
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় শত্রুতা করে মো. আশিক মিয়া (৪২) নামে এক কৃষকের তিন কানি (এক একর ৫ শতাংশ) জমির কাচা ধানগাছ কেটে নষ্ট করে দিয়েছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার গুণধর ইউনিয়নের কদিমমাইজহাটি গ্রামের সামনের বড়হাওরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেছেন। কৃষক বাদি হয়ে করিমগঞ্জ থানায় মামলা করারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কদিমমাইজহাটি গ্রামের প্রভাবশালী আবুল কাশেম ওরফে কানা কাশেম বৃহস্পতিবার দুপুরে সাত আটজন লোক নিয়ে বড়হাওরে গিয়ে কৃষক আশিক মিয়ার কাচা ধানক্ষেত কেটে নষ্ট করে দেয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষক আশিক মিয়ার অন্তত ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
কৃষক আশিক মিয়ার অভিযোগ, ‘আমার গ্রামের প্রভাবশালী প্রতিবেশী আবুল কাশেম ওরফে কানা কাশেম (৬০) আমাকে ও আমার ভাইদেরকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল। আমার এক ভাইকে মেরেও ফেলা হয়েছে। ১৭ বছর আগে আমার বাবা মারা গিয়েছেন। কয়েকদিন ধরে মিথ্যা দাবি তুলেছেন আমার বাবার কাছে নাকি তিনি মোটা অংকের টাকা-পয়সা পেতেন। অথচ আমার বাবা মারা যাওয়ার সময়, অথবা এর পরে এসব টাকা পয়সা পাওয়ার ব্যাপারে তিনি আমাদের কাছে বা কারো কাছে বলেননি। এতদিন পর টাকা চাওয়ায় আমরা এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলি। এ কারণে শক্তি দেখিয়ে তিনি আমার জমির কাঁচা ধান কেটে নষ্ট করে দিয়েছেন। আমি এর বিচার চাই।'
গুণধর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সায়েম রাসেল ভূঁইয়া বলেন, ‘কারো কাছে টাকা-পয়সা পাওনা থাকলে গ্রামের লোকজন আছে, সমাজ আছে, আইনকানুন আছে। কিন্তু এভাবে জমির কাঁচা ধান কেটে ফেলে দেওয়া ঠিক হয়নি। এতে তো অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবুল কাশেম বলেন, ‘কীসের টাকা-পয়সা, এইটা আমার জমি। এই জমি এখন আমি ভোগ করব। ২৫ বছর আগে এই জমি তার (আশিকের) বাপের কাছ থেকে মৌখিকভাবে আমি কিনেছি। এ জমির ধান কাটব নাকি রাখব এটা আমার বিষয়।’
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব মোরশেদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তাসলিমা আক্তার মিতু/মাহফুজ