ঢাকা ১ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
English

হাতিয়ার সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর বাড়ি পুড়াল ছাত্র-জনতা

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৯ পিএম
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩০ পিএম
হাতিয়ার সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর বাড়ি পুড়াল ছাত্র-জনতা
ছবি: খবরের কাগজ

নোয়াখালীর বিছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নোয়াখালী-৬ হাতিয়া আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর বাড়ি। 

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড লক্ষীদিয়া বড় পোল ও পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড ব্রিকফিল্ড বাজারের পাশে অবস্থিত দুটি বাড়ীতেই আগুন দেওয়া হয়। এতে মোহাম্মদ আলীর দুটি বাড়ির অধিকাংশ পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এর আগে রাত ১১ টার দিকে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা স্লোগান দিয়ে এসে বাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করলে মোহাম্মদ আলীর সমর্থকরা তাদের ধাওয়া করেন। এতে উভয় পক্ষে হামলায় ইটপাটকল নিক্ষেপ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। পরে রাত ২টার পর মোহাম্মদ আলীর সমর্থকরা চলে গেলে আগুন দেওয়া হয় তার বাসায়। 

এদিকে একই সময় আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মোহাম্মদ আলীর মালিকানার যাত্রীবাহী ট্রলার। এতে নলচিরা ঘাট তীরে অবস্থন করা ৪টি ট্রলার ও ৫টি স্পীডবোট পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। রাত ১২টার সময় দুবত্তরা আগুন ধরিয়ে দেয়। ৫ আগস্টের পরে এসব ট্রলার ও স্পীড বোট নলচিরা ঘাট তীর বেঁধে রাখা হয়েছিল।

এই বিষয়ে হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম আজমল হুদা বলেন, রাতের অন্ধকারে বৈষম্যবিরাধী ছাত্র-জনতা সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর বাসভবন হামলা ও অগ্নিসংযাগ করে। পরে তারা নলচিরা ঘাটেও স্পীডবোট ও ট্রলারে আগুন লাগিয়ে দেয়।

হানিফ সাকিব/মাহফুজ

বড়লেখায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৮ এএম
বড়লেখায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক
ছবি : খবরের কাগজ

মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখায় ধর্ষণের অভিযোগে রাজেন রায় (২৪) নামে এক যুবককে আটক করেছে বড়লেখা থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেলে বড়লেখার নিউ সমনবাগ চা বাগানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত রাজেন রায়কে আটক করা হয়।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম সরকার বলেন, 'গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) নিউ সমনবাগ চা বাগানের এক তরুণীকে (২১) ধর্ষণ করা হয়েছে বলে একটি সংবাদ পাই। তার ভিত্তিতে আজ অভিযুক্ত রাজেন রায়কে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন পিপিএম জানান, নারীদের প্রতি যেকোনো যৌন হয়রানি বা সহিংসতার বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। নারী ও শিশু নির্যাতনকারীদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।

পুলক পুরকায়স্থ/জোবাইদা/

পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধ খাওয়ারও পানি নেই

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:২২ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৮ এএম
পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধ খাওয়ারও পানি নেই
তীব্র পানির সংকটে ভুগছে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। পাশে পরিত্যাক্ত টিউবওয়েল। ছবি: সংগৃহীত

পানির তীব্র সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এখানে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। হাসপাতালের তিনটি পানির ফিল্টারই নষ্ট। এ ছাড়া টিউবওয়েলগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এ ছাড়া হাসপাতালের ড্রেনগুলোও অপরিষ্কার। এতে মশার উপদ্রব বাড়ছে। এ কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন। 

হাসপাতালের স্বাস্থ্য সহকারীরা বলেন, ‘ভর্তি রোগীদের সুবিধার্থে কয়েক বছর আগে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দোতলায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে একটি ফিল্টার স্থাপন করা হয়। এর সুবিধা রোগীরা আজও পাননি। ওষুধ খাওয়ানোর জন্য সামান্য পানিও আনতে হয় মহাসড়কের কাছের চায়ের দোকানের পাশের টিউবওয়েল থেকে। অথচ কাছেই রয়েছে কয়েকটি পানির ফিল্টার। সেগুলো নষ্ট থাকায় ব্যবহার করা যাচ্ছে না। রোগীদের জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে মাঝে মধ্যে জানানো হয়। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।’

