওয়া-আসা করতে হয়। সব মিলিয়ে এ চিকিৎসাকেন্দ্রটিকে অত্যাধুনিক করা প্রয়োজন।’

এ বিষয়ে রংপুর সিভিল সার্জন ডা. শাহীন সুলতানা বলেন, ‘আমি জানি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র রয়েছে। নতুন এসেছি। পরিদর্শন করে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’