ঢাকা ১ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
English

মুক্তিপণে ফিরেছে টেকনাফে অপহৃত ৫ জন

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৯ পিএম
মুক্তিপণে ফিরেছে টেকনাফে অপহৃত ৫ জন
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

কক্সবাজারে টেকনাফের পাহাড়ী এলাকায় জ্বালানি কাঠ সংগ্রহকালে অপহৃত পাঁচজনকে দুইদিন পর ছেড়ে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। তবে তাদের ছাড়িয়ে আনতে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ প্রদান করেছে স্বজনরা।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে অপহৃতদের ৫ জনকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী পাহাড়ের পাদদেশে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হুমায়ুন কাদের চৌধুরী।

অপহৃতরা হলেন- টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মাঠ পাড়া ও বাইন্ন্যা পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল হকের ছেলে মারুফ উল্লাহ (১৮), মোহাম্মদ হাসানের ছেলে মোহাম্মদ কাইফ উল্লাহ (১৭), হামিদুল হকের ছেলে মোহাম্মদ ইসা (২৮), মৃত কালা মিয়ার ছেলে ইউসুফ উল্লাহ (৩০) এবং শফিউল আজমের ছেলে মো. আবুইয়া (২০)।

গত বুধবার সকালে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মাঠ পাড়া ও বাইন্ন্যা পাড়া এলাকার ১৫ জন লোক স্থানীয় পাহাড়ে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহে যান। এক পর্যায়ে স্থানীয় চাকমা পাড়া সংলগ্ন এলাকার পূর্ব পাশের পাহাড়ী এলাকায় একদল দূর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে তাদের জিন্মি করে। পরে তাদের মধ্যে ৫ জনকে জিন্মি রেখে অন্যদের ছেড়ে দেয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ুন কাদের চৌধুরী বলেন, ঘটনার ২ দিন পার হলে দূর্বৃত্তরা তাদের ছেড়ে দেয়। এর আগে বুধবার রাতে অপহৃতদের ছেড়ে দিতে স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে কয়েক দফায় আলোচনা করে ৫ জনের পরিবার মোট ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ পাঠানোর পর এদের ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন স্বজনরা। 

তবে মুক্তিপণের টাকা কী প্রক্রিয়ায় কাকে পাঠানো হয়েছে বিস্তারিত বলেছেন না স্বজনরা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর থেকে পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধারে টেকনাফের বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছিল। এক পর্যায়ে এদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। স্বজনরাও মুক্তিপণ প্রদানের কোনো তথ্য পুলিশকে জানায়নি। ৫ জনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য বলছে, এই নিয়ে গত ১৩ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২২৪ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে একইসময়ে উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে ৮৭ জনকে অপহরণ করা হয়।

মুহিববুল্লাহ মুহিব/মাহফুজ

 

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৩

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৩ এএম
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৩
দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে গেছে সিএনজচালিত অটোরিকশা। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কের নামাশুলাই এলাকায় ট্রাক-সিএনজিচালিত অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকসহ এক নারী ও এক বৃদ্ধ রয়েছেন।

শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা থেকে অটোরিকশাটি যাত্রী নিয়ে কালিয়াকৈরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথে নামাশুলাই এলাকায় পৌঁছালে কালিয়াকৈর থেকে আসা ইট ভর্তি একটি ট্রাকের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে চালক ওবায়দুল (৩৫), অজ্ঞাত এক নারী (৫৬) এবং অজ্ঞাত এক বৃদ্ধ (৭০) ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত আরও একজনকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ঘাতক ট্রাক চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে।

কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান জানান, নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে এবং ঘাতক চালকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পলাশ/তাওফিক/

সুনামগঞ্জে মাদরাসার ভিতরে ৯ বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৮ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:৪০ এএম
সুনামগঞ্জে মাদরাসার ভিতরে ৯ বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর
ছবি : সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের ছাতকে ৯ বছরের ছাত্রীকে মাদরাসার ভিতরে একা পেয়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের যুবক সাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে। খবর শুনে অভিযুক্ত জহিরপুর তোঁতানগরের ছমরু মিয়ার ছেলে সাবুল মিয়া (৩৫) বাড়ি ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। 

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতেই অভিযুক্ত সাবুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সকাল ৮ টায় মাদরাসায় একটু আগে চলে যায় ভুক্তভোগী শিশু। এ সময় মাদরাসার পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে বারান্দায় একা দেখে ভিতরে ঢুকে শিশুকে ধর্ষণেরচেষ্টা করে সাবুল মিয়া। পরে শিশুটি তার বাবাকে গিয়ে জানালে বাবা গ্রামের মাতব্বরদের বিষয়টি জানানোর পর রাতে সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত হয়। রাতে সালিশ বসার আগেই স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে খবর জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই অভিযুক্ত সাবুল মিয়াকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আটক করে। পরে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণচেষ্টা মামলা করেন। 

এদিকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি ভাঙচুর করেছে জামেয়া মাদানিয়া তাহফিজুল কোরআন মাদরাসার শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে, স্থানীয় যুব সমাজ ধর্ষকের বাড়িতে ভাঙ্গচুর চালায়। 

ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, 'সকালের ঘটনা রাতে মাতব্বররা সালিশে শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সালিশ বসার আগে গ্রামবাসী ঘটনা জেনে যাওয়ায় অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর করলে পুলিশ এই ঘটনার খবর পায়। এর আগে কেউ পুলিশকে কিছু জানায়নি। রাতে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে রাতেই অভিযুক্ত সাবুল মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।' 

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জের তিন উপজেলায় ধর্ষণের অভিযোগ উঠায় সচেতন নাগরিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার দিরাই উপজেলায় অটোরিকশায় এক তরুণীকে ধর্ষণেরচেষ্টা করলে, মেয়েটি চলতি অটোরিকশা থেকে প্রাণে বাঁচতে লাফ দিলে গুরুতর আহত হয়। বর্তমানে মেয়েটি সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। অভিযুক্ত দুইজনকে দিরাই থানা পুলিশ রাতেই আটক করেছে। একই ভাবে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণেরচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

দেওয়ান গিয়াস/জোবাইদা/

রংপুরে বিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কথা জানে না অধিকাংশ শিক্ষার্থী

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:১৫ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:১৯ এএম
রংপুরে বিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কথা জানে না অধিকাংশ শিক্ষার্থী
রংপুর নগরীর কেন্দ্রে অবস্থিত বিদ্যালয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। ছবি: খবরের কাগজ

রংপুর নগরীর কেন্দ্রে অবস্থিত বিদ্যালয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। নামসর্বস্ব সাইনবোর্ড আর পরিত্যক্ত ভবনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ চিকিৎসাসেবা। প্রচারবিমুখ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসে হাতেগোনা কয়েক শিক্ষার্থী। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশাপাশি বিদ্যালয় কলেজ থাকলেও বেশির ভাগ শিক্ষার্থী জানে না এই বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের চিকিৎসাসেবা সম্পর্কে।

স্বাস্থ্যসেবা শিক্ষার্থীদের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে ১৯৭৩ সালে প্রায় ৩৭ শতক জমির ওপর রংপুরে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। দেশে বিদ্যালয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র রয়েছে ২৩টি। এর মধ্যে রংপুর বিভাগে রয়েছে তিনটি। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসা কর্মকর্তারা প্রতি মাসে ১০-১২টি বিদ্যালয় পরিদর্শন করার কথা থাকলেও তারা এক বা দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন।

বিদ্যালয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালে ২ হাজার ৯০০ শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে চিকিৎসা নিয়েছে ২৩১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৮৫, মার্চে ১৯৯, এপ্রিলে ১৬০, মে মাসে ২৬৮, জুনে ১৮১, জুলাইয়ে ১১৯, আগস্টে ১৯০, সেপ্টেম্বরে ২৮৩, অক্টোবরে ৩৪৯, নভেম্বরে ৪১৯ ও ডিসেম্বরে ২৬৪ জন চিকিৎসা নেয়। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে চিকিৎসা নিয়েছে ২১৯ শিক্ষার্থী। ফেব্রুয়ারিতে ১৮৩ জন চিকিৎসা নিয়েছে।

বিদ্যালয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানান, প্রতি মাসে যে পরিমাণ বরাদ্দ আসে, তাতে ওষুধ ছাড়া শিক্ষার্থীদের অন্য কোনো কিছু দেওয়া সম্ভব হয় না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের জন্য আলাদা কোনো বরাদ্দ নেই। ফলে চাইলেও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাওয়া সম্ভব হয় না। ৩০ ধরনের ওষুধ থাকলেও আরও কিছু ওষুধ পাশাপাশি বেশি করে ন্যাপকিন বরাদ্দের দাবি জানান।

রংপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর রায়হান হোসেন বলে, ‘আগে কিছুই জানতাম না। শুধু আমি না, আমাদের স্কুলের অনেকেই জানে না। হঠাৎ এক বন্ধুর কাছে শুনে চিকিৎসা নিতে এলাম।’ অন্য শিক্ষার্থী হাসানুর রহমান বলে, ‘দীর্ঘদিন ধরে চর্মরোগ হয়েছে। আমার স্কুলের বন্ধুরা এ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানে না। একটু প্রচার-প্রচারণা করলে সবাই জানতে পারত। বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পেলে সবাই উপকৃত হতো।’

বিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. সকিনা বলেন, ‘আমাদের অনেক সংকট রয়েছে, তারপরও চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। বিশেষ করে এখানে কোনো ধরনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই। নিজের খরচে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যাওয়া-আসা করতে হয়। সব মিলিয়ে এ চিকিৎসাকেন্দ্রটিকে অত্যাধুনিক করা প্রয়োজন।’

এ বিষয়ে রংপুর সিভিল সার্জন ডা. শাহীন সুলতানা বলেন, ‘আমি জানি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র রয়েছে। নতুন এসেছি। পরিদর্শন করে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কুড়িগ্রাম সীমান্তে ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:০৫ এএম
কুড়িগ্রাম সীমান্তে ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
ছবি : খবরের কাগজ

সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাচারের সময় পাচটি ভারতীয় গান (এয়ার গান), একটি ভারতীয় পিষ্টন অ্যাসেম্বলি ও ৩৩ হাজার ১০০ পিস ভারতীয় সিসাগুলি উদ্ধার করেছে বিজিবির কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাত ১২টার দিকে ২২ বিজিবির অধীনস্থ দিয়াডাংগা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার মেইন পিলার-৯৮৫/৩-এস এর নিকট দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের সময় এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। তবে এগুলোর মালিক পালিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জানিয়েছে বিজিবি।

বিজিবি জানায়, অস্ত্র গোলাবারুদ পাচারের গোপন খবর পেয়ে শুক্ববার রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে সদর ও দিয়াডাংগা বিওপির ১৯ সদস্যের বিশেষ টহলদল ওই এলাকায় গোপনে অবস্থান নেন। এ সময় কয়েকজন ব্যক্তি ভারত হতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসতে দেখে তাদের সন্দেহ হলে বিজিবির টহলদল তাদের আটক করতে এগিয়ে গেলে এসব অস্ত্র গোলাবারুদ ফেলে ভারতের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।

পরে তল্লাশী ভারতীয় পাঁচটি গান, একটি পিষ্টন অ্যাসেম্বলি, ৩৩,১০০ পিস সিসা গুলি পায়। এ সময় পাচাকারীদের ফেলে যাওয়া একটি ভারতীয় হিরো ইগনেটর মোটরসাইকেল জব্দ করে বিজিবি।

বিজিবি জানায়, মোটরসাইকেলসহ এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদের মূল্য ৮লাখ ২৬ হাজারেরও বেশি টাকা। এসব এয়ার গান পাখি মারার কাজে ব্যবহার করা হয়।

বিজিবির ২২ কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মাহবুব-উল-হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সীমান্তে পর্যাপ্ত টহল অব্যাহত রয়েছে।

মওলা সিরাজ/জোবাইদা/

কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারে প্লাস্টিক জমা দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে নিত্যপণ্য

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:০০ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:১৭ এএম
কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারে প্লাস্টিক জমা দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে নিত্যপণ্য
চট্টগ্রামে প্লাাস্টিক জমা দিয়ে বিনিময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী গ্রহণ। ছবি: খবরের কাগজ

ক্লিন বাংলাদেশের উদ্যোগে এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সহযোগিতায় নগরের কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারে প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার উদ্বোধন করা হয়েছে। সামনে চসিকের ৪১টি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুরে নগরের কাজীর দেউরি কাঁচাবাজারের সামনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘ক্লিন বাংলাদেশের উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সার্বক্ষণিক সহযোগিতা থাকবে। পাশাপাশি ক্লিন সিটি, গ্রিন সিটি, হেলদি সিটি বাস্তবায়নে এবং প্লাস্টিক ও পলিথিনের ফলে জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করবে এই উদ্যোগ। সামনে ক্লিন বাংলাদেশ সংগঠনকে নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার চালু করা হবে।’ 

নগরীর জলাবদ্ধতা ও প্লাস্টিকদূষণ রোধে ক্লিন বাংলাদেশ এই উদ্যোগটি নিয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় রমজান উপলক্ষে ‘প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার’ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। নগরের চকবাজার, বহদ্দারহাট ও আগ্রাবাদ কাঁচাবাজারের পর এবার কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারে চতুর্থ নতুন বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সাধারণ জনগণ ব্যবহৃত প্লাস্টিক ও পলিথিন জমা দিয়ে বিনিময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী- ছোলা, খেজুর, চিড়া, আলু, পেঁয়াজ, ডিম ইত্যাদি সংগ্রহ করতে পারবেন।

ক্লিন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শওকত হোসেন জনি বলেন, “শহরকে প্লাস্টিক ও পলিথিন নিয়ে আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় ক্লিন বাংলাদেশ এভাবে নগরীর প্রত্যেকটা পয়েন্টে চালু রাখার চেষ্টা থাকবে। আমরা চেয়েছি সমস্যার একটি কার্যকর সমাধান দিতে- যেখানে পরিবেশ রক্ষা ও মানবিক সহায়তা একসঙ্গে করা যায়। তাই ‘প্লাস্টিক আনুন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিন’ এই ধারণা নিয়ে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। এটি শুধু প্লাস্টিকদূষণ রোধ করবে না, বরং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য রমজানের সময়ে সহায়তা হিসেবে কাজ করবে।”

প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার প্রোগ্রামটি পরিচালনা করছেন ক্লিন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক তানভীর রিসাত। তিনি বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মের হাত ধরেই পরিবর্তন হবে আমাদের লাল-সবুজের বাংলাদেশ। এই প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নারের মাধ্যমে শুরু হোক পরিবর্তন ও সচেতনতা। যেখানে সেখানে প্লাস্টিক ও পলিথিন না ফেলে জমা দিয়ে নিতে পারছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস, যা মানুষকে একদিকে যেভাবে সচেতন করা হচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশকে রক্ষা করতে ভূমিকা রাখছে। রমজান মাসজুড়ে প্রতি শুক্র ও শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।’