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি টিউবওয়েল থাকলেও সঠিক তদারকির অভাবে সেগুলো দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। আবার পানি সরবরাহে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ফিল্টার বসানো হয়। তবে কারিগরি ত্রুটির কারণে ফিল্টারে পানি সরবরাহ বন্ধ আছে। এতে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। জরুরি প্রয়োজনে রোগীর স্বজনেরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাইরের একটি টিউবওয়েল থেকে পানি সংগ্রহ করছেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা না রাখায় জন্ম নিচ্ছে এডিস মশার লার্ভা। হাসপাতালের ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে আছে ময়লার স্তূপ। আয়রনমুক্ত পানির জন্য রাখা ফিল্টারও অকেজো হয়ে পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। 

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৬ সালে প্রথম কমপ্লেক্স ভবন চালু হয়। শুরু থেকে ৩১ শয্যা সেবা কার্যক্রম থাকলেও সেটি ২০১০ সাল থেকে উন্নীত করে ৫০ শয্যা করা হয়। বাড়ানো হয় চিকিৎসকের সংখ্যা ও সেবা কার্যক্রম। এদিকে কমপ্লেক্স এলাকায় একাধিক টিউবওয়েল থাকলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেগুলো প্রায় ৭ বছর ধরে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে। এর কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা প্রতিনিয়ত খাবার পানির সংকটে ভুগছেন। আবার কর্মরত চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চেয়ে প্রাইভেট হাসপাতালগুলো নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন। এতে কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা এখন ভেঙে পড়েছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা আসমা বেগম বলেন, ‘দুই দিন ধরে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে আছি। এখানে বিশুদ্ধ পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের কাছাকাছি একটি টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে হয়।’

অপর এক রোগীর স্বজন শরীফা খাতুন বলেন, ‘হাসপাতালজুড়ে কোথাও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নেই। এখানে আসা কিংবা ভর্তি রোগীদের জন্য বিশুদ্ধ পানি বাড়ি থেকে আনতে হয়। হাসপাতালে প্রচুর মশা। পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থাও ভালো না।’ 

চিকিৎসা নিতে আসা আরফিন নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘আমরা এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। এর মধ্যে সব থেকে বড় সমস্যা হলো, এখানে খাবার পানির সংকট। এ ছাড়া শৌচাগার একেবারে অপরিষ্কার। রাতে পানির প্রয়োজন হলে মেডিকেলের গেটের ওপারে মহাসড়কের কাছে একটি টিউবওয়েল থেকে সংগ্রহ করতে হয়। এখানে তিনটি টিউবওয়েল সবই নষ্ট।’ 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদ হাসান শাওন বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে তিনটি ফিল্টার বসানো হয়। তবে কারিগরি কিছু ত্রুটির কারণে এগুলো ব্যবহার করা যাচ্ছে না। নষ্ট টিউবওয়েল বিষয়ে আমি সব জায়গায় জানিয়েছি। আমি পৌরসভারও সদস্য, সেখানেও জানিয়েছি। টিউবওয়েলগুলো অনেক আগের। এগুলো মেরামত করা সময়সাপেক্ষ। তবুও আশা করছি, দ্রুত বিশুদ্ধ পানির সংকট নিরসন হবে।’

ভাবনায় নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫০ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:০৪ এএম
ভাবনায় নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বর্তমানে বছরে প্রায় ৯০ লাখ যাত্রী যাতায়াত করলেও তৃতীয় টার্মিনালটি চালুর পর যাত্রী ধারণক্ষমতা দুই কোটি ছাড়িয়ে যাবে। আর ২০৩০ সাল নাগাদ বছরে প্রায় দুই লাখ উড়োজাহাজ ওঠানামার চাহিদা সৃষ্টি হবে। তবে এ জন্য দ্বিতীয় স্বাধীন রানওয়ে প্রয়োজন বলে মনে করেন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু জায়গার সংকুলান না হওয়ায় সেখানে দ্বিতীয় রানওয়ে করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এ অবস্থায় ঢাকার অদূরে নতুন একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করার কথা ভাবছেন সংশ্লিষ্টরা।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতিবছর ৮ শতাংশ হারে যাত্রী বাড়ছে বলে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) জরিপে তথ্য পাওয়া গেছে। এতে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে বছরে প্রায় ৯০ লাখ যাত্রী যাতায়াত করলেও তৃতীয় টার্মিনালটি চালুর পর ধারণক্ষমতা বছরে দুই কোটি ছাড়িয়ে যাবে। ২০৩০ সাল নাগাদ বছরে প্রায় দুই লাখ উড়োজাহাজ ওঠানামার চাহিদা তৈরি হবে। যদিও বিদ্যমান রানওয়ে দিয়ে বছরে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৭০ হাজার উড়োজাহাজ ওঠানামা করা সম্ভব। ফলে বাড়তি যাত্রী সামাল দিতে প্রয়োজন হবে বাড়তি ফ্লাইটের। যার জন্য প্রয়োজন আরেকটি স্বাধীন রানওয়ে।

এ বিষয়ে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম খবরের কাগজকে বলেন, ‘টার্মিনাল-৩ নির্মাণ করায় যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টি নিশ্চিত হবে। কিন্তু আমাদের এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো রানওয়ে। যখন পিক টাইম থাকে, ডমিস্টিক ও ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট ওঠানামা করে, তখন দেখা যায় প্লেনগুলো রানওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকে। একটা উড়লে আরেকটা পারছে না। আবার একটা ল্যান্ডিং করলে আরেকটা করতে পারছে না। এর ফলে প্রায় দেখা যায় যাত্রীদের প্লেনের মধ্যে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায়, প্লেন ঢাকার আকাশে ঢুকে গেছে, কিন্তু ক্লিয়ারেন্স পাচ্ছে না ল্যান্ডিং করার। আবার রানওয়েতে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে ১-২ ঘণ্টা ওঠানামা বন্ধ থাকছে। এ সমস্যা সমাধানে শাহজালালে নতুন একটি স্বাধীন রানওয়ের খুব দরকার। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে তা হয়তো আর সম্ভব নয়, কারণ এখন শাহজালালে সেই পরিমাণ জায়গা নেই।’

বেবিচক সূত্র বলছে, বাড়তি ফ্লাইটের চাপ সামাল দিতে আরেকটি বিকল্প রানওয়ে নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করেছিল বেবিচক। তবে জায়গার সংকট থাকায় সে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। কারণ ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) নির্দেশনা অনুযায়ী, পাশাপাশি দুটি রানওয়ের মধ্যে অন্তত ৭৫০ ফুট দূরত্ব থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া খবরের কাগজকে বলেন, ‘দ্বিতীয় স্বাধীন রানওয়ে নির্মাণের সুযোগ নেই শাহজালাল বিমানবন্দরে। কারণ জায়গাস্বল্পতা। এ ছাড়া এটি নির্মাণে যে ব্যয় হবে, তার তুলনায় সুবিধা পাওয়া যাবে অনেক কম। জরিপ অনুযায়ী বর্তমান রানওয়েতে ১ কোটি ৭০ লাখ যাত্রী পরিবহন করা যাবে। বাকি থাকছে ৩০ লাখ যাত্রী। এতে যে রাজস্ব আসবে তার থেকে অনেক গুণ বেশি খচর হবে নতুন একটি স্বাধীন রানওয়ে করতে। এ অবস্থায় বিদ্যমান রানওয়ের পূর্ণ ব্যবহার করতে এটিএম ও স্লট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উন্নত করার দিকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’

এদিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিদ্যমান রানওয়ে চালু হয় ১৯৮০ সালে। ১৯৯৬ সালে প্রথম দফায় শাহজালাল বিমানবন্দরের রানওয়ের মেরামতের কাজ করা হয়, যার আয়ু শেষ হয় ২০০৬ সালে। এরপর দীর্ঘ সময় মেরামতের উদ্যোগ না থাকায় রানওয়ে সারফেসে লম্বালম্বি ও আড়াআড়িভাবে ফাটলের সৃষ্টি হয়। আয়ুষ্কাল পার হওয়ার পাঁচ বছর পর ২০১৩ সালে আরেক দফায় রানওয়েটি মেরামত করা হয়। ২০২৬ সালের পরই শেষ হচ্ছে বিদ্যমান রানওয়ের সেই আয়ুষ্কাল। ফলে এর পরই নিরাপদ উড্ডয়নের জন্য বড় ধরনের সংস্কার করতে হবে।

বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ১০ বছর পর রানওয়ের বড় ধরনের সংস্কার করতে হয়। এ ধরনের সংস্কারে বিদ্যমান রানওয়ের ওপর ২০ সেন্টিমিটার অ্যাসফল্ট কংক্রিট আস্তরণ দেওয়া হয়। রানওয়ের শক্তি বৃদ্ধির জন্য অ্যাসফল্ট কংক্রিটের আস্তরণ দেওয়া হয়। মেরামতের কাজ শেষ করতে প্রায় এক বছর সময় লাগে। এ সময় ব্যাহত হয় নিরবচ্ছিন্ন ফ্লাইট কার্যক্রম। এ অবস্থায় বিকল্প রানওয়ে না থাকায় বিদ্যমান এই রানওয়ে দিয়ে কীভাবে যাত্রী সামলাবে শাহজালাল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এ বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া খবরের কাগজকে বলেন, প্রায়ই সংস্কারকাজ চলে রানওয়েতে। সংস্কারকাজ চলার সময় ফ্লাইট সূচিও সেভাবে সাজানো হয়। ভবিষ্যতে বড় ধরনের সংস্কার হলেও ফ্লাইট পরিচালনায় বড় ধরনের সমস্যা হবে না।

এদিকে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের ক্রমবর্ধমান যাত্রীর সংখ্যায় ধারণা করা যায় ২০৩৫ সালের মধ্যে প্যাসেঞ্জার ১৬০ শতাংশ বাড়বে। এটা বিশাল প্রবৃদ্ধি। এই গ্রোথ ধরে রাখতে প্রয়োজন নতুন একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

এ বিষয়ে কাজী ওয়াহিদুল আলম খবরের কাগজকে বলেন, এই প্রবৃদ্ধি যদি ধরে রাখতে হয় তাহলে আমাদের ওই ধরনের সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করতে হবে। এ ছাড়া দেশের এয়ারলাইনসগুলো বড় হচ্ছে। নতুন নতুন এয়ারক্রাফট আসছে। এই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে প্রয়োজন নতুন একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। প্রচুর অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। হিউম্যান রিসোর্সেস থাকতে হবে, কানেক্টিভিটি বাড়াতে হবে। এটা খুব জরুরি ভিত্তিতে দরকার। কারণ একটা বিমানবন্দর গড়ে তুলতে ন্যূনতম ১০-১২ বছর সময় লাগে।

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া খবরের কাগজকে আরও বলেন, ‘এখন সরকার শাহজালালে থার্ড টার্মিনাল কত দ্রুত চালু করা যায় সেদিকে নজর দিচ্ছে। এটা চালু করলে বিমানবন্দরের সক্ষমতা কিছুটা বাড়বে। তবে এভিয়েশন খাতে এখন বাংলাদেশের যে প্রবৃদ্ধি, তাতে আগামী ১০ বছর পর অর্থাৎ ২০৩৫ সালের পর রাজধানীর পাশে আরও একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রয়োজনীয়তা জরুরি হয়ে উঠবে। এ জন্য নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির বিষয়টি আমাদের চিন্তায় আছে।’ 

বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ, কিন্তু ধর্মান্ধ নয়: ড. মঈন খান

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১০:১২ পিএম
বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ, কিন্তু ধর্মান্ধ নয়: ড. মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ, তবে ধর্মান্ধ নয়। কোনো দিন ছিলও না, কোনো দিন হবেও না। এই দেশে আমরা পাশাপাশি একজন আরেকজনের কাঁধে হাত রেখে বসবাস করি। এখানে কে কোন জাতি, ধর্ম-বর্ণ সেটা আমরা কখনো বিবেচনা করি নাই। আমরা কখনো বিবেচনা করব না।’

শুক্রবার (১৪ মার্চ) নরসিংদীর পলাশ উপজেলার আধুনিক মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়ামে পলাশ উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসররা পশ্চিমাদের কাছে বাংলাদেশকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে দেখাতে চেয়েছিল। তারা টেরোরিস্ট হিসেবে পশ্চিমা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে চেয়েছিল। আমি বলেছিলাম এই ট্যাবলেট আর পশ্চিমা বিশ্বকে খাওয়াতে পারবে না। সেই জুজুর ভয় দেখিয়ে, আইএসের ভয় দেখিয়ে ও হরকাতুল জিহাদের ভয় দেখিয়ে তারা ফায়দা লুটতে চেয়েছিল। কিন্তু বিদেশি শক্তিকে আওয়ামী লীগ আর বিভ্রান্ত করতে পারবে না।

পলাশ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ সাত্তারের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দীন ভূঁইয়া মিল্টন, সহসভাপতি আওলাদ হোসেন জনি, কানিজ ফাতেমা, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকী, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান টিপু, প্রচার সম্পাদক ও বিএনপির মিডিয়া সমন্বয়ক হাজি জাহিদ হোসেন গাজী প্রমুখ।

মাহফুজ/

ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আহত পুলিশ কনস্টেবল, ঢামেকে ভর্তি

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৪ পিএম
আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৯ পিএম
ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আহত পুলিশ কনস্টেবল, ঢামেকে ভর্তি
গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি পুলিশ সদস্য মোস্তফা কামাল। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর মহানগরীর জাঝর এলাকায় ছিনতাইকারীর উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে এক পুলিশ সদস্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা থানার কনস্টেবল-৫২২ মোস্তফা কামাল গুরুতর জখম হলে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। 

এ ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলো- গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানার জাঝর উত্তর পাড়া এলাকার মনিরুজ্জামান মনির (২৮), একই থানার উত্তর খাইলকুর এলাকার জাহিদ মন্ডল বাবু (৩০) এবং দক্ষিণ খাইলকুর এলাকার নূরা (৩৭)। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩৫ গ্রাম হেরোইন, একটি ছোরা (ডেগার) উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার মনিরের বিরুদ্ধে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বিভিন্ন থানায় মাদকসহ বেশ কয়েকটি ধারায় ১২টি মামলা রয়েছে।

গ্রেপ্তার তিন মাদক কারবারি। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা থানার ওসি আলী মোহাম্মদ রাশেদ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে পাশ্চিম জাঝর এর জনৈক আবুল কাশেমের বাড়ির পূর্ব পাশে বাউন্ডারি করা প্লটের ভেতর পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সেবন করতেছে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়।

অভিযানকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী মনিরুজ্জামান ওরফে মনির পালানোর চেষ্টাকালে কনস্টেবল মোস্তফা কামাল তাকে ধরে ফেলে। পরে মনিরসহ তার সহযোগীরা ধস্তাধস্তি করে। একপর্যায়ে আসামি মনিরুজ্জামান মনিরের হাতে থাকা ছোরা জাতীয় ডেগার দিয়ে কনস্টেবল মোস্তফাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এতে মোস্তফা কামালের বাম কানে এবং পেটের বাম পাশে গুরুতর জখম হয়। তার পরেও মোস্তফা কামাল আসামি মনিরকে ধরে রাখে। 

পরবর্তী সময়ে তার সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স দ্রুত এগিয়ে গিয়ে মনিরকে গ্রেপ্তার করে। পরে মোস্তফা কামালকে উদ্ধার করে দ্রুত গাছা থানার তায়রুন্নেছা মেমোরিয়াল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক পুলিশ সদস্যের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোস্তফা কামাল অপারেশন সম্পন্ন হয় এবং বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

তিনি আরও জানান, পরবর্তী সময়ে গাছা থানা পুলিশ, এপিবিএন যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পলাতক আসামি জাহিদ মন্ডল বাবু এবং নূরাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধা, সরকারি কর্মচারীকে কর্তব্য পালনে বাধা প্রদানের নিমিত্তে আক্রমণ ও অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ এবং অবৈধ মাদকদ্রব্য হেরোইন উদ্ধারের জন্য পৃথক পৃথক মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।

পলাশ প্রধান/মাহফুজ